যেভাবে বাগমারায় মসজিদে হামলা হয়
রাজশাহীর
বাগমারায় আহমদিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার বর্ণনা দিয়েছেন মসজিদটির
পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় হামলার বর্ণনা
দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হামলার সময় আরো একজন ছিল। জুমার নামাজের সময়
উপজেলার সৈয়দপুরের মজমইল চকপাড়া আহমদিয়া মুসলিম জামাত জামে মসজিদে আত্মঘাতী
বোমা হামলায় এক যুবক নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সাতজন। এদের মধ্যে
গুরুতর অবস্থায় ময়েজ তালুকদার, সাহেব আলী ও নয়ন উদ্দিনকে রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম বলেন, মসজিদে কোনো স্থায়ী
ইমাম নেই। হামলার সময় তিনি নিজেই জুমার নামাজে ইমামতি করছিলেন। তিনি
সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে তিনি খুতবা শুরু করেন। খুতবা শেষে
নামাজ পড়া শুরু হয়। নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়ার সময় পেছনে
বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করেন। সবাই কান্নাকাটি
শুরু করেন।’ তিনি জানান, এ সময় মসজিদে প্রায় ৬০ জন মুসল্লি ছিলেন। নারীরাও
নামাজে অংশ নিয়েছিলেন। আহমদিয়া মসজিদের চার দেয়াল ইটের তৈরি, ছাদটি টিনের।
প্লাস্টার করা হয়নি। সাইফুল জানান, পাশে ১০-১২ হাত দূরে আরেকটি মসজিদ আছে।
সেখানেও নামাজ চলছিল। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে মুসল্লিরা ছুটে আসেন। মসজিদ
পরিচালনা কমিটির সভাপতি আরো বলেন, “সবাই যখন ছোটাছুটি করছিল, পেছনে দেখি
একটি লোক ছটফট করছে। তার বাঁ হাত ছিল রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত।” তার ধারণা, ওই
লোকটির হাতেই ছিল বোমা। তার গায়ে ছিল জ্যাকেট, পরনে জিন্স প্যান্ট। সাইফুল
বলেন, “ওই লোকটি অপরিচিত। বিস্ফোরণে তার চেহারা অবিকৃত আছে। তার সঙ্গে
আরেকজন ছিল। হামলার পর আরেকজন পালিয়েছে।” শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন
লেখার সময় মসজিদটি ঘিরে রেখেছেন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা। আত্মঘাতী হামলার পর পুলিশের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের
রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ,
পুলিশ সুপার নিশারুল আরিফ।
No comments