গ্রেনেড-গুলি ছুড়ে ব্যাংকে তাণ্ডব, নিহত ৮
সাভারের কাঠগড়া বাজার এলাকায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: জিয়া ইসলাম |
সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের শাখায় দুপুরে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় |
ঢাকার
অদূরে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের শাখায়
মঙ্গলবার দুপুরে সশস্ত্র ডাকাতেরা হামলা চালায়। তারা এ সময় গ্রেনেড ও
গুলি ছুড়ে এবং কুপিয়ে জখম করে ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে তাণ্ডব সৃষ্টি
করে। এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ আটজন নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল বলে প্রথম আলোকে জানান হাসপাতালের দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী। আরেক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে ঘটনাস্থলের একটু দূরে। তিনি গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ওয়ালিউল্লাহ ও গানম্যান ইব্রাহিম এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পলাশ, জিল্লুর রহমান, মনির হোসেন, জমির আলী ও নূর মোহাম্মদ।
ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার তরিকুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মীর ভাষ্য, বেলা দুইটার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ব্যক্তি ব্যাংকের সামনে আসে। তারা গ্রাহকের বেশে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকে। এরপর তারা ব্যবস্থাপক ওয়ালিউল্লাহকে গ্রেনেড দেখিয়ে জিম্মি করে ভল্টের চাবি চায়। ব্যবস্থাপক চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে ডাকাতেরা তাঁকে কোপাতে শুরু করে। তারা গ্যানমান ইব্রাহিমকে কুপিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এরপর ডাকাতেরা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটে নেয়। ঘটনাস্থলেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও গানম্যানের মৃত্যু হয়।
ব্যাংকের বাইরের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যাংকের ভেতর থেকে গ্রেনেড ও গুলির শব্দ এবং লোকজনের চিৎকার শুনে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসেন। তাঁরা ব্যাংকটি ঘেরাও করে ডাকাতদের আটক করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতেরা গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যায়।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল বলে প্রথম আলোকে জানান হাসপাতালের দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী। আরেক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে ঘটনাস্থলের একটু দূরে। তিনি গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ওয়ালিউল্লাহ ও গানম্যান ইব্রাহিম এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পলাশ, জিল্লুর রহমান, মনির হোসেন, জমির আলী ও নূর মোহাম্মদ।
ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার তরিকুল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মীর ভাষ্য, বেলা দুইটার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ব্যক্তি ব্যাংকের সামনে আসে। তারা গ্রাহকের বেশে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকে। এরপর তারা ব্যবস্থাপক ওয়ালিউল্লাহকে গ্রেনেড দেখিয়ে জিম্মি করে ভল্টের চাবি চায়। ব্যবস্থাপক চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে ডাকাতেরা তাঁকে কোপাতে শুরু করে। তারা গ্যানমান ইব্রাহিমকে কুপিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এরপর ডাকাতেরা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ও গুলি চালিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটে নেয়। ঘটনাস্থলেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও গানম্যানের মৃত্যু হয়।
ব্যাংকের বাইরের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ব্যাংকের ভেতর থেকে গ্রেনেড ও গুলির শব্দ এবং লোকজনের চিৎকার শুনে আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসেন। তাঁরা ব্যাংকটি ঘেরাও করে ডাকাতদের আটক করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতেরা গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যায়।
আশুলিয়া
থানার পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে ও গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে ১৪ জন আহত
হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে
তিনজনের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। আহত নয়জন ওই
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ আরও জানায়, ডাকাতেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাদের ধাওয়া করে দুজনকে ধরে ফেলে। এদের মধ্যে গণধোলাইয়ে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় ধৃতদের কাছ থেকে লুট হওয়া প্রায় পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু সাদেক মো. সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তিনি হতভম্ব। ডাকাতেরা পাঁচ লাখ টাকার মতো লুটে নিয়েছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, ডাকাতেরা পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাদের ধাওয়া করে দুজনকে ধরে ফেলে। এদের মধ্যে গণধোলাইয়ে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় ধৃতদের কাছ থেকে লুট হওয়া প্রায় পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু সাদেক মো. সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তিনি হতভম্ব। ডাকাতেরা পাঁচ লাখ টাকার মতো লুটে নিয়েছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments