ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি মানতে ফিলিস্তিন বাধ্য নয় -মাহমুদ আব্বাস
ফিলিস্তিন
ইসরাইলের সাথে চুক্তিতে আর আবদ্ধ নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি
অধিষ্ঠিত শক্তি হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ কর্তৃত্ব অনুধাবন করতেও ইসরাইলের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে
আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বক্তৃতাকালে প্রেসিডেন্ট আব্বাস আরও
বলেন, যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়ন
প্রত্যাখ্যান করবে ততদিন চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা বাধ্য নই।
মাহমুদ আব্বাস বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলের বসতি স্থাপন বন্ধ করার কথা ছিল, ফিলিস্তিনি বন্দীদের চতুর্থ দলকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আমাদের জন্য কোনো পথ খোলো রাখেনি বরং এমন পরিস্থিতির সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করেছে যেন আমরা একাই চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য। এর বাস্তবায়নের দায়িত্ব শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের একার নয়।
ইসরাইলকে
দখলদার শক্তি আখ্যায়িত করে চুক্তি বাস্তবায়নের আহবান জানান প্রেসিডেন্ট
আব্বাস। অত্যন্ত অযৌক্তিকভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নটি
অমীমাংসিত থাকার ব্যাপারেও বলেন তিনি।
জাতিসঙ্ঘে উড়ল ফিলিস্তিনি পতাকা
ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়েছে। পতাকা উড্ডয়ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস।
তবে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবার সময় ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস ইসরাইলের উদ্দেশে বেশ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ১৯৯৩ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার শর্ত অনুযায়ী ইসরাইল তার বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিন একা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আর কাজ করবে না।
চুক্তির শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে আর কোনো আলোচনা নয় বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
মি. আব্বাস বলেছেন, কেবল আলোচনার স্বার্থে আলোচনা করে আর কোনো লাভ নেই।
ইসরাইলি দখলদারিত্ব বন্ধ করার জন্য বরং আন্তর্জাতিক শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই বেশি ফলদায়ক।
তিনি আরো বলেন চুক্তির শর্ত মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের জনগণের আর কোনও দায় নেই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্যও জাতিঙ্ঘকে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিন আর ভ্যাটিকানের পতাকা ওড়ানোর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদ।
কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো ছয়টি দেশ। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়।
২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ।
সূত্র : বিবিসি
জাতিসঙ্ঘে উড়ল ফিলিস্তিনি পতাকা
ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়েছে। পতাকা উড্ডয়ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস।
তবে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবার সময় ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস ইসরাইলের উদ্দেশে বেশ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ১৯৯৩ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার শর্ত অনুযায়ী ইসরাইল তার বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিন একা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আর কাজ করবে না।
চুক্তির শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে আর কোনো আলোচনা নয় বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
মি. আব্বাস বলেছেন, কেবল আলোচনার স্বার্থে আলোচনা করে আর কোনো লাভ নেই।
ইসরাইলি দখলদারিত্ব বন্ধ করার জন্য বরং আন্তর্জাতিক শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই বেশি ফলদায়ক।
তিনি আরো বলেন চুক্তির শর্ত মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের জনগণের আর কোনও দায় নেই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্যও জাতিঙ্ঘকে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ মাসের শুরুর দিকে জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিন আর ভ্যাটিকানের পতাকা ওড়ানোর একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদ।
কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো ছয়টি দেশ। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাশ হয়।
২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ নয় কিন্তু পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ।
সূত্র : বিবিসি
No comments