ঘূর্ণিঝড় ডেবির আঘাতে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
শক্তিশালী
ঘূর্ণিঝড় ডেবির আঘাতে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে। ঝড়ের ফলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং লাখো বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে
পড়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে কুইন্সল্যান্ডের বোয়েন ও এয়ারলি সৈকতের
মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ক্যাটাগরি চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি অস্ট্রেলিয়ার মূল
ভূখণ্ডে পৌঁছায় বলে জানায় বিবিসি।
ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ২৬৩ কিলোমিটার
বেগে বাতাসের শক্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল এলাকায় তাণ্ডব
শুরু করে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এটি দেশের ভিতরের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে
ক্যাটাগরি তিন মাত্রার ঝড়ে পরিণত হয়। এ সময়ের মধ্যে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন
বলে খবর পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল সংসদকে
জানান, তিনি একটি দুর্যোগ মোকাবেলা পরিকল্পনা সক্রিয় করে তুলেছেন।
টার্নবুল বলেন, ‘অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়েছে। নিজেদের দিকে খেয়াল রাখুন আর
নিরাপদে থাকুন। বুধবার পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার প্রস্তুতি নিন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ডেবির ক্ষয়ক্ষতির পুরো ছবি পেতে সময় লাগবে।
কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার আনাস্তাসিয়া পালাসে জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ
করা কঠিন হয়ে পড়েছে- কারণ ব্যাপক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং ফোনে
যোগাযোগও বিপর্যস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ বুধবার) ঝড়ের পুরো
ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখে সবাই বিমর্ষ হবে। আমি এর জন্য প্রস্তুত।’
কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার আয়ান স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, প্রোসারপাইনে
একটি দেয়াল ধসে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। ক্যারাভান পার্কের
স্বত্বাধিকারী রোজ উয়িলকোকস জানিয়েছেন, বোয়েনের কাছে তার বিষয়-সম্পত্তি
‘আবর্জনায়’ পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে অন্তত ৫০টি গাছ উপড়ে পড়েছে।
প্রতিবেশীদের ছাদগুলো পার্কে এসে পড়েছে। আমাদের শেডগুলোও ভেঙে পড়েছে।
বিদ্যুৎ সঞ্চালন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কখন স্বাভাবিক হবে
তা বলতে পারছেন না তারা। বাইরে বের হওয়ার মতো নিরাপদ পরিস্থিতি না হওয়া
পর্যন্ত সবাইকে ঘরের ভিতরে অবস্থান করার বিষয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। ২০১১
সালে কুইন্সল্যান্ডে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসির তাণ্ডবের পর এটাই ওই অঞ্চলে আসা
সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন বলে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছিলেন।
No comments