কে এই বিশ্ব কাঁপানো বালক!
মুস্তাফিজুর
রহমান। বিশ্ব কাঁপানো ছিপছিপে গড়নের একটি বালক। যার বিস্ময়ে অবাক বিশ্ব।
সবার একই প্রশ্ন আজ, কে এই বালক? কোথায় তার যাদুর রহস্য? আসলে তিনি কোন
দেবদূত নয়। সাধারণ এক পরিবারে জন্ম নেয়া এক বালক।
ব্যবসায়ী বাবা আবুল কাশেম গাজী, মা মাহমুদা খাতুনের ছোট ছেলে হিসেবে তাদের কোল আলোকিত করে ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে জন্ম নেয় মুস্তাফিজুর রহমান। চার ভাই ও দুই বোনের সংসারে বেড়ে উঠে দেশ কাঁপানো এই পেসার। তার বড় ভাই মাহফুজার রহমান গ্রামীনফোনের টেরিটরি অফিসার হিসেবে খুলনায় কর্মরত আছেন। মেজ ভাই জাকির হোসেন ও সেজ ভাই মোকলেছুর রহমান পল্টু এলাকার ঘের ব্যবসায়ী।
স্থানীয় বরেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ক্রিকেট খেলার প্রতি তার আগ্রহ জন্মায়। বরেয়া জিলানী হাই স্কুলে ভর্তির পর তার ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। পড়াশোনায় অতটা মন তার কখনোই ছিল না। স্কুল ফাঁকি দিয়ে সে ক্রিকেট খেলতে যেত। এরপর থেকে ক্রিকেটই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। বরেয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নেট প্রাকটিস করতেন। ক্রিকেটের প্রতি তার অদম্য আগ্রহের কারণে দশম শ্রেণীতে টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার পরও এসএসসি পরীক্ষায় আর অংশ গ্রহণ করা হয়ে উঠেনি তার। ক্রিকেট খেলায় আসার পিছনে সেজ ভাই মোখলেসুর রহমানের অবদান অনেক বেশী। নিজের মোটরসাইকেলে করে ছোট ভাইকে প্রাকটিসে নিয়ে যেতেন তিনি।
মোখলেছুর রহমান লাল্টু জানান, পাঁচ বছর আগে সে সাতক্ষীরায় অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেটে বাছাই পর্বে মুস্তাফিজ সবার নজর কাড়ে। তারপর তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ কোচ করানো হয়। এরপর ২০১০ সালে জেলা পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট খেলায় বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাতক্ষীরার হয়ে প্রথম মাঠে নেমেছিল উদীয়মান এই খেলোয়াড়। এসময় সাতক্ষীরার গণমুখী সংঘে অনুশীলন করে এবং দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে অংশ নেয়। গণমুখী সংঘের কোচ আলতাফই প্রথম ধরতে পেরেছিলেন মুস্তাফিজের ক্রিকেট প্রতিভা। তারই প্রচেষ্টায় উদীয়মান এই পেসার ২০১১ ও ১২ সালে জেলার অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত হয়। জেলা পর্যায়ে এসে মুস্তাফিজকে আরো পরিপক্ব করে তুলতে পরিশ্রম করেন সাতক্ষীরা জেলা কোচ মুফাছিনুল ইসলাম তপু।
জেলা পর্যায়ে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। ২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খুলনা বিভাগীয় দলে ও পরে ডাক পান ন্যাশনাল লীগে খেলার জন্য। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাস্ট বোলিং ক্যাম্পে ট্রায়াল দিতে এসে কোচরা আর ছাড়েননি এই প্রতিভাকে। নিয়মিতই অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন। বল করতেন জাতীয় দলের নেটেও। ধারাবাহিক ভাবে বোলিং এ সাফল্য পাওয়ায় ২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দেশে শ্রীলংকার সঙ্গে। ওই বছরই দেশের হয়ে দুবাইতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব কাপে খেলেন মুস্তাফিজ। ৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ড করেন তিনি। হয়েছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২০১৫ সালে এ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় কিন্তু না খেলেই দেশে চলে আসে সে। ঢাকার ওয়ারী ক্লাবের হয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট খেলে। পরে আবাহনীর হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেয় এবং দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট দখল করে পেসার মুস্তাফিজ সকলের নজর কাড়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি ম্যাচে অবিস্মরণীয় খেলা বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্টোল বোর্ডের আবারো নজর কাড়েন।
মুস্তাফিজ এ ডিভিশনে খেলা শুরু করেন গত বছর এপ্রিলে। তারপর অভিষেক হয়েছিল ঘরোয়া এক দিনের ম্যাচে। অভিষেক ম্যাচের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স বাংলাদেশ দলে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। সব মিলিয়ে বলা যায় নতুন বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবির্ভূত হয় এই ১৯ বছর বয়সী তরুণ বাঁহাতি পেসার। নিজের যোগ্যতায় টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ডাক পেয়ে যান বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার জন্য। বাঁহাতি পেসারের যে ঘাটতি অনুভব করছিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তা হয়তো পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে এই সাতক্ষীরার কৃতি বাঁহাতি পেসার।
এদিকে তার এই পারফরমেন্সে খুশি তার গর্বিত পিতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম গাজী। তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে জানান, আমার ছেলে যে জাতীয় টিমে খেলছে এটি গর্বের বিষয়। ভারতের বিপক্ষে ছেলের খেলা দেখে সত্যিই আমি অভিভূত। দীর্ঘদিনের লালিত একটি স্বপ্ন আজ পূরণ হল। মুস্তাফিজ আমার একার ছেলে নয় গোটা জাতির হয়ে ২২ গজের রণাঙ্গনে লড়বে। জাতীয় দলের হয়ে সামনে যেন সে আরও ভাল খেলতে পারে তার জন্য তিনি সাতক্ষীরাবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
