সেন্ট মার্টিনে মা লবস্টার নিধন by আব্দুল কুদ্দুস
(সেন্ট মার্টিনে জেলেদের জালে ধরা পড়া একটি মা লবস্টার। ছবিটি গত রোববার তোলা l প্রথম আলো) বঙ্গোপসাগরের
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবাধে চলছে মা লবস্টার নিধন। সৈকতে নোঙরজাল পেতে
ধরা হচ্ছে অসংখ্য ডিমওয়ালা লবস্টার। প্রজনন মৌসুমে জেলেরা লবস্টার শিকার
করলেও প্রশাসন এসব বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে,
সেন্ট মার্টিন সৈকতের আশপাশে সমুদ্রে শতাধিক জাল পেতে লবস্টার ধরা হচ্ছে।
ধরা পড়া বেশির ভাগ লবস্টারের লেজের দিকের অংশে লাল ডিম লেগে আছে। লবস্টার
ধরার পর তা জীবিত রাখতে নেওয়া হচ্ছে নানা কৌশল। কারণ, জীবিত লবস্টারের দাম
বেশি। জেলেরা প্রতিকেজি লবস্টার (প্রতিটি ওজন ৫০০ গ্রামের ওপরে) বিক্রি
করছেন এক হাজার ৬০০ টাকায়। ৫০০ গ্রামের নিচে হলে ১ হাজার ২০০ টাকা।
সর্বোচ্চ দেড় কেজি ওজনের লবস্টারও জালে আটকা পড়ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, লবস্টার চিংড়ির মতোই একটি সমুদ্রিক প্রাণী। একটু বড় ও খোলসমুক্ত। বিশ্বজুড়ে ভোজনবিলাসীদের কাছে লবস্টার প্রিয় ও সুস্বাদু খাবার। এরা সমুদ্রের পাথুরে–প্রবালপ্রাচীর অঞ্চলে বসবাস ও বংশ বিস্তার করে। সমুদ্রের অন্য প্রজাতির প্রাণীর মতোই বছরের দু্ই মৌসুমে ডিম পাড়ে লবস্টার। একটি জুলাই-আগস্ট, অন্যটি ডিসেম্বর-জানুয়ারি। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম।
এ সময় একটি মা লবস্টার ২০ থেকে ২৫ লাখ ডিম দেয়। তিনি জানান, প্রজনন মৌসুমে মা লবস্টার ধরা বন্ধ করা জরুরি। এ জন্য জেলেদের সচেতন করতে হবে। জেলেরা জীবিকার তাগিদে না বুঝে মা–লবস্টার শিকার করছে। এই সময়ে তাদের লবস্টার ধরা থেকে বিরত রাখতে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়, যেটা হাতিয়া, ভোলা, পটুয়াখালী ও চাঁদপুরে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে দেওয়া হয়।
স্থানীয় জেলেরা জানান, দ্বীপে চারদিকে লবস্টার ধরার জাল বসানো হয় তিন শতাধিক। প্রতিদিন এসব জালে তিন থেকে পাঁচ মণ লবস্টার ধরা পড়ে। পর্যটকের চাহিদা পূরণ করে বেশির ভাগ লবস্টার টেকনাফ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করা হয়। হোটেল–রেস্তোরাঁয় রান্না করে এক একটি লবস্টার বিক্রি করে ৮০০ থেকে চার হাজার টাকায়। মিয়ানমারেও বিপুল পরিমাণ লবস্টার পাচার হয়। কারণ সেন্ট মার্টিনে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই বরফ উৎপাদনের কোনো কারখানা।
দ্বীপের বাসিন্দা এবং লবস্টার ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ, হাফেজ আহমদ ও সলিম উল্লাহ জানান, পাঁচ বছর আগে প্রতিিট জালে দৈনিক এক থেকে পাঁচ মণ পর্যন্ত লবস্টার ধরা পড়ত। এখন তিন শতাধিক জালে ধরা পড়ে পাঁচ মণের মতো। কারণ, নির্বিচারে মা লবস্টার নিধন। গত কয়েকদিন ধরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে মা লবস্টার।
উত্তরপাড়ার জেলে সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘১০ বছর ধরে লবস্টার ধরছি। এ ব্যাপারে কেউ নিষেধ করেনি।’ সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, নিষিদ্ধ জালে মা–লবস্টার ধরা হচ্ছে। ডিমওয়ালা লবস্টার আটকা পড়লে ছেড়ে দিতে সচেতন করা হচ্ছে জেলেদের। