নিজের বেলায় ষোলো আনা! by সামছুর রহমান
উত্তরা রাজউক মার্কেটের পার্কিংয়ের জায়গাজুড়ে বসানো হয়েছে অবৈধ দোকানপাটl -প্রথম আলো |
বেসমেন্ট
বা ভূতলের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশেষ অভিযান চলছে। ভবনে আসা যানবাহনের
কারণে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয় বলেই এই অভিযান। কিন্তু নিজেদের প্রতিষ্ঠানের
বেলায় সে নিয়ম মানছে না রাজউক।
বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮ জানুয়ারি থেকে উত্তরার বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত রাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে গড়ে ওঠা ৫৭টি দোকান এখনো বহাল আছে। রাজউক বলছে, ভবনটির নকশায় বেসমেন্টে দোকান করার অনুমতি আছে।
রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ) আসমাউল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজউকের নিজস্ব ভবন বলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না, এটি যুক্তিসংগত প্রশ্ন। ভবনটির নকশায় অনুমোদিত আছে বলে জানি, পরীক্ষা করে দেখতে হবে কতটুকুর অনুমোদন আছে। নয়তলা ভবনের হিসাবে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা রাখা আছে কি না, তাও প্রশ্নসাপেক্ষ।’
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ৭ নম্বর সেক্টরে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পশ্চিম পাশে নয়তলা রাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। কমপ্লেক্সের বেসমেন্টের চারপাশে দোকান। বেসমেন্টের দোকানে প্রবেশের জন্য তিনটি সিঁড়ি আছে। বেসমেন্টের মাঝখানে গাড়ি রাখার জন্য একটু ফাঁকা জায়গা। সেখানে তিনটি গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল রাখা। গাড়ি প্রবেশের জন্য একটা ঢালু পথ আছে।
দোকানমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমপ্লেক্সটি রাজউকের কর্মচারীদের কল্যাণ সমিতির। ২০০০ সালে মার্কেট নির্মাণের পর থেকেই তাঁরা এখানে ব্যবসা করছেন। দোকানের জায়গাগুলো রাজউক স্থায়ীভাবে বিক্রি করেছে। এখন কেউ নিজেই দোকান পরিচালনা করছেন, কেউ ভাড়া দিয়েছেন।
রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, ‘আমাদের এটি মার্কেট ভবন। গাড়ি এসে বেশিক্ষণ থাকে না। নকশায় অনুমোদন নিয়ে কিছু দোকান করা হয়েছে। পার্কিংয়ের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে।’ তবে গতকাল দেখা যায়, কমপ্লেক্সে আসা গাড়িগুলো ভবনের সামনের রাস্তায় রাখা। বেসমেন্টের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা যানজট সৃষ্টি করছে বলে গত রোববার উত্তরার ছয়টি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাজউক। রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের খানিক দূরে অবস্থিত কুশল সেন্টারের বেসমেন্টের ১৭০টি দোকান ভেঙে দেয় উচ্ছেদকারীরা। এ সময় রাজউক কমপ্লেক্সেরও সামনের দুটি দোকান, র্যাম্প, সিঁড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। তবে বেসমেন্টের দোকানগুলোর বিষয়ে কিছু করা হয়নি।
গতকাল কুশল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, উচ্ছেদ হওয়া দোকানের লোকজন জড়ো হয়ে আছেন। ভাঙা জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানি বলেন, ‘কুশল সেন্টারের বেসমেন্টে দোকান বেআইনি, তা মেনে নিচ্ছি। উচ্ছেদ করল, তা-ও মানলাম। কিন্তু রাজউকের কমপ্লেক্স বলে সেখানে দোকান থাকবে, এটা এক দেশে দুই আইনের মতো ব্যাপার।’
এ বিষয়ে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজউক যদি বেসমেন্টে দোকান করে, তাহলে অন্যরাও করার অনুমতি চাইবে। বেসমেন্টে দোকান না করার আইন সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। রাজউকের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য। কারণ, রাজউক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’ রাজউক আশপাশের ভবনের বেসমেন্টে গড়ে ওঠা দোকানপাট ভেঙে দেওয়ায় আতঙ্কে আছেন রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের দোকানিরাও। মিতু অ্যাডসের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘দোকানের কিছু হলে আমরা পথে বসে যাব। রাজউক নিজে বিক্রি করছে। ভাঙতে হলে আগে আমাদের পুনর্বাসন করতে হবে।’ এসব দোকানের বিষয়ে রাজউকের সদস্য আসমাউল হোসেন বলেন, পুরাতন ভবনগুলোর ক্ষেত্রে বেসমেন্টে পার্কিং না রাখার সমস্যা বেশি। রাজউক কমপ্লেক্সের বেসমেন্টের দোকানের বিষয়ে কী করা হবে, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। যদি নকশা সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তাহলে সংশোধন করা হবে।
বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮ জানুয়ারি থেকে উত্তরার বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত রাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের বেসমেন্টে গড়ে ওঠা ৫৭টি দোকান এখনো বহাল আছে। রাজউক বলছে, ভবনটির নকশায় বেসমেন্টে দোকান করার অনুমতি আছে।
রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ) আসমাউল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজউকের নিজস্ব ভবন বলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না, এটি যুক্তিসংগত প্রশ্ন। ভবনটির নকশায় অনুমোদিত আছে বলে জানি, পরীক্ষা করে দেখতে হবে কতটুকুর অনুমোদন আছে। নয়তলা ভবনের হিসাবে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা রাখা আছে কি না, তাও প্রশ্নসাপেক্ষ।’
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, ৭ নম্বর সেক্টরে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পশ্চিম পাশে নয়তলা রাজউক কর্মচারী কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। কমপ্লেক্সের বেসমেন্টের চারপাশে দোকান। বেসমেন্টের দোকানে প্রবেশের জন্য তিনটি সিঁড়ি আছে। বেসমেন্টের মাঝখানে গাড়ি রাখার জন্য একটু ফাঁকা জায়গা। সেখানে তিনটি গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল রাখা। গাড়ি প্রবেশের জন্য একটা ঢালু পথ আছে।
দোকানমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কমপ্লেক্সটি রাজউকের কর্মচারীদের কল্যাণ সমিতির। ২০০০ সালে মার্কেট নির্মাণের পর থেকেই তাঁরা এখানে ব্যবসা করছেন। দোকানের জায়গাগুলো রাজউক স্থায়ীভাবে বিক্রি করেছে। এখন কেউ নিজেই দোকান পরিচালনা করছেন, কেউ ভাড়া দিয়েছেন।
রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, ‘আমাদের এটি মার্কেট ভবন। গাড়ি এসে বেশিক্ষণ থাকে না। নকশায় অনুমোদন নিয়ে কিছু দোকান করা হয়েছে। পার্কিংয়ের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে।’ তবে গতকাল দেখা যায়, কমপ্লেক্সে আসা গাড়িগুলো ভবনের সামনের রাস্তায় রাখা। বেসমেন্টের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা যানজট সৃষ্টি করছে বলে গত রোববার উত্তরার ছয়টি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাজউক। রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের খানিক দূরে অবস্থিত কুশল সেন্টারের বেসমেন্টের ১৭০টি দোকান ভেঙে দেয় উচ্ছেদকারীরা। এ সময় রাজউক কমপ্লেক্সেরও সামনের দুটি দোকান, র্যাম্প, সিঁড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। তবে বেসমেন্টের দোকানগুলোর বিষয়ে কিছু করা হয়নি।
গতকাল কুশল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, উচ্ছেদ হওয়া দোকানের লোকজন জড়ো হয়ে আছেন। ভাঙা জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানি বলেন, ‘কুশল সেন্টারের বেসমেন্টে দোকান বেআইনি, তা মেনে নিচ্ছি। উচ্ছেদ করল, তা-ও মানলাম। কিন্তু রাজউকের কমপ্লেক্স বলে সেখানে দোকান থাকবে, এটা এক দেশে দুই আইনের মতো ব্যাপার।’
এ বিষয়ে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজউক যদি বেসমেন্টে দোকান করে, তাহলে অন্যরাও করার অনুমতি চাইবে। বেসমেন্টে দোকান না করার আইন সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। রাজউকের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য। কারণ, রাজউক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’ রাজউক আশপাশের ভবনের বেসমেন্টে গড়ে ওঠা দোকানপাট ভেঙে দেওয়ায় আতঙ্কে আছেন রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের দোকানিরাও। মিতু অ্যাডসের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘দোকানের কিছু হলে আমরা পথে বসে যাব। রাজউক নিজে বিক্রি করছে। ভাঙতে হলে আগে আমাদের পুনর্বাসন করতে হবে।’ এসব দোকানের বিষয়ে রাজউকের সদস্য আসমাউল হোসেন বলেন, পুরাতন ভবনগুলোর ক্ষেত্রে বেসমেন্টে পার্কিং না রাখার সমস্যা বেশি। রাজউক কমপ্লেক্সের বেসমেন্টের দোকানের বিষয়ে কী করা হবে, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। যদি নকশা সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তাহলে সংশোধন করা হবে।
No comments