১ শূন্য দারিদ্র্য: ১৫ বছরে দারিদ্র্যশূন্য পৃথিবী
জাতিসংঘে
অনুমোদিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) প্রথম আলোয় প্রকাশ করা হবে।
আজ তুলে ধরা হলো প্রথম লক্ষ্য দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা ...
বিশ্বে এখনো ৮৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরমভাবে দরিদ্র; যাদের দৈনিক আয় মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্টেরও কম। অর্থাৎ এসব মানুষ প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশের ১০০ টাকারও কম আয় দিয়ে কোনো রকমে বেঁচেবর্তে থাকে। তবে বছর পনেরো পরে আর দুনিয়ায় এ ধরনের মানুষ থাকবে না। কারণ তাদের চরম দারিদ্র্য অবস্থা থেকে বের করে আনতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ।
পৃথিবীকে রক্ষা ও সবার জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ যে ১৭টি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) অনুমোদন করেছে, তার প্রথমটিই হলো চরম দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এসডিজি সম্মেলনে এসব লক্ষ্য অনুমোদন করা হয়। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সব কয়টি লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘ সারা বিশ্বের সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, এমনকি সাধারণ মানুষকেও নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এসডিজি লক্ষ্য অনুমোদন করতে গিয়ে জাতিসংঘ দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। সংস্থাটির মতে, ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এটি একটি অসাধারণ অর্জন হলেও এখনো বিশ্বের উন্নয়নশীল অঞ্চলগুলোতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন চরম দরিদ্র (যাদের দৈনিক আয় মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্ট বা আরও কম)। এসব মানুষের অধিকাংশেরই বসবাস দক্ষিণ এশিয়া ও সাব সাহারান আফ্রিকায়। এর চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশি আয় নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে কোটি কোটি মানুষকে। এ ছাড়া আরও অনেক মানুষ আছে, যাদের অবস্থা একসময় খানিকটা ভালো হলেও তারা আবার দারিদ্র্যের বলয়ে ফিরে আসছে।
সংস্থাটি জানায়, পৃথিবীতে ক্ষুদ্র, ভঙ্গুর বা নাজুক ও সংঘাতকবলিত দেশগুলোতেই দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। দারিদ্র্যের কারণে বিশ্বে বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি সাতটি শিশুর মধ্যে একটির উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম। এ ছাড়া সংঘাতের কারণে গত ২০১৪ সালে প্রতিদিন ৪২ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গেছে।
জাতিসংঘ বলছে, দারিদ্র্যের কারণে মানুষের জীবন-জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটে। ক্ষুধা ও অপুষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। শিক্ষাসহ মৌলিক সেবাগুলো পাওয়ার পরিমাণ কম হয় এবং সামাজিক বৈষম্য বাড়ে। সে জন্য সংস্থাটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পরামর্শ দিয়েছে; যাতে মানুষের কর্মসংস্থান টেকসই হয় এবং সমাজে সাম্যতা বৃদ্ধি পায়।
সূত্র: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট
এক লক্ষ্য অর্জনে সাত লক্ষ্য
বিশ্বে এখনো ৮৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ চরমভাবে দরিদ্র; যাদের দৈনিক আয় মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্টেরও কম। অর্থাৎ এসব মানুষ প্রতিদিন গড়ে বাংলাদেশের ১০০ টাকারও কম আয় দিয়ে কোনো রকমে বেঁচেবর্তে থাকে। তবে বছর পনেরো পরে আর দুনিয়ায় এ ধরনের মানুষ থাকবে না। কারণ তাদের চরম দারিদ্র্য অবস্থা থেকে বের করে আনতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ।
