প্রয়োজনে চীনের সাহায্য নেবে নেপাল : উপপ্রধানমন্ত্রী
কাঠমান্ডুতে ভারতবিরোধী একটি বিক্ষোভ |
ভারতের
বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধের অভিযোগ তুলে তাদের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করেছে
নেপাল৷ বুধবার এক সংবাদসংস্থার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে নেপালের
উপ-প্রধানমন্ত্রী বামদেব গৌতম বলেন , তার সরকার স্থলপথে চীন থেকে
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনার চেষ্টা চালাবে৷
এ ছাড়া আকাশ ও সমুদ্রপথেও এই উদ্যোগ চলবে৷ গৌতম আরো বলেন , নেপালের তিনটি প্রধান দল প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে প্রস্তাব দিয়েছে , ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নেপালের সমস্যা জানাতে বিশেষ দূত পাঠানো হোক৷ গৌতমের মতে, ভারতকে বোঝানো হবে নেপালে তাদের রফতানিও ব্যাহত হচ্ছে৷ তাতেও কাজ না হলে চীনের উপরেই নির্ভর করতে হবে৷এবং চীনের মাধ্যমেই অন্যান্য দেশ থেকে জোগানের ব্যবস্থা করা হবে৷ এর পাশাপাশি গৌতম বলেন, এ বছরের এপ্রিল মাসে ভূমিকম্পের পর চীনের সঙ্গে যোগাযোগের যে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটির মেরামতির কাজ শিগগিরই শুরু হবে৷ গত ২০ সেপ্টেম্বর, নেপালের নতুন সংবিধান পার্লামেন্টে গৃহীত হওয়ার পর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালাচ্ছে তরাই অঞ্চলের মদেশি ও থারু সম্প্রদায়৷ ভারত সরকারও নেপালকে তাদের নতুন সংবিধানে অন্তত সাতটি জায়গায় সংশোধনী আনতে অনুরোধ করেছে৷
এর ফলে ভারত -নেপাল সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় আটকে পড়েছে নেপাল অভিমুখী পণ্যবাহী ট্রাক৷ নেপালের প্রয়োজনীয় পণ্যের শতকরা ৭০ ভাগ আসে ভারত থেকেই৷ এই পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতের তীব্র সমালোচনা করে ইউএমএল নেতা কে পি ওলি বলেন , 'রান্নার গ্যাস নেই, আনাজ, জ্বালানিও বেপাত্তা৷ ভারতের সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব আমাদের দরকার নেই৷'
অন্য দিকে বুধবার, কাঠমান্ডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রায় জানান নেপালের উপর ভারত কোনো 'আর্থিক অবরোধ' চাপায়নি৷ এর পাশাপাশি নেপালে ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ, মোদির কুশপুত্তলিকা ওভারতের জাতীয় পতাকা পোড়ানো নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এতে কোনো দেশেরই উপকার হবে না৷'
ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নেপালের প্রধান রাজনৈতিকদলের ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি প্রতি দিনই ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ রায় আরো বলেন, 'নতুন সংবিধান নিয়েসমস্যা নেপালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ মদেশিসম্প্রদায় ও নেপাল সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সুরাহা হতে পারে৷ আমরা শুধু চাই এই নতুন সংবিধান সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক৷ এই প্রক্রিয়ায় কেউ যেন বাদ না পড়েন৷
এ ছাড়া আকাশ ও সমুদ্রপথেও এই উদ্যোগ চলবে৷ গৌতম আরো বলেন , নেপালের তিনটি প্রধান দল প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে প্রস্তাব দিয়েছে , ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নেপালের সমস্যা জানাতে বিশেষ দূত পাঠানো হোক৷ গৌতমের মতে, ভারতকে বোঝানো হবে নেপালে তাদের রফতানিও ব্যাহত হচ্ছে৷ তাতেও কাজ না হলে চীনের উপরেই নির্ভর করতে হবে৷এবং চীনের মাধ্যমেই অন্যান্য দেশ থেকে জোগানের ব্যবস্থা করা হবে৷ এর পাশাপাশি গৌতম বলেন, এ বছরের এপ্রিল মাসে ভূমিকম্পের পর চীনের সঙ্গে যোগাযোগের যে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটির মেরামতির কাজ শিগগিরই শুরু হবে৷ গত ২০ সেপ্টেম্বর, নেপালের নতুন সংবিধান পার্লামেন্টে গৃহীত হওয়ার পর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালাচ্ছে তরাই অঞ্চলের মদেশি ও থারু সম্প্রদায়৷ ভারত সরকারও নেপালকে তাদের নতুন সংবিধানে অন্তত সাতটি জায়গায় সংশোধনী আনতে অনুরোধ করেছে৷
এর ফলে ভারত -নেপাল সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় আটকে পড়েছে নেপাল অভিমুখী পণ্যবাহী ট্রাক৷ নেপালের প্রয়োজনীয় পণ্যের শতকরা ৭০ ভাগ আসে ভারত থেকেই৷ এই পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতের তীব্র সমালোচনা করে ইউএমএল নেতা কে পি ওলি বলেন , 'রান্নার গ্যাস নেই, আনাজ, জ্বালানিও বেপাত্তা৷ ভারতের সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব আমাদের দরকার নেই৷'
অন্য দিকে বুধবার, কাঠমান্ডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রায় জানান নেপালের উপর ভারত কোনো 'আর্থিক অবরোধ' চাপায়নি৷ এর পাশাপাশি নেপালে ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ, মোদির কুশপুত্তলিকা ওভারতের জাতীয় পতাকা পোড়ানো নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এতে কোনো দেশেরই উপকার হবে না৷'
ভারত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নেপালের প্রধান রাজনৈতিকদলের ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি প্রতি দিনই ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ রায় আরো বলেন, 'নতুন সংবিধান নিয়েসমস্যা নেপালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷ মদেশিসম্প্রদায় ও নেপাল সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সুরাহা হতে পারে৷ আমরা শুধু চাই এই নতুন সংবিধান সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক৷ এই প্রক্রিয়ায় কেউ যেন বাদ না পড়েন৷
No comments