বাগেরহাটে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ১৮ জনের সন্ধানে অভিযান চলছে
বাগেরহাটের
মোড়েলগজ্ঞ পানগুছি নদীতে খেয়া পারাপারের ট্রলার ডুবি ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের
মতো বধুবার ফের অভিযান শুরু হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে নিখোঁজ ১৮ জনের সন্ধানে
কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-বাহিনী ও পুলিশ। ট্রলার নিয়ে নদীর
বিভিন্ন এলাকায় চলছে লাশের সন্ধান। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৪ নারী মৃতদেহ
পাওয়া যায়। এখনো লাশের সংখ্যা বাড়েনি বলে যুগান্তরকে জানান সোনাখালী
এলাকায় উদ্ধার কাজে থাকা মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন
কর্মকর্তা হায়দার আলী আকন। এদিকে প্রমত্তা পানগুছি নদীতে খেয়া পারাপারের
ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে, মোড়েলগঞ্জের কাছিঘাটা গ্রামের
হেলেনা বেগমের ৬ বছরের শিশু নাজমুল, ছোট জামুয়া গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৩৮),
উত্তর ফুলহাতা গ্রামের হাসিব (৮), ছোটপড়ি গ্রামের নাসিমা আকতার (১৮),
রায়েন্দা বাজারের আবির (১৭), বদনিভাঙ্গা গ্রামের বশির (২২), কাছিকাটা
গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখ, বরুজবাড়িয়া গ্রামের সুলতান আহমেদ (৬০), ভাইজোড়া
গ্রামের খাদিজা (৪০), রাহাত (১০), আনছার হাওলাদার ( ৩৮), মোশার্রফ হাওলাদার
(৫০), সালমা বেগম (৩০) মুন্নী আক্তার (৩০) শিশু সাজ্জাত (২) ও লাবনী
আক্তার (৭)সহ ১৮ জন। সকাল সাড়ে ৯ টায় মোড়েলগজ্ঞের উপজেলা নির্বাহী
কর্তকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ কারো
সন্ধান মেলেনি।
সকাল ৬ টার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল ও নৌবাহিনীর সদস্যরা
অভিযান শুরু করেছে। তারা সম্ভাব্য যে সকল স্থানে লাশ ভেসে যেতে পারে সেই
স্থানগুলোতে তল্লাশি চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মোড়েলগঞ্জের সোলমবাড়িয়া
বালুর মাঠে লাশ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন কারো সন্ধান পাওয়া গেলে
সেখান থেকে শনাক্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে সাহায্য
করা বিষয়টি তাদের বিবেচনায় রয়েছে। লাশ পাওয়া গেলে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের
সঙ্গে আলোচনা করে কত টাকা প্রদান করা হবে তা নির্ধারন করা হবে বলে তিনি
জানান। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পানগুছি নদীতে অতিরিক্ত
যাত্রী বহন ও স্রোতের তোড়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এ
পর্যন্ত ৪ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার হলেও প্রশাসনের হিসেব মতে এখনো ১৮ জন নিখোঁজ
রয়েছেন।
No comments