যন্ত্রপাতি আমদানির নামে অর্থ পাচার! by সুজয় মহাজন
মূলধনি যন্ত্রপাতি বা পুঁজি বিনিয়োগের
নামে কি তাহলে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে? এ প্রশ্ন তুলেছে বেসরকারি গবেষণা
সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিক
সময়ে আমদানি করা মূলধনি যন্ত্রপাতির ‘অস্বাভাবিক মূল্য’ বৃদ্ধি ঘটেছে। এটি
কেন হচ্ছে তা যথাযথভাবে খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে
সংস্থাটি।
চলতি বছরের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের অবস্থান নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে সিপিডি তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির নামে টাকা পাচারের এ আশঙ্কা তুলে ধরা হয়। বাজেট-পরবর্তী সিপিডির একাধিক প্রতিবেদনেও এমন শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, বেশির ভাগ মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুল্ক নেই। শূন্য শুল্কের এসব যন্ত্রপাতি আমদানিতে ওভার ইনভয়েসের (প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দেখানো) সুযোগ রয়েছে। তাই যেসব পণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই, সেসব পণ্য আমদানির তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।
চলতি অর্থবছরের (২০১৪-১৫ সাল) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের আমদানি চালানের তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩০টি পণ্য পাওয়া যায়, যেগুলোর আমদানি মূল্য ১০০ কোটির টাকার বেশি। সিপিডি বলছে, এসব পণ্যের আমদানি মূল্যের ১০০ শতাংশের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময়কালে মূলধনি যন্ত্রপাতির মোট আমদানি মূল্য ছিল প্রায় ২৯৩ কোটি মার্কিন ডলার। আর এপ্রিল মাস শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩২১ কোটি মার্কিন ডলারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) ১০ মাসের মধ্যে প্রতি মাসেই ২০ থেকে ৫০ কোটি ডলারের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে।
চার ধরনের আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির ঘটনা বেশি ঘটেছে। এগুলো হলো হেলিকপ্টার ও অন্যান্য বিমান, কম্প্রেসর ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমার। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি মূল্যের ক্ষেত্রে ‘খুবই উচ্চ’ প্রবৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে সিপিডি। তাই এসব আমদানি করা যন্ত্রপাতির ‘আমদানি মূল্য’ বৃদ্ধির বিষয়টি আবারও খতিয়ে দেখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানায় সিপিডি।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) মূলধনি আমদানি যন্ত্রপাতির বিপরীতে যে অর্থ পরিশোধ
করা হয়েছে, তা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি।
এদিকে, বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে সিপিডি আলাদা যে জরিপ করেছে, তাতে দেখা যায় বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬২ শতাংশই প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমেই ‘অর্থ পাচারের’ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাই আমদানি পর্যায়ে অস্বাভাবিক কিছু প্রবণতা চিহ্নিত করে এর ভিত্তিতেই আমদানির নামে অর্থ পাচারের আশঙ্কা করছে সিপিডি।
সিপিডি আরও বলছে, ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও কম। সেখানে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ও সেগুলোর আমদানি মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সন্দেহজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের অবস্থান নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে সিপিডি তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির নামে টাকা পাচারের এ আশঙ্কা তুলে ধরা হয়। বাজেট-পরবর্তী সিপিডির একাধিক প্রতিবেদনেও এমন শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান গত শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, বেশির ভাগ মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুল্ক নেই। শূন্য শুল্কের এসব যন্ত্রপাতি আমদানিতে ওভার ইনভয়েসের (প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দেখানো) সুযোগ রয়েছে। তাই যেসব পণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই, সেসব পণ্য আমদানির তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।
চলতি অর্থবছরের (২০১৪-১৫ সাল) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের আমদানি চালানের তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩০টি পণ্য পাওয়া যায়, যেগুলোর আমদানি মূল্য ১০০ কোটির টাকার বেশি। সিপিডি বলছে, এসব পণ্যের আমদানি মূল্যের ১০০ শতাংশের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময়কালে মূলধনি যন্ত্রপাতির মোট আমদানি মূল্য ছিল প্রায় ২৯৩ কোটি মার্কিন ডলার। আর এপ্রিল মাস শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩২১ কোটি মার্কিন ডলারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-এপ্রিল) ১০ মাসের মধ্যে প্রতি মাসেই ২০ থেকে ৫০ কোটি ডলারের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছে।
চার ধরনের আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির ঘটনা বেশি ঘটেছে। এগুলো হলো হেলিকপ্টার ও অন্যান্য বিমান, কম্প্রেসর ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক তার ও ট্রান্সফরমার। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি মূল্যের ক্ষেত্রে ‘খুবই উচ্চ’ প্রবৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে সিপিডি। তাই এসব আমদানি করা যন্ত্রপাতির ‘আমদানি মূল্য’ বৃদ্ধির বিষয়টি আবারও খতিয়ে দেখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানায় সিপিডি।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) মূলধনি আমদানি যন্ত্রপাতির বিপরীতে যে অর্থ পরিশোধ
করা হয়েছে, তা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি।
এদিকে, বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে সিপিডি আলাদা যে জরিপ করেছে, তাতে দেখা যায় বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬২ শতাংশই প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমেই ‘অর্থ পাচারের’ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাই আমদানি পর্যায়ে অস্বাভাবিক কিছু প্রবণতা চিহ্নিত করে এর ভিত্তিতেই আমদানির নামে অর্থ পাচারের আশঙ্কা করছে সিপিডি।
সিপিডি আরও বলছে, ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও কম। সেখানে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ও সেগুলোর আমদানি মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সন্দেহজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
No comments