সফর স্থগিত অস্ট্রেলিয়ার দুঃখ প্রকাশ
সব
জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে ক্রিকেট
অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। গতকাল সন্ধ্যায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) দুঃখ
প্রকাশ করে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই
সিরিজের নতুন সূচি ঘোষণা করবে তারা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী
জেমস সাদারল্যান্ড সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা অনেক কঠিন এক সিদ্ধান্ত। তবে
অস্ট্রেলিয়া সরকারের সর্বশেষ পরামর্শ ও আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা
কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ শেষে এ সফর স্থগিত করা ছাড়া উপায় ছিল না আমাদের।
অস্ট্রেলিয়ানদের বাংলাদেশ সফরে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিষয়ে গত কয়দিন যতটা সম্ভব
তথ্য নিতে চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা আশা করছিলাম নিরাপত্তা উদ্বেগ হয়তো মিটে
যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সরকার, আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও
অন্য নিরাপত্তা পরামর্শকরা আমাদের পরিষ্কার জানিয়েছেন সেখানে আমাদের
নাগরিকদের জন্য এ মুহূর্তে খুব নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। সিরিজটি যাতে মাঠে
গড়ায় এ জন্য আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব
হলো না। আমাদের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ান
নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখছেন। সিএ নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেন,
আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে বিসিবি ও আইসিসিকে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট
কাউন্সিল) জানিয়েছি। আমরা জানি বাংলাদেশের ক্রিকেট কমিউনিটির কাছে এটা
অনেক হতাশাজনক এক সিদ্ধান্ত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দিক চিন্তা করলে আমাদের
কাছে দলের খেলোয়াড় ও কমকর্তাদের নিরাপত্তাটা সবার আগে। বিসিবি’র সঙ্গে
আলোচনা করে যত শিগগির সম্ভব সিরিজের নতুন সূচি ঘোষণা করবো আমরা।
এমন সিদ্ধান্ত জানানোর আগে খেলেয়াড় সংস্থা কর্মকর্তাদের চাপের মুখে ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গতকাল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসন বলেন, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমরা সিএ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের আগে আলাদা আলোচনা হচ্ছিল দু’দলের সর্বশেষ নৈপুণ্য নিয়েও। নিজ মাটিতে শেষ তিন ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ জয় কুড়ায় পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ অ্যাশেজে নাস্তানাবুদ অস্ট্রেলিয়া দলের শীর্ষ পাঁচ খেলোয়াড় মাইকেল ক্লার্ক, রায়ান হ্যারিস, ক্রিস রজার্স, শেন ওয়াটসন, ব্র্যাহ হ্যাডিন ইতিমধ্যে দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা। ইনজুরির জন্য মাঠের বাইরে রয়েছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। এতে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দলটিকে স্মরণকালের অনভিজ্ঞ বলে আখ্যা দিচ্ছে অজি মিডিয়া। অজি মিডিয়া গত বুধবার আরও জানায়, অস্ট্রেলিয়া দলের অর্ধেকসংখ্যক খেলোয়াড় বাংলাদেশ সফরে যেতে রাজি। গতকাল সিএ নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, ক্রিকেট খেলুড়ে জাতি হিসেবে স্পষ্টই বাংলাদেশ দ্রুত উঠে আসছে। নতুনদের নিয়ে গঠিত এবারের অস্ট্রেলিয়া দল এ সিরিজে চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে ছিল। আমাদের উদ্বেগের কথা জানার পরপরই বাংলাদেশ সরকার ও বিসিবি তা মেটাতে যেমন সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে তা প্রশংসনীয়। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে না আসাটা দুঃখজনক। একটি সফরে আইসিসির নিরাপত্তা নির্ণায়ক কেমন হবে তাও পরিষ্কার নয়। আইসিসি’র পরবর্তী সভায় বিষয়টি তুলবো আমরা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পথে দেশ ছাড়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে আগের দিন দলের যাত্রা আটকে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পরে সিএ নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানান, দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) এবং অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স অরগানাইজেশনের (এএসআইও) হস্তক্ষেপে ক্রিকেট দলের যাত্রা আটকে দিয়েছেন তারা । সরকারের তরফ থেকে হঠাৎই তাদের জানানো হয়েছে বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ানদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। গত সোমবার অজি বোর্ডের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারলের নেতৃত্বে ঢাকায় পৌঁছে তিন জনের পর্যবেক্ষক দল। সোমবার দফায় দফায় তারা বৈঠক করেন র্যাব-পুলিশসহ বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে। এতে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের জন্য চার স্তরের ভিভিআইপি নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হয় অজি পর্যবেক্ষকদের। ওই দিন বিকালে আশার বাণী শোনা যায় সিএ কর্মকর্তা প্যাট হাওয়ার্ডের কথায়ও। ওইদিন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পারফরমেন্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড বলেন, আজ (সোমবার) আমাদের জন্য অনেক বড় একদিন। অনেকগুলো বৈঠক হলো। এ নিয়ে অনেক ব্যক্তি একসঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আমরা বিয়য়টিকে অবহেলা (আন্ডার রিয়েক্টিং) করিনি আবার এতে অতি-প্রতিক্রিয়াও (ওভার রিয়েক্টিং) দেখাতে চাইনা। