রানা প্লাজার ক্ষতিপূরণ ১০৮ কোটি টাকা অব্যবহৃত
সাভারের
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিলের অর্থ বণ্টনের
ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব ও দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি
ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী এ সংস্থাটি বলছে, রানা
প্লাজার দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১২৭
কোটি টাকা হলেও এখনও অব্যবহৃত রয়েছে প্রায় ১০৮ কোটি টাকা। গতকাল তৈরী পোশাক
খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গৃহীত পদক্ষেপের ওপর এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে
টিআইবি এসব কথা বলেছে। রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে নিজস্ব
কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টিআইবি’র প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে
ধরেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা। পরে এ নিয়ে
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের
চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল ও টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
রানা প্লাজার দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রানা প্লাজায় ডোনার’স ট্রাস্ট ফান্ডে ক্রেতা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে দেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ২.৪৮ মিলিয়ন ডলার। আর প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২৭ কোটি টাকা)। এর মধ্যে অব্যবহৃত প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার (১০৮ কোটি টাকা)।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলে, যারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তাদের তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ আছে। এছাড়া বণ্টনে দীর্ঘসূত্রতা আছে। ট্রাস্ট ফান্ড পরিচালনা ব্যয় সম্পর্কিত তথ্যও প্রকাশিত হয়নি। টিআইবি তাদের সুপারিশে বলেছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তদের তালিকা ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রকাশ করতে হবে। গত এক বছরে তৈরী পোশাক খাতে কি কি অগ্রগতি হয়েছে তা যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, খরচ বৃদ্ধির পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে গত এক বছরে ৩০ শতাংশ কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। এছাড়া, কার্যাদেশ বাতিল ও কমপ্লায়েন্ট ঘাটতির অজুহাতে ২২০টি মাঝারি ও ক্ষুদ্র আকারের কারখানা বন্ধ হয়েছে। প্রায় এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে। এ ব্যাপারে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখানে অন্য প্রভাবও থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলেও ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের আবেদন গ্রহণে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে দিতে হয়। এব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রম পরিদপ্তরের কর্মকর্তা এ টাকা নিচ্ছেন।
সুলতানা কামাল বলেন, সবাই এখনও ঠিকভাবে ক্ষতিপূরণ পায়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সংগৃহীত ১২৭ কোটি টাকার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা। এ পুরো টাকাই ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য। আর ট্রাস্ট ফান্ডের টাকা কিভাবে আয় হচ্ছে, কিভাবে ব্যয় হচ্ছে এর কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তাই ট্রাস্ট ফান্ডের কার্যক্রম নিয়ে অস্বচ্ছতা তৈরি হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথাও শোনা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বের অভাব রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
রানা প্লাজার দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রানা প্লাজায় ডোনার’স ট্রাস্ট ফান্ডে ক্রেতা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে দেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ২.৪৮ মিলিয়ন ডলার। আর প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২৭ কোটি টাকা)। এর মধ্যে অব্যবহৃত প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার (১০৮ কোটি টাকা)।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলে, যারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তাদের তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ আছে। এছাড়া বণ্টনে দীর্ঘসূত্রতা আছে। ট্রাস্ট ফান্ড পরিচালনা ব্যয় সম্পর্কিত তথ্যও প্রকাশিত হয়নি। টিআইবি তাদের সুপারিশে বলেছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তদের তালিকা ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রকাশ করতে হবে। গত এক বছরে তৈরী পোশাক খাতে কি কি অগ্রগতি হয়েছে তা যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, খরচ বৃদ্ধির পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে গত এক বছরে ৩০ শতাংশ কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। এছাড়া, কার্যাদেশ বাতিল ও কমপ্লায়েন্ট ঘাটতির অজুহাতে ২২০টি মাঝারি ও ক্ষুদ্র আকারের কারখানা বন্ধ হয়েছে। প্রায় এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে। এ ব্যাপারে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখানে অন্য প্রভাবও থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলেও ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের আবেদন গ্রহণে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে দিতে হয়। এব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রম পরিদপ্তরের কর্মকর্তা এ টাকা নিচ্ছেন।
সুলতানা কামাল বলেন, সবাই এখনও ঠিকভাবে ক্ষতিপূরণ পায়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সংগৃহীত ১২৭ কোটি টাকার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা। এ পুরো টাকাই ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য। আর ট্রাস্ট ফান্ডের টাকা কিভাবে আয় হচ্ছে, কিভাবে ব্যয় হচ্ছে এর কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তাই ট্রাস্ট ফান্ডের কার্যক্রম নিয়ে অস্বচ্ছতা তৈরি হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথাও শোনা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বের অভাব রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
No comments