চলমান পরিস্থিতি উত্তরণে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহবান বিএনপির
একের
পর এক ব্লগার-প্রকাশক হত্যাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তরণে সর্বদলীয় বৈঠক
ডাকার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারি ফয়সল আরেফিন দীপনের শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আহবান জানান।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের একটি পরিস্থিতিকে সরকার বিরোধী দল নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা প্রতিরোধ করতে চাই। আমরা সবাই মিলে এই ঘটনার নিন্দা জানাতে চাই, এর প্রতিবিধান ঘটাতে চাই।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সরকারকে পরামর্শ দেবো- তারা যেন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে এবং এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঘটনাকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যান। দোষীদের যেন শাস্তির বিধান করা হয়।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাফিজউদ্দিন আহমেদ দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের বাসায় যান। শোকাহত বাবার পাশে বসে সান্ত্বনা জানান তিনি। এ সময়ে দলের সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
ছেলের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বিএনপি নেতাকে বলেন, এধরণের হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে। এজন্য সব দলই দায়ী। আমি বলেছি, আমি বিচার চাই না, শুভবুদ্ধির উদয় হউক। শুভবুদ্ধি বাদ দিয়ে বিচার দিয়ে কোনো ফল হয় না। জেল দিয়ে ফাঁসি দিয়ে কোনো প্রতিকার হবে না। দরকার শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া।
তিনি বলেন, আমি দেখছি, শুভ বুদ্ধির অভাব। এই ধারায় বিচারে কোনো সমাধান আসবে না। এটা রাগ ও ক্ষোভ থেকে বলছি না।
এ সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাম্মেল হকও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ফজলুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরের অনুরোধে ছেলে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালযের কর্তৃপক্ষের কাছে একটি দরখাস্ত করবেন।
পরে সাংবাদিকদের কাছে হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির পক্ষ থেকে শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে এসেছি। তাদেরকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা আমার নেই। মৃত ব্যক্তির পিতা আবুল কাশেম দেশের একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ। তিনি ধীর স্থিরভাবে বিজ্ঞব্যক্তির মতো এ শোককে মোকাবিলা করছেন। আমরা দীপন হত্যাকাণ্ডসহ সব হত্যার নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের ঘটনা না ঘটে এটাই আমরা কামনা করি।
দীপন হত্যার দায় সরকার এড়াতে পারে না মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী হাফিজ বলেন, দেশে চলছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। সরকারের পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের না খুঁজে গণতন্ত্রকামী লড়াকু মানুষদের খুঁজে বেড়ায় যারা জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে নির্যাতন করা এটা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেকারণে এই অপরাধীরা একের পর এক পার পেয়ে যাচ্ছে।
দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণে ‘ধর্মান্ধ’ ব্যক্তিরা নানা ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজকে যদি একটি নির্বাচিত সরকার থাকতো, দেশে গণতন্ত্র থাকতো, মুক্তবুদ্ধির চর্চার থাকতো তাহলে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড অনেকাংশের কমে যেতো।
অবিলম্বে দীপন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান হাফিজউদ্দিন।
নিহত ফয়সল আরেফিন দীপন বাংলার অধ্যাপক ও লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হকের একমাত্র ছেলে।
সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারি ফয়সল আরেফিন দীপনের শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আহবান জানান।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের একটি পরিস্থিতিকে সরকার বিরোধী দল নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা প্রতিরোধ করতে চাই। আমরা সবাই মিলে এই ঘটনার নিন্দা জানাতে চাই, এর প্রতিবিধান ঘটাতে চাই।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সরকারকে পরামর্শ দেবো- তারা যেন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে এবং এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঘটনাকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যান। দোষীদের যেন শাস্তির বিধান করা হয়।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাফিজউদ্দিন আহমেদ দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের বাসায় যান। শোকাহত বাবার পাশে বসে সান্ত্বনা জানান তিনি। এ সময়ে দলের সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
ছেলের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বিএনপি নেতাকে বলেন, এধরণের হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে। এজন্য সব দলই দায়ী। আমি বলেছি, আমি বিচার চাই না, শুভবুদ্ধির উদয় হউক। শুভবুদ্ধি বাদ দিয়ে বিচার দিয়ে কোনো ফল হয় না। জেল দিয়ে ফাঁসি দিয়ে কোনো প্রতিকার হবে না। দরকার শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়া।
তিনি বলেন, আমি দেখছি, শুভ বুদ্ধির অভাব। এই ধারায় বিচারে কোনো সমাধান আসবে না। এটা রাগ ও ক্ষোভ থেকে বলছি না।
এ সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাম্মেল হকও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ফজলুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরের অনুরোধে ছেলে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালযের কর্তৃপক্ষের কাছে একটি দরখাস্ত করবেন।
পরে সাংবাদিকদের কাছে হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির পক্ষ থেকে শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে এসেছি। তাদেরকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা আমার নেই। মৃত ব্যক্তির পিতা আবুল কাশেম দেশের একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ। তিনি ধীর স্থিরভাবে বিজ্ঞব্যক্তির মতো এ শোককে মোকাবিলা করছেন। আমরা দীপন হত্যাকাণ্ডসহ সব হত্যার নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের ঘটনা না ঘটে এটাই আমরা কামনা করি।
দীপন হত্যার দায় সরকার এড়াতে পারে না মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী হাফিজ বলেন, দেশে চলছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। সরকারের পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের না খুঁজে গণতন্ত্রকামী লড়াকু মানুষদের খুঁজে বেড়ায় যারা জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে নির্যাতন করা এটা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেকারণে এই অপরাধীরা একের পর এক পার পেয়ে যাচ্ছে।
দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণে ‘ধর্মান্ধ’ ব্যক্তিরা নানা ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজকে যদি একটি নির্বাচিত সরকার থাকতো, দেশে গণতন্ত্র থাকতো, মুক্তবুদ্ধির চর্চার থাকতো তাহলে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড অনেকাংশের কমে যেতো।
অবিলম্বে দীপন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান হাফিজউদ্দিন।
নিহত ফয়সল আরেফিন দীপন বাংলার অধ্যাপক ও লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হকের একমাত্র ছেলে।
No comments