ট্রেন চলছে জোড়াতালি দিয়ে- ইঞ্জিন বগি সঙ্কট ; যাত্রীসেবা তলানিতে by মনির হোসেন
ট্রেনের অভ্যন্তরে বেহাল অবস্থা। ছবিটি গতকাল কমলাপুর স্টেশনের একটি ট্রেন থেকে তোলা : নয়া দিগন্ত |
দুই-একটি
ট্রেনে যাত্রীরা ভালো সেবা পেলেও সারা দেশে চলাচলকারী বেশির ভাগ ট্রেনেই
যাত্রীসেবার মান তলানীতে ঠেকেছে। ইঞ্জিন ও বগি সঙ্কটে প্রতিনিয়ত ট্রেনের
শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ছে। এতে যাত্রী হয়রানি আর ভোগান্তি চরম পর্যায়ে
পৌঁছেছে। বিশেষ করে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল প্রায়ই লণ্ডভণ্ড হয়ে
পড়ছে। এরপরও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাত্রীদের সেবা দিতে অনেকটা
জোড়াতালি দিয়েই ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছেন। ট্রেনের শিডিউল
নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন স্টেশনে ম্যানেজার ও মাস্টারের সাথে যাত্রীদের
বাকবিতণ্ডা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ দিকে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির আগে অবশ্যই সেবার মান শতভাগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রী, রেল বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে রেলসংশ্লিষ্টরা। তার আগে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলে রেলমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের বেশির ভাগ নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারছে না। এতে হাজার হাজার নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশুকে স্টেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিদিন নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাত্রীদের আশ্বস্ত করে বলছেন, ইঞ্জিন পুরনো, বগি ও অপর্যাপ্ত জনবল ও রেললাইন খারাপ থাকায় নির্ধারিত সময়ে ট্রেন আসা-যাওয়া করতে বিলম্ব হচ্ছে। তারপরও অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের এসব কথায় কোনোভাবেই সাধারণ যাত্রীরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তারা বলছেন, রেলের ভাড়া দ্বিগুণ করার পরও এখনো সেবার মান বাড়েনি। পুরনো নিয়মেই চলছে।
কমলাপুর স্টেশনে সরেজমিন খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, প্রতিদিন টিভি স্ক্রিনে ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়া ও ঢাকায় ট্রেন পৌঁছানোর শিডিউল বিপর্যয়ের চিত্র দেখতে পান যাত্রীরা। এতে অনেকেই স্টেশনে এসে হতাশ হয়ে পড়েন। এরপরও ট্রেন কখন আসবে, কখন ছেড়ে যাবে এ নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার ও মাস্টারের রুমে যাত্রীদের প্রায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ট্রেনের সেবার মান বাড়ার বদলে দিন দিন শুধু খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এর মধ্যে মান্ধাতা আমলের আসন, কোনো কোনো আসন এতটাই খারাপ যে, তারকাঁটা দিয়ে সিট বেঁধে রাখা হয়েছে। কোনো সিটে বসলেই ওই যাত্রী হঠাৎ ভেতরে ঢুকে পড়ছেন। লম্বা মানুষ সিটে আরামদায়কভাবে বসতে পারছেন না। এসব সিটে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বসা খুবই বিপজ্জনক। শুধু সিটের দৈন্যদশাই নয়, সিটকিনি না থাকায় বা অকেজো হওয়ায় জানালা উঠালেই নিচে নেমে যায়। এতে যাত্রীরা প্রায়ই হাতে ব্যথা পান। আবার কোনো কোনো জানালা এতটাই টাইট যে তা সহজে ওঠা-নামা করা যায় না। তা ছাড়া বাথরুমগুলোর বেশির ভাগই অপরিচ্ছন্ন। ঠিকমতো ফ্যান ঘুরে না। আবার কোনো কোনো ফ্যান এতটাই পুরনো যে চলার সময় বিকট শব্দ করে। এমন চিত্র ট্রেনের বেশির ভাগ বগিতেই বিরাজ করছে। যাত্রীদের দাবিÑ ট্রেনে সেবার মান বলতে এখনো তেমন কিছুই নেই।
