আমেরিকা থেকে মুরগি আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক বসাবে চীন
আমেরিকা থেকে মুরগি আমদানির ওপর চড়া হারে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
গত শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে মুরগিজাত পণ্য ‘ডাম্প’ করা হচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সংজ্ঞানুসারে, কোনো প্রতিষ্ঠান তার পণ্য নিজ দেশে যে দামে বিক্রি করে, তার চেয়ে কম দামে যদি অন্য দেশে রপ্তানি করে, তাহলে তা হবে ডাম্পিং।
আর এই ডাম্পিং প্রমাণিত হলে ওই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডাম্পিং-বিরোধী শুল্ক (অ্যান্টি-ডাম্পিং) আরোপ করা যেতে পারে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পদক্ষেপ ঘোষণা করার মাধ্যমে চীন-আমেরিকা বাণিজ্যবিরোধকে আরও উসকে দেওয়া হলো।
চীনা মুদ্রা ইউয়ানের মূল্যমান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ বারবার চীনকে এই বলে অভিযুক্ত করে আসছে যে চীন কৃত্রিমভাবে মুদ্রার মান কমিয়ে রেখেছে, যা তাদের রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিচ্ছে।
তবে কয়েক মাস ধরেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যবিরোধ চরমে উঠেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীন থেকে আমদানি করা মোটরগাড়ির চাকার ওপর জরুরি ভিত্তিতে বাড়তি ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে।
এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন তখনই আমেরিকা থেকে আমদানি করা মুরগিজাত পণ্য ডাম্পিং হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার ঘোষণা দেয়। শুক্রবারের সিদ্ধান্ত সেই তদন্তেরই ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
মুরগির পা ও পাখনা প্রক্রিয়াজত করে আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো এগুলো ব্যাপক পরিমাণে চীনে রপ্তানি করে থাকে। বর্তমানে চীন এসব পণ্যের এক বিরাট বাজার। অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হলে চীনে এগুলোর আমদানি ব্যয় বর্তমানের তুলনায় কয়েক গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
চাইনিজ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াং জিউলিন বলেন, মুরগির পা ও পাখনার তেমন কোনো চাহিদা আমেরিকায় নেই। আর তাই তারা এগুলো চীনে রপ্তানি করে। তবে উত্পাদন খরচের চেয়ে কম দামে রপ্তানি করে তারা এখানে বাজার গড়েছে।
ওয়াং জিউলিন আরও বলেন, কয়েক বছর ধরেই এসব পণ্যের আমদানি বাড়ছে। এর ফলে স্থানীয় উত্পাদকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাঁরা সরকারের কাছে ডাম্পিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
বর্তমানে আমেরিকা থেকে প্রতি টন মুরিগর পাখনা ও পা আমদানিতে ৭৩ ডলার শুল্ক ও ১৩ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর দিতে হয়। অর্থাত্ প্রতি পাউন্ড মুরগিজাত পণ্যের দাম পড়ে প্রায় ৫৪ সেন্ট যেখানে চীনা মুরগিজাত এসব পণ্যের দাম পড়ে ৭৬ সেন্ট।
এখন ৪৩ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে ১০৫ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হলে প্রতি পাউন্ড মুরগিজাত পণ্যের আমদানি মূল্য অনেক বেড়ে যাবে।
চীন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চহারে এই অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করবে বলে জানিয়েছে।
গত শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে মুরগিজাত পণ্য ‘ডাম্প’ করা হচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সংজ্ঞানুসারে, কোনো প্রতিষ্ঠান তার পণ্য নিজ দেশে যে দামে বিক্রি করে, তার চেয়ে কম দামে যদি অন্য দেশে রপ্তানি করে, তাহলে তা হবে ডাম্পিং।
আর এই ডাম্পিং প্রমাণিত হলে ওই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডাম্পিং-বিরোধী শুল্ক (অ্যান্টি-ডাম্পিং) আরোপ করা যেতে পারে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পদক্ষেপ ঘোষণা করার মাধ্যমে চীন-আমেরিকা বাণিজ্যবিরোধকে আরও উসকে দেওয়া হলো।
চীনা মুদ্রা ইউয়ানের মূল্যমান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ বারবার চীনকে এই বলে অভিযুক্ত করে আসছে যে চীন কৃত্রিমভাবে মুদ্রার মান কমিয়ে রেখেছে, যা তাদের রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিচ্ছে।
তবে কয়েক মাস ধরেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যবিরোধ চরমে উঠেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীন থেকে আমদানি করা মোটরগাড়ির চাকার ওপর জরুরি ভিত্তিতে বাড়তি ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে।
এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীন তখনই আমেরিকা থেকে আমদানি করা মুরগিজাত পণ্য ডাম্পিং হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার ঘোষণা দেয়। শুক্রবারের সিদ্ধান্ত সেই তদন্তেরই ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
মুরগির পা ও পাখনা প্রক্রিয়াজত করে আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো এগুলো ব্যাপক পরিমাণে চীনে রপ্তানি করে থাকে। বর্তমানে চীন এসব পণ্যের এক বিরাট বাজার। অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হলে চীনে এগুলোর আমদানি ব্যয় বর্তমানের তুলনায় কয়েক গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
চাইনিজ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াং জিউলিন বলেন, মুরগির পা ও পাখনার তেমন কোনো চাহিদা আমেরিকায় নেই। আর তাই তারা এগুলো চীনে রপ্তানি করে। তবে উত্পাদন খরচের চেয়ে কম দামে রপ্তানি করে তারা এখানে বাজার গড়েছে।
ওয়াং জিউলিন আরও বলেন, কয়েক বছর ধরেই এসব পণ্যের আমদানি বাড়ছে। এর ফলে স্থানীয় উত্পাদকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাঁরা সরকারের কাছে ডাম্পিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
বর্তমানে আমেরিকা থেকে প্রতি টন মুরিগর পাখনা ও পা আমদানিতে ৭৩ ডলার শুল্ক ও ১৩ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর দিতে হয়। অর্থাত্ প্রতি পাউন্ড মুরগিজাত পণ্যের দাম পড়ে প্রায় ৫৪ সেন্ট যেখানে চীনা মুরগিজাত এসব পণ্যের দাম পড়ে ৭৬ সেন্ট।
এখন ৪৩ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে ১০৫ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হলে প্রতি পাউন্ড মুরগিজাত পণ্যের আমদানি মূল্য অনেক বেড়ে যাবে।
চীন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চহারে এই অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করবে বলে জানিয়েছে।
No comments