সঙ্কট সমাধানে দু’নেত্রীকে স্মারকলিপি বিজিএমইএর
চলমান
সঙ্কটের সমাধান দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়াকে স্মারকলিপি দিয়েছে পোশাক শিল্প মালিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলো।
একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। রাজধানীর কাওরানবাজারের
বিজিএমইএ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা। কর্মসূচিতে
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম অবরোধে নাশকতাকারীদের দ্রুত বিচারের উদ্যোগ
নেয়ার দাবি জানান। তৈরী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ
নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সংগঠন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল
মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন শেষে
আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে
স্মারকলিপি দেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম এবং বিশেষ
সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
আতিকুল ইসলাম সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে আমরা যেমন
স্মারকলিপি দিয়েছি, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আমরা তার
দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছি। এই স্মারকলিপিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীকেও
বলেছি, আমরা বাঁচতে চাই। একই দাবি বিএনপি চেয়ারপারসনকেও জানিয়েছি।
স্মারকলিপিতে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সাংঘর্ষিক অবস্থান থেকে সরে এসে
‘ব্যবসাবান্ধব রাজনীতি’ করতে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু
পরিবেশ নিশ্চিত করা; পোশাক শিল্পের সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা
করা; ব্যবসায়ীদের শিল্প ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; যারা অর্থনীতি
ধ্বংস করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার কাছে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, আপনি শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার অভাব অনুভূত হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষকে পেট্রলবোমা ছুড়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে। এটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা না হলে নিশ্চিতভাবেই একটি নেতিবাচক মেসেজ সারা বিশ্বে চলে যাবে। ফলে ক্রেতারা বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাবেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা স্বপ্নই থেকে যাবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ৪৫টি সংগঠন, টেক্সটাইল ও এর বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য আহ্বান জানাতে এসেছি। অবরোধে এই ২২ দিনে আমাদের অবস্থা চরমে পৌঁছেছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে আছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে, বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের বাজার নিয়ে যে ভাবমূর্তি রয়েছে, তা নষ্ট হচ্ছে। আর্থিকভাবে এই ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব নয়। অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপির প্রতি বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা রাজনীতিবিদদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা এমন রাজনীতি করুন, এমন কর্মসূচি দিন, যাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি না হয়, যাতে মানুষও বেকার না হয় এবং আপনাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের সমাধান আসে।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তারা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশ ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসা হারানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছি আমরা। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হলেও তারা বলছে আগে বাংলাদেশের সহিংসতা পরিহার করুন।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আপনারা রাজনীতি করেন, দেশ চালান আর আমরা অর্থনীতি সচল রাখার কাজ করি। মানুষ মেরে, অর্থনীতি ধ্বংস করে রাজনীতি করবেন না। অর্থনীতি সচল রেখে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করুন। যারা শিল্প আর অর্থনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, বাংলাদেশকে অকার্য?কর রাষ্ট্রে পরিণত করার ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এটি এই মুহূর্তে থামানো না গেলে নিশ্চিতভাবেই একটি নেতিবাচক বার্তা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আর তাই, যারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সামারি ট্রায়াল করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে দাবি করে আতিকুল ইসলাম আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে শ্রীলঙ্কার মতো করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। শিল্প চলে যাবে অন্য দেশে।
বিটিএমইএ’র সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন, আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। অনেকে আগুনে পুড়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। আবার অনেকে মারা গেছেন। এটা কোন রাজনীতি হতে পারে না। দয়া করে এমন কোন কর্মকান্ডে জড়িত হবেন না, যাতে দেশ-জাতি ও অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে।
বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম আসলাম সানি বলেন, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি আমরা। ক্রেতারা বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। যা হচ্ছে তা রাজনীতির নামে অপরাজনীতি। আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ কর্মকা- পরিচালনা করবে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে। আমরা শান্তি চাই, কোন সহিংসতা চাই না।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমরা এই সঙ্কটাপন্ন অবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।
এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি হেলালউদ্দিন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের জন্য রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি রাজনীতি থেকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। অর্থনীতির স্বার্থে আগামী ২০ বছর দেশে কোন হরতাল-অবরোধ হবে না, সে আইন করুন।
গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা’র সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন দ্রুত শান্তি ফেরানোর দাবি জানান।
