সীমান্ত হত্যা বন্ধ হোক
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়েছে। এ বছর বিএসএফের হাতে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা ৪৫, যা গত বছর ছিল ৩৩। দুই দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে, এমনকি ভারত এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি যে তারা কার্যকর করেনি বা আমরা তা কার্যকর করতে পারেনি, তা এ বছরের হত্যাকাণ্ডে দৃশ্যমান হয়েছে।
একমাত্র কুড়িগ্রাম সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি ফেলানী খাতুন হত্যার বিচারকাজ আন্তর্জাতিক চাপের কারণে বিএসএফের নিজস্ব আদালতে গড়ায়। তবে আদালত অভিযুক্ত বিএসএফ হাবিলদার অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আর এ ধরনের বিচারহীনতা থেকেই সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটছে, যা নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। দুই দেশের মধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার ও হস্তান্তরের সমঝোতা ও চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ভারত সেটি লঙ্ঘন করে সীমান্তে বাংলাদেশিদের গুলি করছে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে হলে ভারতকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। আর উপর্যুক্ত চুক্তিটি কার্যকর করতে বাংলাদেশ সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments