শিবসেনাকে সমুচিত জবাব রাহুলের
আগেই হুমকি দিয়েছিল শিবসেনা। মুম্বাইয়ে গেলে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভের মাধ্যমে সফর পণ্ড করে দেওয়া হবে ভারতের কংগ্রেস দলের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর। ওই হুমকির কোনো পরোয়া না করে গত শুক্রবার মুম্বাইয়ের আন্ধেরি, দাদার ও ঘাটকোপার সফর করেন রাহুল। হেলিকপ্টারে নয়, রীতিমতো লোকাল ট্রেনে চেপে তিনি ওই সফর সারেন।
এই তিনটি এলাকা সফরের আরও একটি কারণ হলো, এগুলো শিবসেনার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। শুধু তাই নয়, এসব এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি এদিন মিশে গিয়ে আড্ডাও দিয়েছেন। নিজে ট্রেনের টিকিট কেটেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনিও লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
মুম্বাই কার? রাহুল বলেছেন, মুম্বাই সবার। শিবসেনাদের দাবি, মুম্বাই মারাঠিদের। এই বিতর্কে জিততেই কিনা রাহুল প্রমাণ করলেন, তিনি কারও হুমকির পরোয়া করেন না। মুম্বাই সবার।
রাহুল শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানে করে নামেন ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে। সেখান থেকে তিনি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে প্রায় সহস্রাধিক কলেজশিক্ষার্থীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য ‘ভাইদাস হল’-এ যান। অবশ্য সঙ্গে ছিলেন নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, এনএসজি ও র্যাফ সদস্য। এ সময় ওই এলাকায় শিবসেনার কয়েক শ নারী সমর্থক থাকলেও নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙতে পারেনি তারা।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ভাইদাস হল থেকে বেরিয়ে পবনহংস হেলিপেড থেকে হেলিকপ্টারে করে রাহুলের যাওয়ার কথা ছিল ভিক্রোলির গোদরেজ কম্পাউন্ডে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও জানতেন তেমনটাই। কিন্তু এর পরই শুরু হলো রাহুলের চমক। তিনি হেলিকপ্টারের বদলে ভাইদাস হল থেকে গাড়িবহর নিয়ে ছুটলেন আন্ধেরি স্টেশনের দিকে, গাড়ির ফোটবোর্ডে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে নাড়তে। পথে জনতার অনেকে হাত মেলাল। হঠাত্ তিনি পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন কোনো রুপি নেই। অগত্যা সান্তাক্রুজে নেমে অন্য সাধারণের মতো লাইন দিয়ে তিনি সেখানকার একটি এটিএম বুথ থেকে রুপি তোলেন। এরপর সবাইকে হতবাক করে লাইনে দাঁড়ান রেলের টিকিটের জন্য। টিকিট নিয়ে উঠে যান একেবারে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক কামরায়।
নিজেদের মধ্যে ভিভিআইপিকে পেয়ে কামরার যাত্রীরা একেবারে থ। মাঝের আসনে বসে রাহুল তাদের সঙ্গে জুড়লেন গল্প। আমজনতা তাদের দুঃখ-কষ্টের কথাও বলল। অনেকে নিল রাহুলের অটোগ্রাফ। ট্রেন পৌঁছায় দাদারে। তখন বাজে দুপুর একটা ১৭ মিনিট। এভাবে তিনি রেল বদলে যান ঘাটকোপারে। সেখানেও জনতার বিশাল ভিড়। এভাবে শিবসেনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদেরই শক্ত ঘাঁটিতে জনতার মধ্যে নির্বিকারে ঘুরে বেড়ালেন রাহুল। এভাবে রাহুল সমুচিত জবাব দিলেন বালসাহেব ঠাকরেদের।
এই তিনটি এলাকা সফরের আরও একটি কারণ হলো, এগুলো শিবসেনার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। শুধু তাই নয়, এসব এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি এদিন মিশে গিয়ে আড্ডাও দিয়েছেন। নিজে ট্রেনের টিকিট কেটেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনিও লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
মুম্বাই কার? রাহুল বলেছেন, মুম্বাই সবার। শিবসেনাদের দাবি, মুম্বাই মারাঠিদের। এই বিতর্কে জিততেই কিনা রাহুল প্রমাণ করলেন, তিনি কারও হুমকির পরোয়া করেন না। মুম্বাই সবার।
রাহুল শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানে করে নামেন ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে। সেখান থেকে তিনি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে প্রায় সহস্রাধিক কলেজশিক্ষার্থীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য ‘ভাইদাস হল’-এ যান। অবশ্য সঙ্গে ছিলেন নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, এনএসজি ও র্যাফ সদস্য। এ সময় ওই এলাকায় শিবসেনার কয়েক শ নারী সমর্থক থাকলেও নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙতে পারেনি তারা।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ভাইদাস হল থেকে বেরিয়ে পবনহংস হেলিপেড থেকে হেলিকপ্টারে করে রাহুলের যাওয়ার কথা ছিল ভিক্রোলির গোদরেজ কম্পাউন্ডে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও জানতেন তেমনটাই। কিন্তু এর পরই শুরু হলো রাহুলের চমক। তিনি হেলিকপ্টারের বদলে ভাইদাস হল থেকে গাড়িবহর নিয়ে ছুটলেন আন্ধেরি স্টেশনের দিকে, গাড়ির ফোটবোর্ডে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে নাড়তে। পথে জনতার অনেকে হাত মেলাল। হঠাত্ তিনি পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন কোনো রুপি নেই। অগত্যা সান্তাক্রুজে নেমে অন্য সাধারণের মতো লাইন দিয়ে তিনি সেখানকার একটি এটিএম বুথ থেকে রুপি তোলেন। এরপর সবাইকে হতবাক করে লাইনে দাঁড়ান রেলের টিকিটের জন্য। টিকিট নিয়ে উঠে যান একেবারে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক কামরায়।
নিজেদের মধ্যে ভিভিআইপিকে পেয়ে কামরার যাত্রীরা একেবারে থ। মাঝের আসনে বসে রাহুল তাদের সঙ্গে জুড়লেন গল্প। আমজনতা তাদের দুঃখ-কষ্টের কথাও বলল। অনেকে নিল রাহুলের অটোগ্রাফ। ট্রেন পৌঁছায় দাদারে। তখন বাজে দুপুর একটা ১৭ মিনিট। এভাবে তিনি রেল বদলে যান ঘাটকোপারে। সেখানেও জনতার বিশাল ভিড়। এভাবে শিবসেনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদেরই শক্ত ঘাঁটিতে জনতার মধ্যে নির্বিকারে ঘুরে বেড়ালেন রাহুল। এভাবে রাহুল সমুচিত জবাব দিলেন বালসাহেব ঠাকরেদের।
No comments