মাওবাদী দমনে ভারতের ছয় রাজ্যে শুরু হচ্ছে অভিযান
মাওবাদী দমনের জন্য এবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে। মাওবাদীদের দমনে এবার মাওবাদী প্রভাবিত ছয়টি রাজ্যেই দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু করছে সবচেয়ে বড় অভিযান ’অপারেশন গ্রিন হান্ট’। এই অভিযান চলবে পশ্চিমবঙ্গসহ ছয়টি রাজ্যে। রাজ্য ছয়টি হলো—ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, বিহার, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ও পশ্চিমবঙ্গ। তবে এর আগে গত ১১ নভেম্বর থেকে মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ে প্রথম পর্যায়ের ’অপারেশন গ্রিন হান্ট’ শুরু হয়েছে। এবার বাকি চারটি রাজ্যের সঙ্গে ওই দুটি রাজ্যেই একযোগে শুরু হবে ‘অপারেশন গ্রিন হান্ট’।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযান শুরু হতে পারে এ মাসের ১৫ তারিখ থেকে ওই ছয় রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত ৩৬টি জেলায়। এই তারিখ চূড়ান্ত করতে ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় মহাকরণে বসছে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা ও বিহারের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবদের এক বৈঠক। এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গেছে, মাওবাদী দমনে এই অভিযান চলবে জলে-স্থলে এবং আকাশপথে। এ জন্য সেনাবাহিনী থেকে হেলিকপ্টারের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। এই অভিযান হবে সর্বাত্মক। চলবে জঙ্গল, নদী, পাহাড়ে। অভিযানে যোগ দেবে ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপি, বিএসএফ, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ, আইআরবি, রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, ইএফআর এবং কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশনের (কোবরা) জওয়ানেরা।
পশ্চিমবঙ্গে এই অভিযানে অংশ নেবে অন্তত পাঁচ হাজারের বেশি আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য। এই অভিযান চলবে পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী অধ্যুষিত তিনটি জেলার ২১টি থানা এলাকায়। জেলা তিনটি হলো পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুরা।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব অর্ধেন্দু সেন বৃহস্পতিবার রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমবঙ্গে ’গ্রে হাউন্ড’ ধাঁচে একটি বিশেষ বাহিনী গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য রাজ্য সরকার ২৫ কোটি রুপি বরাদ্দ করবে।
তিনি আরও জানান, এই বাহিনী গড়ার জন্য দ্রুত নিয়োগ করা হবে ৫০০ থেকে ৬০০ যুবককে। এদের প্রশিক্ষণ দেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী, সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বা বিএসএফ এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী বা সিআরপিএফের প্রশিক্ষিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে অপারেশন গ্রিন হান্ট শুরু করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিপিআই (মাওবাদী) আজ রোববার থেকে মাওবাদী অধ্যুষিত এই ছয় রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার বন্ধ্ ডেকেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযান শুরু হতে পারে এ মাসের ১৫ তারিখ থেকে ওই ছয় রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত ৩৬টি জেলায়। এই তারিখ চূড়ান্ত করতে ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় মহাকরণে বসছে চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা ও বিহারের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবদের এক বৈঠক। এ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গেছে, মাওবাদী দমনে এই অভিযান চলবে জলে-স্থলে এবং আকাশপথে। এ জন্য সেনাবাহিনী থেকে হেলিকপ্টারের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। এই অভিযান হবে সর্বাত্মক। চলবে জঙ্গল, নদী, পাহাড়ে। অভিযানে যোগ দেবে ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপি, বিএসএফ, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ, আইআরবি, রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, ইএফআর এবং কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশনের (কোবরা) জওয়ানেরা।
পশ্চিমবঙ্গে এই অভিযানে অংশ নেবে অন্তত পাঁচ হাজারের বেশি আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য। এই অভিযান চলবে পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী অধ্যুষিত তিনটি জেলার ২১টি থানা এলাকায়। জেলা তিনটি হলো পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুরা।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব অর্ধেন্দু সেন বৃহস্পতিবার রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমবঙ্গে ’গ্রে হাউন্ড’ ধাঁচে একটি বিশেষ বাহিনী গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য রাজ্য সরকার ২৫ কোটি রুপি বরাদ্দ করবে।
তিনি আরও জানান, এই বাহিনী গড়ার জন্য দ্রুত নিয়োগ করা হবে ৫০০ থেকে ৬০০ যুবককে। এদের প্রশিক্ষণ দেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী, সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বা বিএসএফ এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী বা সিআরপিএফের প্রশিক্ষিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে অপারেশন গ্রিন হান্ট শুরু করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিপিআই (মাওবাদী) আজ রোববার থেকে মাওবাদী অধ্যুষিত এই ছয় রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার বন্ধ্ ডেকেছে।
No comments