বেতন-বোনাস পরিশোধ করুন -বিজিএমইএর তৎপর থাকা জরুরি
প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম রমজান মাসে বেড়ে যাওয়ার ফলে পুরো মাসই নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ থাকে। সেটাকে বাস্তবতা ধরে নিয়েই তাঁরা চলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ঈদের আগে যদি তাঁরা বেতন-বোনাসের অর্থ হাতে না পান, তাহলে সেটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঈদের আগেই পরিশোধ করার দাবি রমজানের শুরুতে উঠেছে। আমরাও এর আগে সম্পাদকীয় নিবন্ধে সে তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু এই শিল্পের অনেক শ্রমিককে এখনো বেতন-ভাতার জন্য বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ইত্যাদি কর্মসূচি দিতে হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক প্রতিষ্ঠান তোবা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কারারুদ্ধ থাকার ফলে ওই গ্রুপের প্রায় তিন হাজার পোশাকশ্রমিকের তিন মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া হয়েছে এবং ঈদের আগেও তাঁরা বেতন-বোনাস পাবেন কি না, সেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য তোবা গ্রুপের আছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও অন্য কর্মকর্তারা সেটা করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ভবনের দুটি ফ্লোর বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা যথার্থ। সেই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
শুধু তোবা গ্রুপের শ্রমিকদেরই যে বেতন-বোনাসের জন্য ধরনা দিতে হচ্ছে, তা নয়। গত মঙ্গলবার গাজীপুরে আরেকটি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরাও দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। তৈরি পোশাকশিল্পের অভিভাবক সংগঠন বিজিএমইএর এ বিষয়গুলো দেখা উচিত। ঈদুল ফিতরের আর বেশি দেরি নেই। এই সময়ের মধ্যে সব শ্রমিক যেন তাঁদের বেতন-বোনাসের অর্থ হাতে পান, সেটা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের বিশেষভাবে তৎপর হওয়া উচিত।
তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঈদের আগেই পরিশোধ করার দাবি রমজানের শুরুতে উঠেছে। আমরাও এর আগে সম্পাদকীয় নিবন্ধে সে তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু এই শিল্পের অনেক শ্রমিককে এখনো বেতন-ভাতার জন্য বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ইত্যাদি কর্মসূচি দিতে হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক প্রতিষ্ঠান তোবা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কারারুদ্ধ থাকার ফলে ওই গ্রুপের প্রায় তিন হাজার পোশাকশ্রমিকের তিন মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া হয়েছে এবং ঈদের আগেও তাঁরা বেতন-বোনাস পাবেন কি না, সেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য তোবা গ্রুপের আছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও অন্য কর্মকর্তারা সেটা করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির ভবনের দুটি ফ্লোর বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা যথার্থ। সেই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।
শুধু তোবা গ্রুপের শ্রমিকদেরই যে বেতন-বোনাসের জন্য ধরনা দিতে হচ্ছে, তা নয়। গত মঙ্গলবার গাজীপুরে আরেকটি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরাও দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। তৈরি পোশাকশিল্পের অভিভাবক সংগঠন বিজিএমইএর এ বিষয়গুলো দেখা উচিত। ঈদুল ফিতরের আর বেশি দেরি নেই। এই সময়ের মধ্যে সব শ্রমিক যেন তাঁদের বেতন-বোনাসের অর্থ হাতে পান, সেটা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের বিশেষভাবে তৎপর হওয়া উচিত।
No comments