খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা- এজাহারে নাম নেই : শনাক্ত হলেও গ্রেফতার নেই by আবু সালেহ আকন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত হলেও
কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি মামলার এজাহারে বিএনপির পক্ষ থেকেও হামলাকারীদের
নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি দেখে
অনেকেই তাদের চিনতে পেরেছেন। ঘটনার পর তারা ওই এলাকায় প্রকাশ্যে মিছিলও
করেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, যারা হামলা চালিয়েছে তারা কারওয়ানবাজার
এলাকার পরিচিত মুখ। এ দিকে তেজগাঁও থানার ওসি বলেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে
দোষীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।
গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় বেগম জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তাসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বেগম জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্য ফজলুল করিম, ফারুক হোসেন, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার এবং গাড়িচালক শাহজাদা শাহেদ। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন। বেগম জিয়ার গাড়িবহরের তিন-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের পরিচয় এই এলাকার সবাই জানে। তাদের ছবি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় দেখানো ও ছাপা হয়েছে। অনেক মিডিয়া তাদের নামও প্রকাশ করেছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার চালাতে বেগম খালেদা জিয়া ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়সারাগোছের দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণেই হামলাকারীরা নির্বিঘেœ বেগম জিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারে। হামলার পর বেগম জিয়ার গাড়িবহর দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে হামলাকারীরা কারওয়ানবাজার এলাকায় মিছিল করে।
এ দিকে সংবাদমাধ্যমে হামলাকারীদের ছবি ও নাম প্রকাশ পাওয়ার পর হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও পুরোপুরি শনাক্ত হয়ে যায়। কে লাঠি দিয়ে গাড়িতে আঘাত করেছে, কে ইট মেরেছে, কে লাফিয়ে উঠে লাথি মেরেছে তার সবই শনাক্ত হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহ আলম, হোসেন এবং লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।
এ দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে তেজগাঁও থানায়। মামলা নম্বর ৪০। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে মামলায় নাম উল্লেখ করে কাউকে আসামি করা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির এজাহারটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। আগেই মামলার এজাহারটি থানায় পৌঁছে দেয়া হয়। থানা কয়েক ঘণ্টা পর এজাহারটি নথিভুক্ত করে। পুলিশ জানায়, মামলায় অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মেজর জেনারেল (অব:) ফজলে এলাহী আকবর বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি এজাহার দেন। এ সময় তার সাথে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া এবং তাহেরুল ইসলাম তৌহিদসহ আরো কয়েক বিএনপি নেতা ছিলেন। সে সময় তেজগাঁও থানার ডিউটি অফিসার ছিলেন রমজান। তিনি এজাহারটি গ্রহণ করেন। সোয়া দুই ঘণ্টা পর এজাহারটি নথিভুক্ত করা হয়। ওসি থানায় না থাকায় তখন এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা যায়নি বলে পুলিশের প থেকে দাবি করা হয়।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ওঁৎ পেতে থাকা শাসক দলসমর্থিত সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’ মামলার এজাহারেও অজ্ঞাত কারণে হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এ দিকে গত রাতে তেজগাঁও থানার ওসি বলেন, দোষীদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। বিএনপির মামলায়ও শনাক্ত করা হয়নি। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। শনাক্ত করার পরই তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে।
হামলায় যারা সরাসরি অংশ নেয় : হামলায় যারা সরাসরি অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। এরা হলো ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক জিল্লু, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তুহিন ও আল-আমিন, তেজগাঁও পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির, তেজকুনিবাজার ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন, হাতকাটা কাশেম গ্রুপের শামসু। এ ছাড়া তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা মালার বেশ কিছু অনুসারী সেখানে ছিল।
গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় বেগম জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তাসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বেগম জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্য ফজলুল করিম, ফারুক হোসেন, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার এবং গাড়িচালক শাহজাদা শাহেদ। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন। বেগম জিয়ার গাড়িবহরের তিন-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের পরিচয় এই এলাকার সবাই জানে। তাদের ছবি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় দেখানো ও ছাপা হয়েছে। অনেক মিডিয়া তাদের নামও প্রকাশ করেছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার চালাতে বেগম খালেদা জিয়া ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়সারাগোছের দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণেই হামলাকারীরা নির্বিঘেœ বেগম জিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারে। হামলার পর বেগম জিয়ার গাড়িবহর দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে হামলাকারীরা কারওয়ানবাজার এলাকায় মিছিল করে।
এ দিকে সংবাদমাধ্যমে হামলাকারীদের ছবি ও নাম প্রকাশ পাওয়ার পর হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও পুরোপুরি শনাক্ত হয়ে যায়। কে লাঠি দিয়ে গাড়িতে আঘাত করেছে, কে ইট মেরেছে, কে লাফিয়ে উঠে লাথি মেরেছে তার সবই শনাক্ত হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহ আলম, হোসেন এবং লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।
এ দিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে তেজগাঁও থানায়। মামলা নম্বর ৪০। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে মামলায় নাম উল্লেখ করে কাউকে আসামি করা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির এজাহারটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। আগেই মামলার এজাহারটি থানায় পৌঁছে দেয়া হয়। থানা কয়েক ঘণ্টা পর এজাহারটি নথিভুক্ত করে। পুলিশ জানায়, মামলায় অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মেজর জেনারেল (অব:) ফজলে এলাহী আকবর বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি এজাহার দেন। এ সময় তার সাথে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া এবং তাহেরুল ইসলাম তৌহিদসহ আরো কয়েক বিএনপি নেতা ছিলেন। সে সময় তেজগাঁও থানার ডিউটি অফিসার ছিলেন রমজান। তিনি এজাহারটি গ্রহণ করেন। সোয়া দুই ঘণ্টা পর এজাহারটি নথিভুক্ত করা হয়। ওসি থানায় না থাকায় তখন এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা যায়নি বলে পুলিশের প থেকে দাবি করা হয়।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ওঁৎ পেতে থাকা শাসক দলসমর্থিত সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’ মামলার এজাহারেও অজ্ঞাত কারণে হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এ দিকে গত রাতে তেজগাঁও থানার ওসি বলেন, দোষীদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। বিএনপির মামলায়ও শনাক্ত করা হয়নি। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। শনাক্ত করার পরই তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে।
হামলায় যারা সরাসরি অংশ নেয় : হামলায় যারা সরাসরি অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। এরা হলো ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক জিল্লু, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তুহিন ও আল-আমিন, তেজগাঁও পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির, তেজকুনিবাজার ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন, হাতকাটা কাশেম গ্রুপের শামসু। এ ছাড়া তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা মালার বেশ কিছু অনুসারী সেখানে ছিল।
No comments