গাজায় মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে
যুদ্ধবিরতির পর গাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে শত
শত লাশ বেরিয়ে আসছে। উদ্ধারকর্মীরা ৬ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক লাশ উদ্ধার করেছে। এ
নিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতায় গাজায় মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এর
আগে ইসরাইল ও হামাস গাজায় ১২ ঘণ্টার এক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। মূলত
মানবিক কারণে শনিবার সকাল থেকে এই বিরতি নেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। শনিবার
বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর
বিবিসি।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলছে, ইতোপূর্বে গাজা থেকে যাদের সড়ে যেতে বলা হয়েছে তাদের ফিরে আসা উচিত হবেনা। আর আঘাত করা হলেই পাল্টা আঘাত করা হবে।
মানবিক দিক বিবেচনায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারো প্রস্তাবেই সাড়া দেননি নেতানিয়াহু। ইসলায়েলের প্রতিরক্ষা দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইয়ালুন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু ১২ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছেন। নেতানিয়াহু ১২ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি শনিবার জন কেরিকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে হামাস। আর ইসরায়েলের বিমান বাহিনী আক্রমন অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তাদের দাবি, শুক্রবার তারা একজন ইসলামী জঙ্গীকে হত্যা করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, আর সময় নেই। ৪৭ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ এবার চিরতরে বন্ধ করার সময় এসেছে। তিনি বলেন, আলোচনায় বসার জন্য একটি পথ খুঁজে বের করতেই হবে। আগে আরও দুইবার গাজা নিয়ে সংঘর্ষ চলার সময় যেভাবে শান্তি আলোচনা চলেছে এবারে আর সেরকম হলে চলবে না। চলমান এই যুদ্ধই আমাদের বলে দিচ্ছে যে, ৪৭ বছর ধরে চলা যুদ্ধ এবারে একেবারেই সমাপ্ত করে অবরুদ্ধ গাযাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি দেবার সময় এসেছে। তিনি বলেন, চলমান লড়াইয়ে এটা স্পষ্ট যে এর কোন সামরিক সমাধান নেই। তবে গাযায় যা চলছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
ওদিকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে যে বিক্ষোভ হয়েছে সে সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মিদের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বেইত ফাজর নামের এলাকায় এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পার্শ্ববর্তী বেথেলহোমে নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হলে জবাবে রাবার বুলেট ছোড়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা রক্ষীরা। রামাল্লা, নাবলুস এবং হেবরণের কাছে গ্রামেও বিক্ষোভ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ বন্ধের ধুয়া তুলে গত ৮ জুলাই ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ নামে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ)। এই অভিযান প্রথম দিকে আকাশ ও নৌপথ থেকে বোমা নিক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত ১৭ জুলাই স্থল অভিযান শুরু হয়। সহস্রাধিক প্রাণহানি ছাড়াও অভিযানের কারণে উদ্বাস্তু হয়েছে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলছে, ইতোপূর্বে গাজা থেকে যাদের সড়ে যেতে বলা হয়েছে তাদের ফিরে আসা উচিত হবেনা। আর আঘাত করা হলেই পাল্টা আঘাত করা হবে।
মানবিক দিক বিবেচনায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারো প্রস্তাবেই সাড়া দেননি নেতানিয়াহু। ইসলায়েলের প্রতিরক্ষা দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইয়ালুন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু ১২ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছেন। নেতানিয়াহু ১২ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি শনিবার জন কেরিকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে হামাস। আর ইসরায়েলের বিমান বাহিনী আক্রমন অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তাদের দাবি, শুক্রবার তারা একজন ইসলামী জঙ্গীকে হত্যা করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, আর সময় নেই। ৪৭ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ এবার চিরতরে বন্ধ করার সময় এসেছে। তিনি বলেন, আলোচনায় বসার জন্য একটি পথ খুঁজে বের করতেই হবে। আগে আরও দুইবার গাজা নিয়ে সংঘর্ষ চলার সময় যেভাবে শান্তি আলোচনা চলেছে এবারে আর সেরকম হলে চলবে না। চলমান এই যুদ্ধই আমাদের বলে দিচ্ছে যে, ৪৭ বছর ধরে চলা যুদ্ধ এবারে একেবারেই সমাপ্ত করে অবরুদ্ধ গাযাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি দেবার সময় এসেছে। তিনি বলেন, চলমান লড়াইয়ে এটা স্পষ্ট যে এর কোন সামরিক সমাধান নেই। তবে গাযায় যা চলছে তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
ওদিকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে যে বিক্ষোভ হয়েছে সে সময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মিদের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বেইত ফাজর নামের এলাকায় এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পার্শ্ববর্তী বেথেলহোমে নিরাপত্তা রক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হলে জবাবে রাবার বুলেট ছোড়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা রক্ষীরা। রামাল্লা, নাবলুস এবং হেবরণের কাছে গ্রামেও বিক্ষোভ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ বন্ধের ধুয়া তুলে গত ৮ জুলাই ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ নামে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ)। এই অভিযান প্রথম দিকে আকাশ ও নৌপথ থেকে বোমা নিক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও গত ১৭ জুলাই স্থল অভিযান শুরু হয়। সহস্রাধিক প্রাণহানি ছাড়াও অভিযানের কারণে উদ্বাস্তু হয়েছে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।
No comments