কেঁদেই দিলেন সানিয়া মির্জা
কান্নায় ভেঙে পড়লেন সানিয়া মির্জা। ভারতীয়
টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাত্কারে এই টেনিস
তারকার মন্তব্য, ‘আর কী করলে প্রমাণিত হবে যে আমি একজন ভারতীয়!’
সানিয়ার এই মন্তব্য ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির এক সাংসদের মন্তব্যের পরপরই। নবগঠিত তেলেঙ্গানা রাজ্যের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সেই সাংসদ অভিযোগ করেন, ‘এই সানিয়া পাকিস্তানের গৃহবধূ। তাঁর তেলেঙ্গানার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। এই রাজ্য গঠনের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর কোনো আত্মিক সম্পর্ক নেই।’
এনডিটিভি অবশ্য বিজেপির নেতার এই মন্তব্যকে অভিহিত করেছে রাজনৈতিক ‘ফাউল প্লে’ হিসেবে। সানিয়াকে ভারতের ‘জাতীয় আইকন’ হিসেবে অভিহিত করে এনডিটিভি বলেছে, এর মাধ্যমে সানিয়াকে অপমান করা হয়েছে।
সাক্ষাত্কারের একপর্যায়ে সানিয়া কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, ‘সাংসদের এই মন্তব্য আমাকে নিদারুণ আহত করেছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে ভারতে জন্ম নিয়ে, ভারতে সারাটা জীবন কাটিয়েও আমাকে প্রমাণ করতে হচ্ছে আমি আদৌ ভারতীয় কি না।’
পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে বিয়ে করেই মূলত ভারতীয়দের একাংশের কাছে সমালোচিত এই নারী টেনিস তারকা। রাজনৈতিক ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানের ‘বধূ’ হওয়ার ব্যাপারটি ভারতীয় কট্টরপন্থীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি, সে কারণে প্রায়ই সানিয়াকে উগ্র সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। এ ব্যাপারে এনডিটিভির কাছে তিনি প্রকাশ করেছেন চরম বিরক্তি ও হতাশা, ‘ছোটবেলা থেকেই
পারিবারিকভাবে আমি জাতি-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে ভাবতে শিখেছি। অন্য জাতি বা ধর্মের কারও সঙ্গে কথা বলা বা মেশার সময় এসব কখনোই আমার মাথায় থাকে না। শোয়েবের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার সময়ও এসব নিয়ে আমি ভাবিনি। এসব নিয়ে কথা ওঠাটা খুবই দুঃখজনক।’
সানিয়া শ্লেষের সঙ্গে বলেন, ‘পৃথিবীতে এমন একটি দেশ হয়তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কাউকে প্রতিনিয়ত তাঁর জাতীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।’
সানিয়া
বলেন, ‘শোয়েবকে বিয়ে করার পরও আমি ভারতের হয়ে পদক জিতেছি। কেউ যদি আমার
দেশাত্মবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন সেটা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়।’
বিজেপি সাংসদের ওই মন্তব্য অবশ্য ভারতজুড়ে যথেষ্ট সমালোচনা ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। সুশীল মহলের অনেকেই সানিয়াকে তেলেঙ্গানার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা নিয়ে করা ওই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে একে ‘নিচু মানসিকতা’ ও ‘পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাত্কারে সানিয়া ধন্যবাদ দিয়েছেন সবাইকে তাঁর পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, ‘এই দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই উদার। তারা এসব নিয়ে একেবারেই ভাবে না। তাদের ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত আমাকে মুগ্ধই করেছে। কিন্তু বিজেপির সাংসদের এই মন্তব্য সত্যিই আমাকে খুব আহত করেছে।’
সবশেষে সানিয়া জানিয়েছেন, ‘এই ভারতে রয়েছে আমার ও আমার পরিবারের শিকড়। আমি আমৃত্যু একজন ভারতীয় হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে অসম্ভব গর্ববোধ করব।’
বিজেপি সাংসদের ওই মন্তব্য অবশ্য ভারতজুড়ে যথেষ্ট সমালোচনা ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। সুশীল মহলের অনেকেই সানিয়াকে তেলেঙ্গানার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা নিয়ে করা ওই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে একে ‘নিচু মানসিকতা’ ও ‘পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাত্কারে সানিয়া ধন্যবাদ দিয়েছেন সবাইকে তাঁর পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, ‘এই দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই উদার। তারা এসব নিয়ে একেবারেই ভাবে না। তাদের ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত আমাকে মুগ্ধই করেছে। কিন্তু বিজেপির সাংসদের এই মন্তব্য সত্যিই আমাকে খুব আহত করেছে।’
সবশেষে সানিয়া জানিয়েছেন, ‘এই ভারতে রয়েছে আমার ও আমার পরিবারের শিকড়। আমি আমৃত্যু একজন ভারতীয় হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে অসম্ভব গর্ববোধ করব।’
No comments