বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র ৮ ঘণ্টা সেবা by আরিফুল হক
দুজন চিকিৎসক আর একজন নার্স দিয়ে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সেবাও আবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মাত্র আট ঘণ্টার।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় তিনটি পৃথক কক্ষে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রথমটি ওষুধের কক্ষ, মাঝে জরুরি ও বহির্বিভাগ। অপর কক্ষটি চিকিৎসকদের।
জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেল, একটি শয্যা, একটি হুইলচেয়ার, দুটি ট্রলি টেবিলের মধ্যে একটিতে প্রাথমিক চিকিৎসার দুটি ব্যাগ, গজ-ব্যান্ডেজ রাখার একটি পাত্র। কিছু জরুরি ওষুধ। আর একটি টেবিল রোগীর জন্য। এখানে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত বছর পার হলেও এভাবেই শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিকেল পাঁচটার পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকে। ফলে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, ৪০ জন শিক্ষার্থী এসেছেন চিকিৎসা নিতে। তাঁদের অধিকাংশই জ্বর-সর্দি-কাশি, চোখ ওঠাজনিত সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। অল্প সময়ে এত শিক্ষার্থী আসায় মাত্র দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্সের হিমশিম খাওয়ার উপক্রম।
গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামকে দেখছেন চিকিৎসক এ এম এম শাহরিয়ার। শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত কার্ডে চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন। এরপর সেখান থেকে বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধও দিলেন চিকিৎসক। শাহরিয়ার বললেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র আট ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা প্রদান করা উচিত। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানালেন ওই চিকিৎসক। তবে গরমের সময় রোগী দ্বিগুণ হয়ে যায়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালেন তিনি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত সেকশন কর্মকর্তা এস এইচ এম ইকবাল বলেন, গত আগস্টে ২৩ কর্মদিবসে ২ হাজার ৩০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ১৫ দিনের কর্মদিবসে রোগী ছিল ১ হাজার ৬০০ জন। আর ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৯২০ জন রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ক্যাম্পাসে অবস্থিত তিনটি হলে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। হলের শিক্ষার্থী ছাড়াও ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে বসবাসরত শিক্ষার্থীরাও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন বাদে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসক-সংকট দূর হলে এ সমস্যা থাকবে না। তখন ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোরশেদ উল আলম বলেন, চিকিৎসক-সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় তিনটি পৃথক কক্ষে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রথমটি ওষুধের কক্ষ, মাঝে জরুরি ও বহির্বিভাগ। অপর কক্ষটি চিকিৎসকদের।
জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেল, একটি শয্যা, একটি হুইলচেয়ার, দুটি ট্রলি টেবিলের মধ্যে একটিতে প্রাথমিক চিকিৎসার দুটি ব্যাগ, গজ-ব্যান্ডেজ রাখার একটি পাত্র। কিছু জরুরি ওষুধ। আর একটি টেবিল রোগীর জন্য। এখানে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত বছর পার হলেও এভাবেই শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিকেল পাঁচটার পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকে। ফলে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, ৪০ জন শিক্ষার্থী এসেছেন চিকিৎসা নিতে। তাঁদের অধিকাংশই জ্বর-সর্দি-কাশি, চোখ ওঠাজনিত সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। অল্প সময়ে এত শিক্ষার্থী আসায় মাত্র দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্সের হিমশিম খাওয়ার উপক্রম।
গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামকে দেখছেন চিকিৎসক এ এম এম শাহরিয়ার। শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত কার্ডে চিকিৎসক পরামর্শ দিলেন। এরপর সেখান থেকে বিনা মূল্যে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধও দিলেন চিকিৎসক। শাহরিয়ার বললেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র আট ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা প্রদান করা উচিত। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানালেন ওই চিকিৎসক। তবে গরমের সময় রোগী দ্বিগুণ হয়ে যায়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালেন তিনি।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত সেকশন কর্মকর্তা এস এইচ এম ইকবাল বলেন, গত আগস্টে ২৩ কর্মদিবসে ২ হাজার ৩০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ১৫ দিনের কর্মদিবসে রোগী ছিল ১ হাজার ৬০০ জন। আর ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৯২০ জন রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ক্যাম্পাসে অবস্থিত তিনটি হলে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। হলের শিক্ষার্থী ছাড়াও ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে বসবাসরত শিক্ষার্থীরাও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন বাদে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসক-সংকট দূর হলে এ সমস্যা থাকবে না। তখন ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোরশেদ উল আলম বলেন, চিকিৎসক-সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
No comments