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ বলেন, সমুদ্রে নেমে লবস্টার নিধন বন্ধ করার মতো নৌযান ও জনবল পুলিশের নেই। তা ছাড়া লবস্টারের প্রজনন মৌসুম সম্পর্কে এখানকার জেলেরা মোটেও সচেতন নয়। লবস্টার আহরণ বন্ধ করতে হলে হোটেল–রেস্তোরাঁয় রান্না করা বন্ধ করতে হবে। অথবা ডিম ছাড়ার মৌসুমে লবস্টার আহরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশ সংকটাপন্ন সেন্ট মার্টিনের চতুর্দিকে কয়েক শ নিষিদ্ধ জাল পেতে রাখায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি উপকূলে ডিম পাড়তে আসা সামুদ্রিক কাছিমেরও মৃত্যু হচ্ছে। এসব দেখার জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরেরও কেউ নেই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, লবস্টার চিংড়ির মতোই একটি সমুদ্রিক প্রাণী। একটু বড় ও খোলসমুক্ত। বিশ্বজুড়ে ভোজনবিলাসীদের কাছে লবস্টার প্রিয় ও সুস্বাদু খাবার। এরা সমুদ্রের পাথুরে–প্রবালপ্রাচীর অঞ্চলে বসবাস ও বংশ বিস্তার করে। সমুদ্রের অন্য প্রজাতির প্রাণীর মতোই বছরের দু্ই মৌসুমে ডিম পাড়ে লবস্টার। একটি জুলাই-আগস্ট, অন্যটি ডিসেম্বর-জানুয়ারি। এখন তাদের প্রজনন মৌসুম।
এ সময় একটি মা লবস্টার ২০ থেকে ২৫ লাখ ডিম দেয়। তিনি জানান, প্রজনন মৌসুমে মা লবস্টার ধরা বন্ধ করা জরুরি। এ জন্য জেলেদের সচেতন করতে হবে। জেলেরা জীবিকার তাগিদে না বুঝে মা–লবস্টার শিকার করছে। এই সময়ে তাদের লবস্টার ধরা থেকে বিরত রাখতে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়, যেটা হাতিয়া, ভোলা, পটুয়াখালী ও চাঁদপুরে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে দেওয়া হয়।
স্থানীয় জেলেরা জানান, দ্বীপে চারদিকে লবস্টার ধরার জাল বসানো হয় তিন শতাধিক। প্রতিদিন এসব জালে তিন থেকে পাঁচ মণ লবস্টার ধরা পড়ে। পর্যটকের চাহিদা পূরণ করে বেশির ভাগ লবস্টার টেকনাফ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করা হয়। হোটেল–রেস্তোরাঁয় রান্না করে এক একটি লবস্টার বিক্রি করে ৮০০ থেকে চার হাজার টাকায়। মিয়ানমারেও বিপুল পরিমাণ লবস্টার পাচার হয়। কারণ সেন্ট মার্টিনে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই বরফ উৎপাদনের কোনো কারখানা।
দ্বীপের বাসিন্দা এবং লবস্টার ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ, হাফেজ আহমদ ও সলিম উল্লাহ জানান, পাঁচ বছর আগে প্রতিিট জালে দৈনিক এক থেকে পাঁচ মণ পর্যন্ত লবস্টার ধরা পড়ত। এখন তিন শতাধিক জালে ধরা পড়ে পাঁচ মণের মতো। কারণ, নির্বিচারে মা লবস্টার নিধন। গত কয়েকদিন ধরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে মা লবস্টার।
উত্তরপাড়ার জেলে সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘১০ বছর ধরে লবস্টার ধরছি। এ ব্যাপারে কেউ নিষেধ করেনি।’ সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, নিষিদ্ধ জালে মা–লবস্টার ধরা হচ্ছে। ডিমওয়ালা লবস্টার আটকা পড়লে ছেড়ে দিতে সচেতন করা হচ্ছে জেলেদের। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ বলেন, সমুদ্রে নেমে লবস্টার নিধন বন্ধ করার মতো নৌযান ও জনবল পুলিশের নেই। তা ছাড়া লবস্টারের প্রজনন মৌসুম সম্পর্কে এখানকার জেলেরা মোটেও সচেতন নয়। লবস্টার আহরণ বন্ধ করতে হলে হোটেল–রেস্তোরাঁয় রান্না করা বন্ধ করতে হবে। অথবা ডিম ছাড়ার মৌসুমে লবস্টার আহরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশ সংকটাপন্ন সেন্ট মার্টিনের চতুর্দিকে কয়েক শ নিষিদ্ধ জাল পেতে রাখায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি উপকূলে ডিম পাড়তে আসা সামুদ্রিক কাছিমেরও মৃত্যু হচ্ছে। এসব দেখার জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরেরও কেউ নেই।
No comments