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় পাল্টে যায় চিত্র। গুলশানে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন পার্কে সান্ধ্যভ্রমণকারী এক ইতালিয়ান নাগরিক। সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের দাবি, এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সেদিনই বাংলাদেশ সফরে নিজ নিজ নাগরিকদের সতর্ক বার্তা দেয় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। যদিও ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ইতালিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি তারা। আগামী ৯ই অক্টোবর প্রথম টেস্টে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার।
এমন সিদ্ধান্ত জানানোর আগে খেলেয়াড় সংস্থা কর্মকর্তাদের চাপের মুখে ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গতকাল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টার নিকলসন বলেন, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমরা সিএ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের আগে আলাদা আলোচনা হচ্ছিল দু’দলের সর্বশেষ নৈপুণ্য নিয়েও। নিজ মাটিতে শেষ তিন ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ জয় কুড়ায় পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ অ্যাশেজে নাস্তানাবুদ অস্ট্রেলিয়া দলের শীর্ষ পাঁচ খেলোয়াড় মাইকেল ক্লার্ক, রায়ান হ্যারিস, ক্রিস রজার্স, শেন ওয়াটসন, ব্র্যাহ হ্যাডিন ইতিমধ্যে দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা। ইনজুরির জন্য মাঠের বাইরে রয়েছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। এতে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দলটিকে স্মরণকালের অনভিজ্ঞ বলে আখ্যা দিচ্ছে অজি মিডিয়া। অজি মিডিয়া গত বুধবার আরও জানায়, অস্ট্রেলিয়া দলের অর্ধেকসংখ্যক খেলোয়াড় বাংলাদেশ সফরে যেতে রাজি। গতকাল সিএ নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, ক্রিকেট খেলুড়ে জাতি হিসেবে স্পষ্টই বাংলাদেশ দ্রুত উঠে আসছে। নতুনদের নিয়ে গঠিত এবারের অস্ট্রেলিয়া দল এ সিরিজে চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে ছিল। আমাদের উদ্বেগের কথা জানার পরপরই বাংলাদেশ সরকার ও বিসিবি তা মেটাতে যেমন সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে তা প্রশংসনীয়। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে না আসাটা দুঃখজনক। একটি সফরে আইসিসির নিরাপত্তা নির্ণায়ক কেমন হবে তাও পরিষ্কার নয়। আইসিসি’র পরবর্তী সভায় বিষয়টি তুলবো আমরা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পথে দেশ ছাড়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে আগের দিন দলের যাত্রা আটকে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পরে সিএ নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড জানান, দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) এবং অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স অরগানাইজেশনের (এএসআইও) হস্তক্ষেপে ক্রিকেট দলের যাত্রা আটকে দিয়েছেন তারা । সরকারের তরফ থেকে হঠাৎই তাদের জানানো হয়েছে বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ানদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। গত সোমবার অজি বোর্ডের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারলের নেতৃত্বে ঢাকায় পৌঁছে তিন জনের পর্যবেক্ষক দল। সোমবার দফায় দফায় তারা বৈঠক করেন র্যাব-পুলিশসহ বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে। এতে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের জন্য চার স্তরের ভিভিআইপি নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হয় অজি পর্যবেক্ষকদের। ওই দিন বিকালে আশার বাণী শোনা যায় সিএ কর্মকর্তা প্যাট হাওয়ার্ডের কথায়ও। ওইদিন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পারফরমেন্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড বলেন, আজ (সোমবার) আমাদের জন্য অনেক বড় একদিন। অনেকগুলো বৈঠক হলো। এ নিয়ে অনেক ব্যক্তি একসঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আমরা বিয়য়টিকে অবহেলা (আন্ডার রিয়েক্টিং) করিনি আবার এতে অতি-প্রতিক্রিয়াও (ওভার রিয়েক্টিং) দেখাতে চাইনা। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় পাল্টে যায় চিত্র। গুলশানে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন পার্কে সান্ধ্যভ্রমণকারী এক ইতালিয়ান নাগরিক। সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের দাবি, এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সেদিনই বাংলাদেশ সফরে নিজ নিজ নাগরিকদের সতর্ক বার্তা দেয় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। যদিও ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ইতালিয়ান নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি তারা। আগামী ৯ই অক্টোবর প্রথম টেস্টে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার।
No comments