ব্যবসায়ী বাবা আবুল কাশেম গাজী, মা মাহমুদা খাতুনের ছোট ছেলে হিসেবে তাদের কোল আলোকিত করে ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে জন্ম নেয় মুস্তাফিজুর রহমান। চার ভাই ও দুই বোনের সংসারে বেড়ে উঠে দেশ কাঁপানো এই পেসার। তার বড় ভাই মাহফুজার রহমান গ্রামীনফোনের টেরিটরি অফিসার হিসেবে খুলনায় কর্মরত আছেন। মেজ ভাই জাকির হোসেন ও সেজ ভাই মোকলেছুর রহমান পল্টু এলাকার ঘের ব্যবসায়ী।
স্থানীয় বরেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ক্রিকেট খেলার প্রতি তার আগ্রহ জন্মায়। বরেয়া জিলানী হাই স্কুলে ভর্তির পর তার ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। পড়াশোনায় অতটা মন তার কখনোই ছিল না। স্কুল ফাঁকি দিয়ে সে ক্রিকেট খেলতে যেত। এরপর থেকে ক্রিকেটই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। বরেয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নেট প্রাকটিস করতেন। ক্রিকেটের প্রতি তার অদম্য আগ্রহের কারণে দশম শ্রেণীতে টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার পরও এসএসসি পরীক্ষায় আর অংশ গ্রহণ করা হয়ে উঠেনি তার। ক্রিকেট খেলায় আসার পিছনে সেজ ভাই মোখলেসুর রহমানের অবদান অনেক বেশী। নিজের মোটরসাইকেলে করে ছোট ভাইকে প্রাকটিসে নিয়ে যেতেন তিনি।
মোখলেছুর রহমান লাল্টু জানান, পাঁচ বছর আগে সে সাতক্ষীরায় অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেটে বাছাই পর্বে মুস্তাফিজ সবার নজর কাড়ে। তারপর তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ কোচ করানো হয়। এরপর ২০১০ সালে জেলা পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট খেলায় বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাতক্ষীরার হয়ে প্রথম মাঠে নেমেছিল উদীয়মান এই খেলোয়াড়। এসময় সাতক্ষীরার গণমুখী সংঘে অনুশীলন করে এবং দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে অংশ নেয়। গণমুখী সংঘের কোচ আলতাফই প্রথম ধরতে পেরেছিলেন মুস্তাফিজের ক্রিকেট প্রতিভা। তারই প্রচেষ্টায় উদীয়মান এই পেসার ২০১১ ও ১২ সালে জেলার অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত হয়। জেলা পর্যায়ে এসে মুস্তাফিজকে আরো পরিপক্ব করে তুলতে পরিশ্রম করেন সাতক্ষীরা জেলা কোচ মুফাছিনুল ইসলাম তপু।
জেলা পর্যায়ে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। ২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খুলনা বিভাগীয় দলে ও পরে ডাক পান ন্যাশনাল লীগে খেলার জন্য। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ফাস্ট বোলিং ক্যাম্পে ট্রায়াল দিতে এসে কোচরা আর ছাড়েননি এই প্রতিভাকে। নিয়মিতই অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন। বল করতেন জাতীয় দলের নেটেও। ধারাবাহিক ভাবে বোলিং এ সাফল্য পাওয়ায় ২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দেশে শ্রীলংকার সঙ্গে। ওই বছরই দেশের হয়ে দুবাইতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব কাপে খেলেন মুস্তাফিজ। ৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ড করেন তিনি। হয়েছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২০১৫ সালে এ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় কিন্তু না খেলেই দেশে চলে আসে সে। ঢাকার ওয়ারী ক্লাবের হয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট খেলে। পরে আবাহনীর হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে অংশ নেয় এবং দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট দখল করে পেসার মুস্তাফিজ সকলের নজর কাড়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি ম্যাচে অবিস্মরণীয় খেলা বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্টোল বোর্ডের আবারো নজর কাড়েন।
মুস্তাফিজ এ ডিভিশনে খেলা শুরু করেন গত বছর এপ্রিলে। তারপর অভিষেক হয়েছিল ঘরোয়া এক দিনের ম্যাচে। অভিষেক ম্যাচের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স বাংলাদেশ দলে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছিল। সব মিলিয়ে বলা যায় নতুন বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবির্ভূত হয় এই ১৯ বছর বয়সী তরুণ বাঁহাতি পেসার। নিজের যোগ্যতায় টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ডাক পেয়ে যান বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার জন্য। বাঁহাতি পেসারের যে ঘাটতি অনুভব করছিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তা হয়তো পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে এই সাতক্ষীরার কৃতি বাঁহাতি পেসার।
এদিকে তার এই পারফরমেন্সে খুশি তার গর্বিত পিতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম গাজী। তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে জানান, আমার ছেলে যে জাতীয় টিমে খেলছে এটি গর্বের বিষয়। ভারতের বিপক্ষে ছেলের খেলা দেখে সত্যিই আমি অভিভূত। দীর্ঘদিনের লালিত একটি স্বপ্ন আজ পূরণ হল। মুস্তাফিজ আমার একার ছেলে নয় গোটা জাতির হয়ে ২২ গজের রণাঙ্গনে লড়বে। জাতীয় দলের হয়ে সামনে যেন সে আরও ভাল খেলতে পারে তার জন্য তিনি সাতক্ষীরাবাসীসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
No comments