পৃথিবীকে রক্ষা ও সবার জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ যে ১৭টি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) অনুমোদন করেছে, তার প্রথমটিই হলো চরম দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এসডিজি সম্মেলনে এসব লক্ষ্য অনুমোদন করা হয়। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সব কয়টি লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘ সারা বিশ্বের সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, এমনকি সাধারণ মানুষকেও নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এসডিজি লক্ষ্য অনুমোদন করতে গিয়ে জাতিসংঘ দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। সংস্থাটির মতে, ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এটি একটি অসাধারণ অর্জন হলেও এখনো বিশ্বের উন্নয়নশীল অঞ্চলগুলোতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন চরম দরিদ্র (যাদের দৈনিক আয় মাত্র ১ ডলার ২৫ সেন্ট বা আরও কম)। এসব মানুষের অধিকাংশেরই বসবাস দক্ষিণ এশিয়া ও সাব সাহারান আফ্রিকায়। এর চেয়ে কিঞ্চিৎ বেশি আয় নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে কোটি কোটি মানুষকে। এ ছাড়া আরও অনেক মানুষ আছে, যাদের অবস্থা একসময় খানিকটা ভালো হলেও তারা আবার দারিদ্র্যের বলয়ে ফিরে আসছে।
সংস্থাটি জানায়, পৃথিবীতে ক্ষুদ্র, ভঙ্গুর বা নাজুক ও সংঘাতকবলিত দেশগুলোতেই দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি। দারিদ্র্যের কারণে বিশ্বে বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি সাতটি শিশুর মধ্যে একটির উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম। এ ছাড়া সংঘাতের কারণে গত ২০১৪ সালে প্রতিদিন ৪২ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপত্তা ও আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গেছে।
জাতিসংঘ বলছে, দারিদ্র্যের কারণে মানুষের জীবন-জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটে। ক্ষুধা ও অপুষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। শিক্ষাসহ মৌলিক সেবাগুলো পাওয়ার পরিমাণ কম হয় এবং সামাজিক বৈষম্য বাড়ে। সে জন্য সংস্থাটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পরামর্শ দিয়েছে; যাতে মানুষের কর্মসংস্থান টেকসই হয় এবং সমাজে সাম্যতা বৃদ্ধি পায়।
সূত্র: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট
এক লক্ষ্য অর্জনে সাত লক্ষ্য
(১) পৃথিবীর সর্বত্র চরম দারিদ্র্যকে একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।
(২) নারী-পুরুষ-শিশুনির্বিশেষে যারা যে ধরনের দারিদ্র্যের মধ্যেই থাকুক না কেন, তাদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
(৩) দেশের উপযোগী সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নেওয়া; যাতে দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
(৪) সব দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, মৌলিক সেবাসমূহ, জমির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক সম্পদ, নতুন প্রযুক্তি, ক্ষুদ্রঋণসহ আর্থিক সেবায় সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
(৫) দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষদের আর্থসামাজিক, জলবায়ু ও পরিবেশগত বিপর্যয় এবং দুর্যোগজনিত অভিঘাত থেকে রক্ষা করা।
(৬) বিভিন্ন উৎস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্পদ আহরণ নিশ্চিত করা; যাতে এসডিজি অর্জনের নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করা যায়।
(৭) জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দরিদ্রমুখী ও নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক উন্নয়ন কৌশল ও সুসমন্বিত নীতি-কাঠামো প্রণয়ন।
(২) নারী-পুরুষ-শিশুনির্বিশেষে যারা যে ধরনের দারিদ্র্যের মধ্যেই থাকুক না কেন, তাদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা।
(৩) দেশের উপযোগী সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নেওয়া; যাতে দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
(৪) সব দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, মৌলিক সেবাসমূহ, জমির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক সম্পদ, নতুন প্রযুক্তি, ক্ষুদ্রঋণসহ আর্থিক সেবায় সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
(৫) দরিদ্র ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষদের আর্থসামাজিক, জলবায়ু ও পরিবেশগত বিপর্যয় এবং দুর্যোগজনিত অভিঘাত থেকে রক্ষা করা।
(৬) বিভিন্ন উৎস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সম্পদ আহরণ নিশ্চিত করা; যাতে এসডিজি অর্জনের নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করা যায়।
(৭) জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দরিদ্রমুখী ও নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক উন্নয়ন কৌশল ও সুসমন্বিত নীতি-কাঠামো প্রণয়ন।
No comments