ভারতের সংখ্যালঘুদের মধ্যে যথেষ্ট ভীতি বিরাজ করছে -বললেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা
এন আর নারায়ণমূর্তি |
ভারতের
সংখ্যালঘুদের মধ্যে যথেষ্ট ভীতি বিরাজ করছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে কথাটি
বলেছেন ভারতের শীর্ষ বহুজাতিক ব্যবসা পরামর্শক ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান
ইনফোসিস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তি। সংবাদভিত্তিক চ্যানেল
এনডিটিভিতে গতকাল শনিবার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। খবর
এনডিটিভির।
ভারতে বাড়তে থাকা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিষয়ে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছেন দেশটির অনেক লেখক, গবেষক ও অধিকারকর্মী। অনেকেই তাঁদের দেওয়া রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদবি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে ব্যবসায়ী মহল থেকে এ বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন নারায়ণমূর্তি। ‘দ্য এনডিটিভি ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে নারায়ণমূর্তি বলেন, ‘আমি রাজনীতিক নই। রাজনীতির বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহও নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্যও দিতে চাইনি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ভারতের সংখ্যালঘুদের মধ্যে যথেষ্ট ভীতি আছে। নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য অঞ্চলে গিয়ে বাস করছে এমন মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট পরিমাণ ভীতি আছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, মুম্বাইয়ে বসবাসকারী দক্ষিণ ভারতীয় অনেকেই শিবসেনার সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন।’
নারায়ণমূর্তি বলেন, তিনি মনে করেন যেকোনো রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম প্রাধান্য হওয়া উচিত প্রতিটি ভারতীয়র মনে আস্থা, শক্তি, উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনা। এ আস্থা তৈরি করা যাতে তারা মনে করতে পারে যে এটিই আমার দেশ, এখানে আমার সব অধিকার আছে এবং আমি নিরাপদ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার স্বার্থেই এটি করতে হবে।’
নারায়ণমূর্তি বলেন, ‘গত ৩০০ বছরের উন্নয়নের উপাত্ত আমাকে বলছে, কোনো সরকারই জনগণের মনে অবিশ্বাস, নিরাপত্তাহীনতা বজায় রেখে গতিশীল উন্নয়ন করতে পারেনি। দেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় যদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়, তবে সেখানে উন্নয়ন নিশ্চিত হতে পারে না।’
ভারতে বাড়তে থাকা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিষয়ে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছেন দেশটির অনেক লেখক, গবেষক ও অধিকারকর্মী। অনেকেই তাঁদের দেওয়া রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদবি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে ব্যবসায়ী মহল থেকে এ বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন নারায়ণমূর্তি। ‘দ্য এনডিটিভি ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে নারায়ণমূর্তি বলেন, ‘আমি রাজনীতিক নই। রাজনীতির বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহও নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্যও দিতে চাইনি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ভারতের সংখ্যালঘুদের মধ্যে যথেষ্ট ভীতি আছে। নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য অঞ্চলে গিয়ে বাস করছে এমন মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট পরিমাণ ভীতি আছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, মুম্বাইয়ে বসবাসকারী দক্ষিণ ভারতীয় অনেকেই শিবসেনার সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন।’
নারায়ণমূর্তি বলেন, তিনি মনে করেন যেকোনো রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম প্রাধান্য হওয়া উচিত প্রতিটি ভারতীয়র মনে আস্থা, শক্তি, উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনা। এ আস্থা তৈরি করা যাতে তারা মনে করতে পারে যে এটিই আমার দেশ, এখানে আমার সব অধিকার আছে এবং আমি নিরাপদ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার স্বার্থেই এটি করতে হবে।’
নারায়ণমূর্তি বলেন, ‘গত ৩০০ বছরের উন্নয়নের উপাত্ত আমাকে বলছে, কোনো সরকারই জনগণের মনে অবিশ্বাস, নিরাপত্তাহীনতা বজায় রেখে গতিশীল উন্নয়ন করতে পারেনি। দেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় যদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়, তবে সেখানে উন্নয়ন নিশ্চিত হতে পারে না।’
No comments