‘৩০ লাখ শহীদের তালিকা প্রকাশ করুন’ -গয়েশ্বর
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়ার আগে
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের তালিকা পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য সরকারের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যু
ার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান। গয়েশ্বর রায়
বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদ ও ঘৃণা সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এর
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সত্য কথায়
রাষ্ট্রদ্রোহিতা আর মিথ্যা কথা বলে দেশপ্রেম, এই নীতিতে বিশ্বাস করি না।
সত্য যত নির্মম হোক সত্য সত্যই। ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হয়। কে কত লাখ বললোÑ
এটা বড় কথা নয়। গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। তিনি
বলেন, ৩০ লাখ শহীদের নামের তালিকা যদি জনগণের সামনে উপস্থিত করতে পারেন
তারপর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত খুশি মামলা করেন। শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ হোক
বা ৬০ লাখ হোক তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। তাদের তালিকা থাকবে না
কেন। বিএনপির এই সিনিয়ল নেতা বলেন, এই শহীদদের নামে এলাকায় এলাকায়
স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে। শহীদ পরিবার আমাদের কাছে অধিকার রাখে তাদের
পাশে দাঁড়ানোর এবং তাদের ভাল মন্দ দেখার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের
পৃষ্ঠপোষকতা করার। এ জন্য সরকারকে বলবো মামলা যতই দেন লাভ হবে না। দলের
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজের ভাল থাকার জন্য মামলার ভয়ে কৌশল
অবলম্বন না করে বুক টান করে রাজপথে হাঁটুন। নেত্রীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে
নেবেন না। আমরা যত চুপ করে থাকি না কেন মামলা আমাদের ছাড়বে না। সহকর্মীদের
গুমের মিছিল অনেক বড় হয়ে গেছে। শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নিখোঁজ
গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। রক্ত ও জীবন দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মিলাদ মাহফিলে বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,
যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট
আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত
ছিলেন।
No comments