গার্মেন্ট মালিক রাফেজ আলম বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংস রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে। পেট্রলবোমার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সমস্যার সমাধানে সরকারকেও সহনশীল হতে অনুরোধ করেন তিনি।
হোটেল সোনারগাঁও থেকে কাওরান বাজার রেলগেট পর্যন্ত এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের সংগঠন, ব্যবসায়ীক সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, পরিবহন সংগঠন, মালিক সংগঠন, বীমা কোম্পানিসহ অর্ধ শতাধিক সংগঠন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মোর্শেদী, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দীন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সনোয়ারা হাকীম আলী ও সহসভাপতি হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার কাছে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, আপনি শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার অভাব অনুভূত হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষকে পেট্রলবোমা ছুড়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে। এটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা না হলে নিশ্চিতভাবেই একটি নেতিবাচক মেসেজ সারা বিশ্বে চলে যাবে। ফলে ক্রেতারা বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাবেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা স্বপ্নই থেকে যাবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ৪৫টি সংগঠন, টেক্সটাইল ও এর বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য আহ্বান জানাতে এসেছি। অবরোধে এই ২২ দিনে আমাদের অবস্থা চরমে পৌঁছেছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে আছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে, বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের বাজার নিয়ে যে ভাবমূর্তি রয়েছে, তা নষ্ট হচ্ছে। আর্থিকভাবে এই ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব নয়। অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপির প্রতি বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা রাজনীতিবিদদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা এমন রাজনীতি করুন, এমন কর্মসূচি দিন, যাতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি না হয়, যাতে মানুষও বেকার না হয় এবং আপনাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের সমাধান আসে।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তারা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশ ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসা হারানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছি আমরা। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হলেও তারা বলছে আগে বাংলাদেশের সহিংসতা পরিহার করুন।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আপনারা রাজনীতি করেন, দেশ চালান আর আমরা অর্থনীতি সচল রাখার কাজ করি। মানুষ মেরে, অর্থনীতি ধ্বংস করে রাজনীতি করবেন না। অর্থনীতি সচল রেখে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করুন। যারা শিল্প আর অর্থনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, বাংলাদেশকে অকার্য?কর রাষ্ট্রে পরিণত করার ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এটি এই মুহূর্তে থামানো না গেলে নিশ্চিতভাবেই একটি নেতিবাচক বার্তা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আর তাই, যারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে জড়িত, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সামারি ট্রায়াল করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে দাবি করে আতিকুল ইসলাম আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে শ্রীলঙ্কার মতো করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। শিল্প চলে যাবে অন্য দেশে।
বিটিএমইএ’র সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন, আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। অনেকে আগুনে পুড়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। আবার অনেকে মারা গেছেন। এটা কোন রাজনীতি হতে পারে না। দয়া করে এমন কোন কর্মকান্ডে জড়িত হবেন না, যাতে দেশ-জাতি ও অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে।
বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম আসলাম সানি বলেন, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি আমরা। ক্রেতারা বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। যা হচ্ছে তা রাজনীতির নামে অপরাজনীতি। আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ কর্মকা- পরিচালনা করবে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে। আমরা শান্তি চাই, কোন সহিংসতা চাই না।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমরা এই সঙ্কটাপন্ন অবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।
এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি হেলালউদ্দিন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের জন্য রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি রাজনীতি থেকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। অর্থনীতির স্বার্থে আগামী ২০ বছর দেশে কোন হরতাল-অবরোধ হবে না, সে আইন করুন।
গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা’র সভাপতি হাবিবুল্লাহ ডন দ্রুত শান্তি ফেরানোর দাবি জানান।
গার্মেন্ট মালিক রাফেজ আলম বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংস রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে। পেট্রলবোমার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সমস্যার সমাধানে সরকারকেও সহনশীল হতে অনুরোধ করেন তিনি।
হোটেল সোনারগাঁও থেকে কাওরান বাজার রেলগেট পর্যন্ত এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের সংগঠন, ব্যবসায়ীক সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, পরিবহন সংগঠন, মালিক সংগঠন, বীমা কোম্পানিসহ অর্ধ শতাধিক সংগঠন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মোর্শেদী, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দীন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সনোয়ারা হাকীম আলী ও সহসভাপতি হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
No comments