সহিষ্ণুতার আহ্বান ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশ্বের প্রথম সারির অর্থনীতি-বিষয়ক বিশ্লেষক সংস্থা মুডিজ অ্যানালিটিকসের সতর্কবার্তার পরের দিনই ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। একই সঙ্গে একতা, অখণ্ডতা, শান্তি ও সদ্ভাবনার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এত দিন ধরে একনাগাড়ে অসহিষ্ণুতার যে আবহ দেশে সৃষ্টি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর রঘুরাম রাজন, নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত কৈলাস সত্যার্থীও।
মুডিজের সতর্কবার্তা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে দেওয়া। সেই বার্তায় তারা বলেছে, দলের নেতাদের সামলান, না হলে দেশ ও বিদেশে আপনি ও আপনার সরকার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। গতি হারাবে প্রবৃদ্ধির হার। এই হুঁশিয়ারির ঠিক পরের দিনই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি আরও একবার দেশের বহুত্ববাদী বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্র রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
গতকাল শনিবার দিল্লি হাইকোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের দেশ যে এগিয়ে চলেছে তা “দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে”র জন্য। পরমতসহিষ্ণুতার কারণে আমাদের বহুত্ববাদী সমাজ কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ভারতের প্রাচীন সভ্যতা শত শত বছর ধরে আমাদের বৈপরীত্যকে আগলে রাখতে শিখিয়েছে।’
গতকাল ছিল স্বাধীন ভারতের লৌহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস। এই উপলক্ষে রাজধানীর রাজপথে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস উদ্যাপিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি, দেশকে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করার প্রধান শর্ত একতা, শান্তি ও সদ্ভাবনা বজায় রাখা।’
মুডিজের সতর্কবার্তার রেশ টেনেই অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সরব হন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর রঘুরাম রাজন। দিল্লি আইআইটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাভ হয় না। তা আলোচনা ও বিতর্কের পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। মানুষ মতামত দিতে ভয় পায়। দরকার এমন এক আবহ তৈরি করা, যেখানে একে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেন, মর্যাদা দেন, সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন। রাজন বলেন, দ্রুত উন্নতির জন্য মানুষকে প্রশ্ন করার অধিকার দিতে হবে। মানুষকে অপমান করার নেশাকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে পরে রাশ টেনে ধরাটা কঠিন হয়ে পড়ে।
কৈলাস সত্যার্থীও একই সুরে বলেছেন, অসহিষ্ণুতা শুধু অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের জন্ম দেয়। মুডিজ মনে করছে, অসহিষ্ণুতার কারণে ভারতের প্রবৃদ্ধি হোঁচট খাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংস্কারে প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাস করানো যাচ্ছে না। নতুন সরকারকে ঘিরে গগনচুম্বী প্রত্যাশায় শেয়ার সূচক যেখানে উঠে গিয়েছিল, সেখান থেকে প্রায় ১১ শতাংশ পড়ে গেছে।
এত দিন ধরে একনাগাড়ে অসহিষ্ণুতার যে আবহ দেশে সৃষ্টি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর রঘুরাম রাজন, নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত কৈলাস সত্যার্থীও।
মুডিজের সতর্কবার্তা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে দেওয়া। সেই বার্তায় তারা বলেছে, দলের নেতাদের সামলান, না হলে দেশ ও বিদেশে আপনি ও আপনার সরকার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। গতি হারাবে প্রবৃদ্ধির হার। এই হুঁশিয়ারির ঠিক পরের দিনই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি আরও একবার দেশের বহুত্ববাদী বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্র রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
গতকাল শনিবার দিল্লি হাইকোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের দেশ যে এগিয়ে চলেছে তা “দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে”র জন্য। পরমতসহিষ্ণুতার কারণে আমাদের বহুত্ববাদী সমাজ কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ভারতের প্রাচীন সভ্যতা শত শত বছর ধরে আমাদের বৈপরীত্যকে আগলে রাখতে শিখিয়েছে।’
গতকাল ছিল স্বাধীন ভারতের লৌহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস। এই উপলক্ষে রাজধানীর রাজপথে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস উদ্যাপিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি, দেশকে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠা করার প্রধান শর্ত একতা, শান্তি ও সদ্ভাবনা বজায় রাখা।’
মুডিজের সতর্কবার্তার রেশ টেনেই অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সরব হন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর রঘুরাম রাজন। দিল্লি আইআইটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাভ হয় না। তা আলোচনা ও বিতর্কের পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। মানুষ মতামত দিতে ভয় পায়। দরকার এমন এক আবহ তৈরি করা, যেখানে একে অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেন, মর্যাদা দেন, সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন। রাজন বলেন, দ্রুত উন্নতির জন্য মানুষকে প্রশ্ন করার অধিকার দিতে হবে। মানুষকে অপমান করার নেশাকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে পরে রাশ টেনে ধরাটা কঠিন হয়ে পড়ে।
কৈলাস সত্যার্থীও একই সুরে বলেছেন, অসহিষ্ণুতা শুধু অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের জন্ম দেয়। মুডিজ মনে করছে, অসহিষ্ণুতার কারণে ভারতের প্রবৃদ্ধি হোঁচট খাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংস্কারে প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাস করানো যাচ্ছে না। নতুন সরকারকে ঘিরে গগনচুম্বী প্রত্যাশায় শেয়ার সূচক যেখানে উঠে গিয়েছিল, সেখান থেকে প্রায় ১১ শতাংশ পড়ে গেছে।
No comments