সঙ্কট থেকে বাঁচতে রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন : দীপনের বাবা
আইনের
বিচারে কেবল একের পর এক হামলা বা হত্যার সমাধান হবে না। এ সঙ্কট থেকে
বাঁচতে রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী একটি মামলা করবেন তিনি। কারণ হিসেবে বললেন, আমি আইন মেনে চলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অথরিটি (কর্তৃপ) বলেছে একটি দরখাস্ত দিতে। আমি আজকে দেবো। আজকে না পারলে আগামীকাল দেবো। তার মানে এই নয় যে আমি এর ওপর নির্ভর করি। আমি শুভবুদ্ধির উদয় চাই। যারা ধর্মনিরপেতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন এবং যারা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, উভয় প দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পরে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। বিচার, পুলিশ ও আইন-আদালত দিয়ে তো শুধু আমরা একজনকে শাস্তি দিতে পারি। কিন্তু জাতীয় উন্নতি হবে না। গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ছেলের লাশ নিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন প্রবীণ এই শিক্ষক।
ব্লগার হত্যার সম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটছে। এর জন্য সরকার চেষ্টা করছে রীতি অনুযায়ী পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আদর্শগতভাবে, রাজনৈতিকভাবে আগে সমাধান করতে হবে। সেই সাথে নিতে হবে আইনগত ব্যবস্থা। যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা না যায়, শুধু আইনগত ব্যবস্থা দিয়ে এটি সমাধান করা যাবে না। এ ঘটনা আজ ভারত ও পাকিস্তানে ঘটছে, মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোতে তো আছেই। তাই এটিকে রাজনৈতিকভাবে, আদর্শগতভাবে গভীরভাবে দেখা উচিত।
এসব ঘটনার সাথে আন্তর্জাতিক কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো তো পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে। ব্যাপারটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক রূপ নিয়ে আছে। আজকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দেখা দিয়েছে আলকায়েদা, তালেবান, আইএস। শুধু ধর্মের কারণে করা হচ্ছে মনে হয় না। এখানে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কারণ কাজ করছে। আমরা আমাদের সরকারকে নিজেরা পরিবর্তন করতে চাইÑ এ রকম একটি জাতীয়তাবাদী মনোভাব আইএস, আলকায়েদা, তালেবান সবারই আছে। তবে সাংস্কৃতিকভাবে তারা এখনো ধর্মের পর্যায়ে আছে। সে জন্য ধর্মকে ধরে এবং পাশ্চাত্য গণমাধ্যম তাদের ধর্মের ব্যাপারটিকেই অনেক বড় করে দেখায়, অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাপারগুলোকে একেবারে দেখায় না।
কয়টার দিকে দীপন নিহত হয়েছেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, দীপন কয়টার সময় নিহত হয়েছে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে আমার অনুমান, বেলা ৩টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাকে দেখতে পেয়েছি সন্ধ্যা ৬টার সময় গিয়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা, হয়তো কমও হতে পারে, ঘরে বন্দী অবস্থায় ছিল। আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে। আমি অনুমান করতে পারিনি, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি, এ রকম ঘটনা ঘটেছে ভেতরে। পরে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট চাবি জোগাড় করে খুললেন। পরে আমি এবং ওই প্রেসিডেন্ট সাহেব একই সময় ঘরে ঢুকেছি। ঢুকে দেখেছি। তখন পুলিশ দেরি করেনি। খুব দ্রুতই এসেছে। এসে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেছে। আমাদের চাবি দিয়েই খুলেছে। একজন কমপোজিটর ছিল সে আসে নাই। তার কাছ থেকে চাবি এনে দরজা খোলা হয়েছে।
এ দিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফয়সল আরেফিন দীপনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় লাশ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১-১১৩৩) লাশ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী একটি মামলা করবেন তিনি। কারণ হিসেবে বললেন, আমি আইন মেনে চলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অথরিটি (কর্তৃপ) বলেছে একটি দরখাস্ত দিতে। আমি আজকে দেবো। আজকে না পারলে আগামীকাল দেবো। তার মানে এই নয় যে আমি এর ওপর নির্ভর করি। আমি শুভবুদ্ধির উদয় চাই। যারা ধর্মনিরপেতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন এবং যারা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, উভয় প দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পরে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। বিচার, পুলিশ ও আইন-আদালত দিয়ে তো শুধু আমরা একজনকে শাস্তি দিতে পারি। কিন্তু জাতীয় উন্নতি হবে না। গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ছেলের লাশ নিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন প্রবীণ এই শিক্ষক।
ব্লগার হত্যার সম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটছে। এর জন্য সরকার চেষ্টা করছে রীতি অনুযায়ী পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আদর্শগতভাবে, রাজনৈতিকভাবে আগে সমাধান করতে হবে। সেই সাথে নিতে হবে আইনগত ব্যবস্থা। যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা না যায়, শুধু আইনগত ব্যবস্থা দিয়ে এটি সমাধান করা যাবে না। এ ঘটনা আজ ভারত ও পাকিস্তানে ঘটছে, মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোতে তো আছেই। তাই এটিকে রাজনৈতিকভাবে, আদর্শগতভাবে গভীরভাবে দেখা উচিত।
এসব ঘটনার সাথে আন্তর্জাতিক কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো তো পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে। ব্যাপারটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক রূপ নিয়ে আছে। আজকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দেখা দিয়েছে আলকায়েদা, তালেবান, আইএস। শুধু ধর্মের কারণে করা হচ্ছে মনে হয় না। এখানে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কারণ কাজ করছে। আমরা আমাদের সরকারকে নিজেরা পরিবর্তন করতে চাইÑ এ রকম একটি জাতীয়তাবাদী মনোভাব আইএস, আলকায়েদা, তালেবান সবারই আছে। তবে সাংস্কৃতিকভাবে তারা এখনো ধর্মের পর্যায়ে আছে। সে জন্য ধর্মকে ধরে এবং পাশ্চাত্য গণমাধ্যম তাদের ধর্মের ব্যাপারটিকেই অনেক বড় করে দেখায়, অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাপারগুলোকে একেবারে দেখায় না।
কয়টার দিকে দীপন নিহত হয়েছেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, দীপন কয়টার সময় নিহত হয়েছে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে আমার অনুমান, বেলা ৩টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাকে দেখতে পেয়েছি সন্ধ্যা ৬টার সময় গিয়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা, হয়তো কমও হতে পারে, ঘরে বন্দী অবস্থায় ছিল। আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে। আমি অনুমান করতে পারিনি, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি, এ রকম ঘটনা ঘটেছে ভেতরে। পরে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট চাবি জোগাড় করে খুললেন। পরে আমি এবং ওই প্রেসিডেন্ট সাহেব একই সময় ঘরে ঢুকেছি। ঢুকে দেখেছি। তখন পুলিশ দেরি করেনি। খুব দ্রুতই এসেছে। এসে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেছে। আমাদের চাবি দিয়েই খুলেছে। একজন কমপোজিটর ছিল সে আসে নাই। তার কাছ থেকে চাবি এনে দরজা খোলা হয়েছে।
এ দিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফয়সল আরেফিন দীপনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় লাশ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১-১১৩৩) লাশ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
No comments