ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি পরিদর্শনে ১৭ কূটনীতিক
সিটি
নির্বাচনের প্রচারে নামা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার
ঘটনা সবিস্তারে কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে হামলায়
ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো কূটনীতিকদের দেখানো হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান
কার্যালয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
হয়। বৈঠকে ভারত, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা,
তুরস্ক, জাপান, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরব, কাতার,
পাকিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৭টি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। বিএনপির পক্ষ
থেকে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস কাদের
চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ ও জেবা খান অংশ নেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির পক্ষ থেকে ‘ব্রিফিং ফর দ্য ডিপ্লোম্যাট’ নামে লিখিত একটি
বিবৃতি কূটনীতিকদের হাতে দেয়া হয়। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার
গাড়িবহরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কূটনীতিকরা বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
যান। সেখানে সিটি নির্বাচনসহ চলমান রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কূটনীতিকরা
আলোচনা করেন। পরে কূটনীতিকদের কার্যালয়ের আঙ্গিনায় রাখা কাওরান বাজারে
হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিশান পেট্রল জিপ
(ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩২৬১২) ও তার স্প্রেয়ার কার (ঢাকা-মেট্রো ঘ-১১২৬০০) দুটি
দেখানো হয়। কূটনীতিকরা খালেদা জিয়ার নিশান পেট্রল গাড়িটি দেখেন। গাড়ির ডান
দিকে চালকের পেছনের আসনের গ্লাসটি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই দাগ
দেখিয়ে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে সোমবার গুলিও করা হয়েছিল। গাড়িটির
সামনের দিকে ইটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই সময়ে কার্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তা
বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী ৪টি মাইক্রোবাস যথাক্রমে ঢাকা মেট্রো-চ ৫৩৮৮১৯,
ঢাকা মেট্রো-চ ৫৩৫৪৩১, ঢাকা মেট্রো-চ-১৫৩৫৫৩, ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩২৪৩২ রাখা
ছিল। এ হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে বিএনপি। উল্লেখ্য,
সোমবার বিকালেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ
আউয়ালের পক্ষে প্রচারণায় নামেন খালেদা জিয়া। কারওয়ান বাজারে কাঁচাবাজারের
সামনে পথসভা শেষে তার গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় খালেদার
বক্তব্য যখন শেষ দিকে, তখন পাশ থেকে এক দল লোক উসকানিমূলক স্লোগান দিতে
থাকে। এর মধ্যে আশপাশের ভবনের ওপর থেকে খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট
নিক্ষেপ শুরু হয়। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েকজনের মুখ ও মাথায় ইট
এসে পড়ে। আহত হন সেখানে থাকা কয়েকজন সাংবাদিকও। খালেদা জিয়া অক্ষত থাকলেও
ইটের আঘাতে তার গাড়ির এক পাশের কাচ ফেটে যায়। বহরের সব গাড়ি ঘুরে এফডিসির
দিকে এগোতে গেলে এক দল লোক তখন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। খালেদার গাড়ি
তার নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে সামনের দিকে নিয়ে যায়। তবে অন্য প্রায় সব কয়টি
গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়।
No comments