যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ সম্পর্ক অংশীদারিনির্ভর: বার্নিকাট
বাংলাদেশ
ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সত্যিকারের অংশীদারিনির্ভর বলে মনে করেন ঢাকায়
নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় যাচ্ছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজ ‘রাশ’-এর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিএনএস সমুদ্রজয়ের পর এ যুদ্ধজাহাজ হস্তান্তর দুই দেশের সম্পর্কের জন্য নতুন মাত্রা বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মার্শা বার্নিকাট এসব কথা বলেন। তিনি আজ মঙ্গলবার প্রথম আলো কার্যালয়ে অতিথি হয়ে আসেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে ড্যান মজীনার স্থলাভিষিক্ত মার্শা বার্নিকাট গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় এসেছেন।
গণতন্ত্র বিকাশে ভিন্নমত প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকায় কর্মরত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাডের উদাহরণ তুলে ধরেন বার্নিকাট। তিনি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কারণে ওই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে চিঠি দিতে পেরেছিলেন আর্চার কে ব্লাড।
ঢাকায় প্রথমবারের মতো কোনো সংবাদমাধ্যমে অতিথি হয়ে আসা বার্নিকাট বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা তাঁকে আশাবাদী করে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট বলেন, দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এমন একটি গভীরতায় পৌঁছেছে, যেখানে জটিলতর বিষয়গুলো আলোচনা করা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) কথা তুলে ধরেন।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বৈদেশিক সাহায্যের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা জরুরি। বৈদেশিক সাহায্যনির্ভরতায় সমস্যা আছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশও বিষয়টি জানে।’
সাম্প্রতিক সময়ে চরম পন্থা ও জঙ্গিবাদের বিস্তার প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ কী, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইসলামের সঙ্গে চরম পন্থাকে যুক্ত করাটা ঠিক নয়। প্রেসিডেন্ট ওবামা এ বিষয়টি আলাদাভাবে দেখার কথা বলেছেন। আসলে কোনো দেশই চরম পন্থা থেকে মুক্ত নয়।
মতবিনিময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ঢাকায় আমেরিকান সেন্টারের পরিচালক অ্যান ম্যাকনেল, গণমাধ্যম ও তথ্য কর্মকর্তা মনিকা সাই এবং মার্কিন দূতাবাসের হেড অব প্রেস মেরিনা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় যাচ্ছেন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দ্বিতীয় যুদ্ধজাহাজ ‘রাশ’-এর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিএনএস সমুদ্রজয়ের পর এ যুদ্ধজাহাজ হস্তান্তর দুই দেশের সম্পর্কের জন্য নতুন মাত্রা বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মার্শা বার্নিকাট এসব কথা বলেন। তিনি আজ মঙ্গলবার প্রথম আলো কার্যালয়ে অতিথি হয়ে আসেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে ড্যান মজীনার স্থলাভিষিক্ত মার্শা বার্নিকাট গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় এসেছেন।
গণতন্ত্র বিকাশে ভিন্নমত প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকায় কর্মরত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাডের উদাহরণ তুলে ধরেন বার্নিকাট। তিনি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কারণে ওই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে চিঠি দিতে পেরেছিলেন আর্চার কে ব্লাড।
ঢাকায় প্রথমবারের মতো কোনো সংবাদমাধ্যমে অতিথি হয়ে আসা বার্নিকাট বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা তাঁকে আশাবাদী করে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট বলেন, দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এমন একটি গভীরতায় পৌঁছেছে, যেখানে জটিলতর বিষয়গুলো আলোচনা করা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) কথা তুলে ধরেন।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বৈদেশিক সাহায্যের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা জরুরি। বৈদেশিক সাহায্যনির্ভরতায় সমস্যা আছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশও বিষয়টি জানে।’
সাম্প্রতিক সময়ে চরম পন্থা ও জঙ্গিবাদের বিস্তার প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ কী, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইসলামের সঙ্গে চরম পন্থাকে যুক্ত করাটা ঠিক নয়। প্রেসিডেন্ট ওবামা এ বিষয়টি আলাদাভাবে দেখার কথা বলেছেন। আসলে কোনো দেশই চরম পন্থা থেকে মুক্ত নয়।
মতবিনিময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ঢাকায় আমেরিকান সেন্টারের পরিচালক অ্যান ম্যাকনেল, গণমাধ্যম ও তথ্য কর্মকর্তা মনিকা সাই এবং মার্কিন দূতাবাসের হেড অব প্রেস মেরিনা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
No comments