গত সপ্তাহে (শুক্রবার) মহানগর গোধুলী ঢাকা থেকে ২২টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা। সেটি রাত ২৩ টা ৪০ মিনিটে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আবার তুর্ণা নিশিতা ট্রেনটি রাত ২৩টা ৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় ১২টা ৫০ মিনিটে। এসব রুটে শিডিউল বিপর্যয় হলেও রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ রুটের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এসব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রায়ই অন্য ট্রেনের বগি খুলে জোড়াতালি দিয়ে চালাতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের ইঞ্জিন সঙ্কট, বগি সঙ্কট ও জনবল সঙ্কট আছে। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিলম্বের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ট্রেনটি প্রতিদিন বিলম্বে আসছে আবার বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সাথে এ নিয়ে স্টেশনে দায়িত্বরতদের কথা কাটাকাটি হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ কয়েকটি রুটে কখনো কখনো আধা ঘণ্টা, কোনোটি এক ঘণ্টা বিলম্ব হলেও রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর রুটের অবস্থা আসলেই খারাপ। এই রুটে প্রায়ই ইঞ্জিন থাকে না, বগি থাকে না। বাধ্য হয়ে ট্রেন চালানোর জন্য অন্যখান থেকে বগি হাওলাত করে আনতে হয়। মোট কথা জোড়াতালি দিয়ে আমাদের ট্রেন চালাতে হচ্ছে। আমরা শুধু শুনছি ইঞ্জিন-বগি আসছে। যত দিন না আসবে তত দিন এভাবেই ট্রেন চলবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সম্প্রতি নরসিংদীতে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার জন্য রেললাইন সংস্কার না করার পাশাপাশি স্টেশন মাস্টারের অসাবধানতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এখন রেললাইনের সংস্কার না হলে আমরা কী করতে পারি?
গতকাল রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো: খলীলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ইঞ্জিন-বগির কোনো সঙ্কট নেই। ট্রেনতো ঠিকভাবেই চলছে। তাহলে কেন শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই তো, সবমিলিয়েই ট্রেন চলছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় তুর্ণা নিশিতা ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার আগে এই ট্রেনের স্টুয়ার্ড জানান, ট্রেনের সেবার মান না বাড়িয়ে ভাড়া বাড়ানো কোনোমতেই ঠিক হবে না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ট্রেনের সেবার মান বাড়ার লক্ষণ চোখে পড়ছে না। ইঞ্জিন-বগি ভালো না। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা না হলে শিডিউল ঠিকই থাকে। কিছু এলাকার রেললাইন সংস্কার করতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এই ট্রেনে ১৮টি বগি রয়েছে। এই ট্রেন ২৫টি বগি পর্যন্ত টানতে পারবে। বগি কম থাকার কারণে যাত্রী কম যাচ্ছে। এতে রেলের আয়ও কম হচ্ছে। একই সাথে এই ট্রেনে আড়াই হাজার যাত্রীর মধ্যে ৪০০-৫০০ যাত্রী দাঁড়ানো টিকিট নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা যাত্রীদের কিভাবে ভালো সেবা দিতে পারি?
এ দিকে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির আগে অবশ্যই সেবার মান শতভাগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রী, রেল বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে রেলসংশ্লিষ্টরা। তার আগে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলে রেলমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন গন্তব্য ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের বেশির ভাগ নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারছে না। এতে হাজার হাজার নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশুকে স্টেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতিদিন নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাত্রীদের আশ্বস্ত করে বলছেন, ইঞ্জিন পুরনো, বগি ও অপর্যাপ্ত জনবল ও রেললাইন খারাপ থাকায় নির্ধারিত সময়ে ট্রেন আসা-যাওয়া করতে বিলম্ব হচ্ছে। তারপরও অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের এসব কথায় কোনোভাবেই সাধারণ যাত্রীরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তারা বলছেন, রেলের ভাড়া দ্বিগুণ করার পরও এখনো সেবার মান বাড়েনি। পুরনো নিয়মেই চলছে।
