নতুন শান্তি-আলোচনার জন্য প্রস্তুত সিরিয়া: দামেস্ক

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওয়ালিদ মুয়াল্লেম। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসানে জেনেভায় নতুন শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এমন কথা জানানো হয় বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত ইস্টার্ন গৌটায় সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ১০ শিশুসহ অন্তত ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা দাবি করেছে।
নতুন শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম বলেন, জেনেভায় কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া সিরীয়দের মধ্যে সংলাপে অংশ নিতে দামেস্ক প্রস্তুত।
সিরিয়ার ক্ষমতাসীন সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে আলোচনার টেবিলে বসানোর একটি পরিকল্পনা গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে। পরিকল্পনায় জানুয়ারি মাসের মধ্যে দুই পক্ষকে এক টেবিলে বসানোর কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরানসহ ১৭টি দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকদের বিপুল প্রচেষ্টার পর ওই পরিকল্পনাটি সামনে আসে। তবে পরিকল্পনায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ভাগ্য নিয়ে চলা মতভেদের বিষয়টি স্থান পায়নি।
নতুন শান্তি আলোচনা নিয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য এটাই ইঙ্গিত করে যে, দেশটির সরকার নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তবে এ বিষয়ে দামেস্কের পূর্বশর্ত আছে।
এ প্রসঙ্গে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম বলেছেন, সিরিয়া বিদেশি হস্তক্ষেপ নাকচ করেছে। আলোচনার জন্য বিরোধীপক্ষের প্রতিনিধিদের তালিকা পেলেই সরকারের মধ্যস্থতাকারী দল প্রস্তুত।
সিরিয়ার এই মন্ত্রী আরও বলেন, সিরিয়া সরকার ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীগুলোর তালিকার জন্য অপেক্ষা করছে। তালিকাভুক্ত গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিরা আলোচনায় যোগ দিতে পারবে না।
আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে—এমন গোষ্ঠীগুলোর মধ্য থেকে কয়েকটিকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে একটি খসড়া তালিকা দিয়েছে জর্ডান। এই তালিকায় আইএস এবং আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত আল নুসরা ফ্রন্টের নামও রয়েছে। বিরোধী পক্ষ হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জর্ডানের দেওয়া তালিকা থেকে কাকে বাদ দেওয়া হবে এবং কাকে রাখা হবে, এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে ১৭টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়া সাপোর্ট গ্রুপ (আইএসএসজি)।