জেনেভা ক্যাম্পের অবহেলিতদের নিয়ে সোচ্চার সব প্রার্থী by শামছুল ইসলাম
নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। ওয়ার্ডের সব সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা সবাই দিচ্ছেন জেনেভা ক্যাম্পের অবহেলিত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি। তাদের প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড। মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্গত লালমাটিয়ার ব্লক এ, বি, সি, ডি, ই, এফ ও জি, নিউ কলোনি, আসাদ গেট, খিলজি রোড, বাবর রোড, মোহাম্মদপুরের এ ব্লক, আসাদ এভিনিউ, আরোঙ্গজেব রোড, পিসি কালচার পার্ক এলাকা নিয়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এই এলাকায় প্রায় ৩৪ হাজার ভোটার রয়েছে।
গতকাল ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে সড়কে কোথাও কোনো খনাখন্দ নেই, নেই কোনো ময়লার দুর্গন্ধ। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা ছাড়া কোথাও নোংরা দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস ও সুয়ারেজের লাইনের সমস্যা রয়েছে বলে জানান তারা।
এ ছাড়া এই সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। যানজটের কারণ জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন, যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবাসিক এলাকায় হওয়া সত্ত্বেও এই এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। ঢাকার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসায় ও টাউন হল মার্কেট এবং মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মতো বড় বড় মার্কেট থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া প্রধান সড়কে যানজট থাকায় অনেকে বাইপাস হিসেবে মহল্লার সড়ক ব্যবহার করায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেনÑ বিএনপির সমর্থনপ্রাপ্ত সাবেক কাউন্সিলর আতিকুল ইসলাম মতিন (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট), আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান (রেডিও), মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা (করাত), সৈয়দ সিরাজউদ্দিন (ঠেলাগাড়ি), এস এম হাসেম (লাটিম), মাসুদ রানা ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে। ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী প্রচারণায় বাধা ও হুমকির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাবিবুর রহমান মিজান তার নির্বাচনী এলাকার সমস্যার বিবরণ দিয়ে বলেন, প্রায় ৩৪ হাজার ভোটার রয়েছে এই ওয়ার্ডে। এর মধ্যে ১০ হাজার রয়েছে জেনেভা ক্যাম্পে। যারা সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যেখানে দুই হাজার টয়লেট প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ২৫০টি। তারা আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে চায় না। তাই তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ জন্য তিনি নির্বাচিত হলে জেনেভা ক্যাম্পের অধিবাসীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আতিকুল ইসলাম মতিন বলেন, নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন আদর্শ মডেল ওয়ার্ড গঠনই হবে আমার প্রধান কাজ। এ ছাড়া জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরতদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে স্পোর্টস কাব তৈরি করব। বয়স্কদের জন্য একটি আধুনিক বিশ্রামাগার ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করব। এলাকাবাসীর সব নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে লালমাটিয়া ও বাবর রোডে কাউন্সিলর অফিস করব। এ ছাড়া ওয়ার্ডের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
অপর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, লালমাটিয়া আবাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখন বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে বেসরকারি স্কুল, অফিস ও দোকানপাট থাকায় বসবাসকারীরা যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। সেইসাথে এলাকায় মহিলা হোস্টেল থাকায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনায় মুখর থাকে। জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে। এই ওয়ার্ডে এমন কিছু মহল্লা রয়েছে, যেখানে কোনো সড়কে বাতি জ্বলে না। এসব সমস্যা সমাধান করে আদর্শ ওয়ার্ড হিসেবে পরিণত করা হবে।
গতকাল ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে সড়কে কোথাও কোনো খনাখন্দ নেই, নেই কোনো ময়লার দুর্গন্ধ। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা ছাড়া কোথাও নোংরা দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস ও সুয়ারেজের লাইনের সমস্যা রয়েছে বলে জানান তারা।
এ ছাড়া এই সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। যানজটের কারণ জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন, যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবাসিক এলাকায় হওয়া সত্ত্বেও এই এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। ঢাকার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসায় ও টাউন হল মার্কেট এবং মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মতো বড় বড় মার্কেট থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া প্রধান সড়কে যানজট থাকায় অনেকে বাইপাস হিসেবে মহল্লার সড়ক ব্যবহার করায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেনÑ বিএনপির সমর্থনপ্রাপ্ত সাবেক কাউন্সিলর আতিকুল ইসলাম মতিন (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট), আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান (রেডিও), মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা (করাত), সৈয়দ সিরাজউদ্দিন (ঠেলাগাড়ি), এস এম হাসেম (লাটিম), মাসুদ রানা ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে। ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী প্রচারণায় বাধা ও হুমকির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাবিবুর রহমান মিজান তার নির্বাচনী এলাকার সমস্যার বিবরণ দিয়ে বলেন, প্রায় ৩৪ হাজার ভোটার রয়েছে এই ওয়ার্ডে। এর মধ্যে ১০ হাজার রয়েছে জেনেভা ক্যাম্পে। যারা সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যেখানে দুই হাজার টয়লেট প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ২৫০টি। তারা আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে চায় না। তাই তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ জন্য তিনি নির্বাচিত হলে জেনেভা ক্যাম্পের অধিবাসীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আতিকুল ইসলাম মতিন বলেন, নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন আদর্শ মডেল ওয়ার্ড গঠনই হবে আমার প্রধান কাজ। এ ছাড়া জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসরতদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে স্পোর্টস কাব তৈরি করব। বয়স্কদের জন্য একটি আধুনিক বিশ্রামাগার ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করব। এলাকাবাসীর সব নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে লালমাটিয়া ও বাবর রোডে কাউন্সিলর অফিস করব। এ ছাড়া ওয়ার্ডের প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
অপর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, লালমাটিয়া আবাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখন বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে বেসরকারি স্কুল, অফিস ও দোকানপাট থাকায় বসবাসকারীরা যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। সেইসাথে এলাকায় মহিলা হোস্টেল থাকায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনায় মুখর থাকে। জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে। এই ওয়ার্ডে এমন কিছু মহল্লা রয়েছে, যেখানে কোনো সড়কে বাতি জ্বলে না। এসব সমস্যা সমাধান করে আদর্শ ওয়ার্ড হিসেবে পরিণত করা হবে।
No comments