দীপনের বাবা হয়তো হত্যাকারীদের ‘মতাদর্শে’ বিশ্বাসী, বললেন হানিফ
নিহত
প্রকাশক ফয়সালের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক খুনিদের রাজনৈতিক
‘মতাদর্শে’ বিশ্বাসী বলেই ছেলে হত্যার বিচার চান না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী
লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। একজন বাবা হিসেবে
অধ্যাপক ফজলুল হকের বক্তব্যে তিনি নিজেও লজ্জিত বলে মন্তব্য করেন হানিফ।
‘আমি কোনো বিচার চাই না’—জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা আবুল কাশেম ফজলুল হকের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এসব কথা বলেন হানিফ। আগামীকাল সোমবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রস্তুতি দেখতে আজ রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান হানিফ। সেখানেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘উনি পুত্র হত্যার বিচার চান না। হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক। আমি অবাক হয়েছি। আমার মনে হয়, যারা এই খবরটি পড়েছেন সবাই অবাক হয়েছেন। একজন পুত্রহারা পিতা সন্তানের হত্যার বিচার চায় না, এটা বাংলাদেশে প্রথম। পৃথিবীতেও এমনটা আমি দেখি নাই। এটার কারণ একটাই হতে পারে, যারা তাঁর পুত্রকে হত্যা করেছে, অধ্যাপক সাহেব হয়তো তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। ওনার দলের লোকজনদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না বলেই উনি এ ধরনের কথা বলেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। আমিও একজন বাবা। বাবা হিসেবে আমি নিজেও তাঁর এই বক্তব্যে লজ্জিত।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘দু-একটি ঘটনায় সরকার বিব্রত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে তো বহু আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিব্রত হয়ে যেত। ওখানে তো বহু ঘটনা ঘটেছে। এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, আমরা সব সময় বলে এসেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে একাত্তরে পরাজিত শক্তিরা এ সব কাজ করছে। সরকার আর যাই করুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে সমঝোতা করতে পারে না।’
আওয়ামী লীগের সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘আমরা কোনো শঙ্কা প্রকাশ করছি না। আজকে যারা ব্লগার বা মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যা করছে এগুলোর সবকিছু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ সময় ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুছ ছাত্তার, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ হানিফের সঙ্গে ছিলেন।
হানিফের ব্যাখ্যা: মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্য অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর সোয়া ১০টার দিকে তিনি টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘তাঁর দেওয়া বক্তব্যে এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি তাঁর দেওয়া বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন ‘আমি কোনো বিচার চাই না’ আবুল কাশেম ফজলুল হকের এই মন্তব্যে তাঁর ছেলে দীপনের খুনিরাই বরং উৎসাহিত হবে।
‘আমি কোনো বিচার চাই না’—জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা আবুল কাশেম ফজলুল হকের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এসব কথা বলেন হানিফ। আগামীকাল সোমবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রস্তুতি দেখতে আজ রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান হানিফ। সেখানেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘উনি পুত্র হত্যার বিচার চান না। হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক। আমি অবাক হয়েছি। আমার মনে হয়, যারা এই খবরটি পড়েছেন সবাই অবাক হয়েছেন। একজন পুত্রহারা পিতা সন্তানের হত্যার বিচার চায় না, এটা বাংলাদেশে প্রথম। পৃথিবীতেও এমনটা আমি দেখি নাই। এটার কারণ একটাই হতে পারে, যারা তাঁর পুত্রকে হত্যা করেছে, অধ্যাপক সাহেব হয়তো তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। ওনার দলের লোকজনদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না বলেই উনি এ ধরনের কথা বলেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। আমিও একজন বাবা। বাবা হিসেবে আমি নিজেও তাঁর এই বক্তব্যে লজ্জিত।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘দু-একটি ঘটনায় সরকার বিব্রত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে তো বহু আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিব্রত হয়ে যেত। ওখানে তো বহু ঘটনা ঘটেছে। এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, আমরা সব সময় বলে এসেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে একাত্তরে পরাজিত শক্তিরা এ সব কাজ করছে। সরকার আর যাই করুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে সমঝোতা করতে পারে না।’
আওয়ামী লীগের সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘আমরা কোনো শঙ্কা প্রকাশ করছি না। আজকে যারা ব্লগার বা মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যা করছে এগুলোর সবকিছু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ সময় ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুছ ছাত্তার, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ হানিফের সঙ্গে ছিলেন।
হানিফের ব্যাখ্যা: মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্য অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর সোয়া ১০টার দিকে তিনি টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘তাঁর দেওয়া বক্তব্যে এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি তাঁর দেওয়া বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন ‘আমি কোনো বিচার চাই না’ আবুল কাশেম ফজলুল হকের এই মন্তব্যে তাঁর ছেলে দীপনের খুনিরাই বরং উৎসাহিত হবে।
No comments