সমালোচনার মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার
জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোয় সমালোচনার মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। গতকাল শনিবার একটি বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্য পিপলস অ্যাকশন ফর ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের নির্বাহী পরিচালক রোহানা হেট্টিয়ারাচ্চি বলেন, জরুরি আইনের ব্যবহার নির্বাচনী প্রচারণাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কোনো নিশ্চয়তা নেই যে সরকার জরুরি অবস্থাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না।
স্বাভাবিক আইন পুনর্বহাল করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও গত শুক্রবার জরুরি আইনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেয় শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট। প্রধানমন্ত্রী রত্মসিরি বিক্রমানায়েক পার্লামেন্টে বলেন, জরুরি অবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ দেশের শত্রুরা নতুনভাবে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে।
জরুরি আইনের আওতায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিনা বিচারে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়। একটি সরকারি সূত্র জানায়, ছয় বছরের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই আগামী সপ্তাহে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে। এপ্রিলের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জরুরি আইন তুলে নিতে ও সরকারবিরোধীদের লক্ষ্য করে চালানো সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সরকারের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটির পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, শ্রীলঙ্কার বন্ধুদের সরকারকে বলা উচিত যে, সুশীল সমাজের ওপর যেকোনো ধরনের দমন-পীড়ন ভবিষ্যত্ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিক্রমানায়েক দাবি করেন, গত বছর সরকারি সেনারা তামিল টাইগার গেরিলাদের গুঁড়িয়ে দিলেও অবশিষ্ট বিদ্রোহীরা পুনর্গঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিরোধীরা সরকারের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের জন্য সরকার জরুরি আইন ব্যবহার করছে।
বেসরকারি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্য পিপলস অ্যাকশন ফর ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের নির্বাহী পরিচালক রোহানা হেট্টিয়ারাচ্চি বলেন, জরুরি আইনের ব্যবহার নির্বাচনী প্রচারণাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। কোনো নিশ্চয়তা নেই যে সরকার জরুরি অবস্থাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না।
স্বাভাবিক আইন পুনর্বহাল করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও গত শুক্রবার জরুরি আইনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেয় শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট। প্রধানমন্ত্রী রত্মসিরি বিক্রমানায়েক পার্লামেন্টে বলেন, জরুরি অবস্থার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ দেশের শত্রুরা নতুনভাবে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে।
জরুরি আইনের আওতায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিনা বিচারে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়। একটি সরকারি সূত্র জানায়, ছয় বছরের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই আগামী সপ্তাহে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে। এপ্রিলের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জরুরি আইন তুলে নিতে ও সরকারবিরোধীদের লক্ষ্য করে চালানো সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সরকারের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটির পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, শ্রীলঙ্কার বন্ধুদের সরকারকে বলা উচিত যে, সুশীল সমাজের ওপর যেকোনো ধরনের দমন-পীড়ন ভবিষ্যত্ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিক্রমানায়েক দাবি করেন, গত বছর সরকারি সেনারা তামিল টাইগার গেরিলাদের গুঁড়িয়ে দিলেও অবশিষ্ট বিদ্রোহীরা পুনর্গঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিরোধীরা সরকারের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের জন্য সরকার জরুরি আইন ব্যবহার করছে।
No comments