কমলাপুর স্টেশনে সরেজমিন খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, প্রতিদিন টিভি স্ক্রিনে ঢাকা থেকে ট্রেন ছাড়া ও ঢাকায় ট্রেন পৌঁছানোর শিডিউল বিপর্যয়ের চিত্র দেখতে পান যাত্রীরা। এতে অনেকেই স্টেশনে এসে হতাশ হয়ে পড়েন। এরপরও ট্রেন কখন আসবে, কখন ছেড়ে যাবে এ নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার ও মাস্টারের রুমে যাত্রীদের প্রায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ট্রেনের সেবার মান বাড়ার বদলে দিন দিন শুধু খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এর মধ্যে মান্ধাতা আমলের আসন, কোনো কোনো আসন এতটাই খারাপ যে, তারকাঁটা দিয়ে সিট বেঁধে রাখা হয়েছে। কোনো সিটে বসলেই ওই যাত্রী হঠাৎ ভেতরে ঢুকে পড়ছেন। লম্বা মানুষ সিটে আরামদায়কভাবে বসতে পারছেন না। এসব সিটে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের বসা খুবই বিপজ্জনক। শুধু সিটের দৈন্যদশাই নয়, সিটকিনি না থাকায় বা অকেজো হওয়ায় জানালা উঠালেই নিচে নেমে যায়। এতে যাত্রীরা প্রায়ই হাতে ব্যথা পান। আবার কোনো কোনো জানালা এতটাই টাইট যে তা সহজে ওঠা-নামা করা যায় না। তা ছাড়া বাথরুমগুলোর বেশির ভাগই অপরিচ্ছন্ন। ঠিকমতো ফ্যান ঘুরে না। আবার কোনো কোনো ফ্যান এতটাই পুরনো যে চলার সময় বিকট শব্দ করে। এমন চিত্র ট্রেনের বেশির ভাগ বগিতেই বিরাজ করছে। যাত্রীদের দাবিÑ ট্রেনে সেবার মান বলতে এখনো তেমন কিছুই নেই।
গত সপ্তাহে (শুক্রবার) মহানগর গোধুলী ঢাকা থেকে ২২টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা। সেটি রাত ২৩ টা ৪০ মিনিটে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আবার তুর্ণা নিশিতা ট্রেনটি রাত ২৩টা ৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় ১২টা ৫০ মিনিটে। এসব রুটে শিডিউল বিপর্যয় হলেও রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ রুটের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এসব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রায়ই অন্য ট্রেনের বগি খুলে জোড়াতালি দিয়ে চালাতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের ইঞ্জিন সঙ্কট, বগি সঙ্কট ও জনবল সঙ্কট আছে। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিলম্বের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ট্রেনটি প্রতিদিন বিলম্বে আসছে আবার বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের সাথে এ নিয়ে স্টেশনে দায়িত্বরতদের কথা কাটাকাটি হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ কয়েকটি রুটে কখনো কখনো আধা ঘণ্টা, কোনোটি এক ঘণ্টা বিলম্ব হলেও রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর রুটের অবস্থা আসলেই খারাপ। এই রুটে প্রায়ই ইঞ্জিন থাকে না, বগি থাকে না। বাধ্য হয়ে ট্রেন চালানোর জন্য অন্যখান থেকে বগি হাওলাত করে আনতে হয়। মোট কথা জোড়াতালি দিয়ে আমাদের ট্রেন চালাতে হচ্ছে। আমরা শুধু শুনছি ইঞ্জিন-বগি আসছে। যত দিন না আসবে তত দিন এভাবেই ট্রেন চলবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সম্প্রতি নরসিংদীতে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার জন্য রেললাইন সংস্কার না করার পাশাপাশি স্টেশন মাস্টারের অসাবধানতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এখন রেললাইনের সংস্কার না হলে আমরা কী করতে পারি?
গতকাল রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো: খলীলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ইঞ্জিন-বগির কোনো সঙ্কট নেই। ট্রেনতো ঠিকভাবেই চলছে। তাহলে কেন শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই তো, সবমিলিয়েই ট্রেন চলছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় তুর্ণা নিশিতা ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার আগে এই ট্রেনের স্টুয়ার্ড জানান, ট্রেনের সেবার মান না বাড়িয়ে ভাড়া বাড়ানো কোনোমতেই ঠিক হবে না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ট্রেনের সেবার মান বাড়ার লক্ষণ চোখে পড়ছে না। ইঞ্জিন-বগি ভালো না। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা না হলে শিডিউল ঠিকই থাকে। কিছু এলাকার রেললাইন সংস্কার করতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এই ট্রেনে ১৮টি বগি রয়েছে। এই ট্রেন ২৫টি বগি পর্যন্ত টানতে পারবে। বগি কম থাকার কারণে যাত্রী কম যাচ্ছে। এতে রেলের আয়ও কম হচ্ছে। একই সাথে এই ট্রেনে আড়াই হাজার যাত্রীর মধ্যে ৪০০-৫০০ যাত্রী দাঁড়ানো টিকিট নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা যাত্রীদের কিভাবে ভালো সেবা দিতে পারি?
No comments