ঝিকরগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে চলছে হাজারো যান
আমদানি-রফতানি
বাণিজ্যে বেনাপোল-যশোর সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মহাসড়কের ঝিকরগাছা
বাজারে কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মিত সেতুটি বয়স এখন ১১০ বছর। সেতুর ওপর দিয়ে
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে হাজারও যানবহন। শতবর্ষী এই সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে
ধসে বড় ধরনের বিপর্যয়ের হতে পারে। এই সেতু দিয়ে বেনাপোল ও ভোমরা বন্দর
দিয়ে আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যবোঝাই হাজারো ট্রাক রাত-দিন চলাচল করছে।
সেতুটি এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে সামান্য সমস্যা হলেই বন্ধ হয়ে যাবে দুই
দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। এছাড়া সড়কের ঝিকরগাছা কপোতাক্ষ সেতুর দুই
পাশসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ই গাড়ি বিকল হয়ে
পড়ে থাকে। ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯০৭ সালে
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১১৯ মিটার এই সেতুটি নির্মাণ করে। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধোর
সময় সেতুর মধ্যভাগ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় পাকিন্তানি বাহিনী। পরে তা মেরামত
করা হয় বলে জানা গেছে। এই সেতু ওপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে বেনাপোল ও
সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিকৃত পণ্যবোঝাই কয়েকশ’ ট্রাক।
এছাড়া বেনাপোল ও সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে যশোর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর,
খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহগামী বাস চলাচল করে থাকে এই সেতু দিয়ে।
গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোনো
সমস্যা আছে বলে খালি চোখে মনে হয় না।
কারণ দৃশ্যমান ফাটল, পলেস্তরা উঠে
যাওয়া প্রভৃতি কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেরামত করে। সেতুটিতে ফাটল দেখা গেলে
উপরিভাগ কার্পেটিং করে দেওয়া হয়। কিন্তু এর দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে।
যানবাহন চললে সেতুটি কাঁপতে থাকে। সেতুর কোনো কোনো স্থান দেবে গেছে। যে
কারণে সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষ ও যানবাহনকে। খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে বিশেষজ্ঞরা জরিপ করে সেতুটি পুনঃ নির্মাণের
জন্য মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুপারিশ আজো বাস্তবায়ন হয়নি। ঝিকরগাছার
বাজারের ব্যাবসায়ী জুয়েল জানান, সেতুটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনো
মুহূর্তে এই সেতুতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন, সীমাখালী ব্রিজের
মতো যদি এটি ভেঙ্গে পড়ে তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে দুই দেশের আমদানি-রফতানি
বাণিজ্য। সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,
‘এখানে আমি নতুন এসেছি¬¬।’ তবে ঝিকরগাছার সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য কোনো
প্রস্তাব আসেনি বলে জানান তিনি।
No comments