২০ বছরের স্বৈরশাসন চেয়েছিলেন নেতাজী
স্বাধীনতার পর ভারতে ২০ বছরের স্বৈরশাসন চেয়েছিলেন দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। ভারত স্বাধীন হওয়ার চার বছর আগে ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরে একটি ভাষণ দেন নেতাজী। সেই ভাষণে তিনি ২০ বছরের জন্য স্বৈরশাসনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তৎকালীন সিঙ্গাপুরের দৈনিক সানডে এক্সপ্রেস (বর্তমানে বিলুপ্ত) পত্রিকায় নেতাজীর ভাষণ ছাপা হয়েছিল। এছাড়া ভারতে ফ্যাসিবাদ ও সাম্যবাদের সংমিশ্রণে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন স্বীকারোক্তিমূলক এক বইয়ে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সানডে এক্সপ্রেস প্রকাশিত ভাষণে নেতাজী বলেছিলেন, ‘যদি এখানে (ভারত) তৃতীয় কোনো দলের উপস্থিতি থাকে তাহলে ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া ফাসাদ শেষ হবে না। সেটা বাড়তেই থাকবে। সেটা (ফাসাদ) একমাত্র তখনই নির্মূল করা সম্ভব হবে যখন প্রায় ২০ বছর ধরে কোনো স্বৈরশাসক শক্ত হাতে ভারত শাসন করবে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর অন্তত কয়েক বছরের জন্য স্বৈরশাসন দরকার। এ দেশে অন্য কোনো সংবিধান বিকশিত হতে পারবে না। এ কারণেই ভারত স্বৈরশাসকের হাতে ভালো থাকবে।’ এদিকে, ভারতে রাজনৈতিক ব্যবস্থার রূপরেখা বিষয়ে নেতাজীর মতামত পাওয়া যায় ‘ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল’ শীর্ষক বইয়ে। তার স্বীকারোক্তিমূলক বইটি ১৯৩৫ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
সানডে এক্সপ্রেস প্রকাশিত ভাষণে নেতাজী বলেছিলেন, ‘যদি এখানে (ভারত) তৃতীয় কোনো দলের উপস্থিতি থাকে তাহলে ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া ফাসাদ শেষ হবে না। সেটা বাড়তেই থাকবে। সেটা (ফাসাদ) একমাত্র তখনই নির্মূল করা সম্ভব হবে যখন প্রায় ২০ বছর ধরে কোনো স্বৈরশাসক শক্ত হাতে ভারত শাসন করবে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর অন্তত কয়েক বছরের জন্য স্বৈরশাসন দরকার। এ দেশে অন্য কোনো সংবিধান বিকশিত হতে পারবে না। এ কারণেই ভারত স্বৈরশাসকের হাতে ভালো থাকবে।’ এদিকে, ভারতে রাজনৈতিক ব্যবস্থার রূপরেখা বিষয়ে নেতাজীর মতামত পাওয়া যায় ‘ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল’ শীর্ষক বইয়ে। তার স্বীকারোক্তিমূলক বইটি ১৯৩৫ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
ওই বইয়ে তিনি ভারতে ফ্যাসিবাদ ও সাম্যবাদের সংমিশ্রণে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এ রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ‘সাম্যবাদ’ বলতেন তিনি। বইটির একটি কপি ইতালির স্বৈরশাসক বেনিতো মুসোলিনিকে দিতে ১৯৩৫ সালে বিশেষ সফরে রোম গিয়েছিলেন নেতাজী। নিজের এ মতাদর্শের কারণে কংগ্রেসের শান্তিবাদী নেতাদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। নেতাজী ১৯৪৫ সালে অন্তর্হিত হন। প্রচলিত ধারণা মতে, তিনি জাপানে এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।
No comments