ল্যান্ড ফোনেই ইন্টারনেট, ডিশ by শামীমুল হক
টিঅ্যান্ডটির ল্যান্ড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছে বিটিসিএল। ভয়েস, ডাটা ও ডিশ ব্যবহার করা যাবে ল্যান্ড ফোন দিয়ে। একসঙ্গে তিনটি কাজ করা যাবে বলে এ পদ্ধতির নাম দেয়া হয়েছে ট্রিপল প্লে। এজন্য অবশ্য রাজধানীর উত্তরা, শেরেবাংলা নগর, গুলশান ও মগবাজার টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ৭ ডিজিটের ফোন নম্বরের বদলে ৮ ডিজিট করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উত্তরা এক্সচেঞ্জের ৮৯১ এবং ৮৯২ গ্রুপের ৭০০০ পুরনো টেলিফোন নম্বর ৮ ডিজিটে করার কাজ শুরু হয়েছে। শেরেবাংলা নগর ও গুলশান টেলিফোন এক্সচেঞ্জের আওতায় ৮০০০ নম্বর পাল্টে যাচ্ছে। মগবাজার টেলিফোন এক্সচেঞ্জের আওতায় ৭০০০ টেলিফোন ৮ ডিজিটে করা হচ্ছে। অবশ্য বিদ্যমান নম্বরের সঙ্গে সংগতি না রেখে সরকারি ল্যান্ডফোন অপারেটর বিটিসিএল এ কাজ করছে। আধুনিক ট্রিপল প্লে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে এ পরিবর্তনের সুফল পেতে সাধারণ গ্রাহকদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বিটিসিএল-এর একজন পরিচালক বলেছেন, ঢাকার সর্বত্র অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন হওয়ার আগে সব এলাকায় এ সেবা পাওয়া যাবে না। শুধু মিরপুর ডিওএইচএসে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক থাকায় সেখানে এই উন্নত সেবা চালু হচ্ছে। বিটিসিএলের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তুতি স্বরূপ উত্তরা, শেরেবাংলা নগর, গুলশান, রমনা, নীলক্ষেত, মিরপুর, বাবুবাজার, চকবাজার ও মগবাজার টেলিফোন এক্সচেঞ্জের আওতায় ১ লাখ গ্রাহকের টেলিফোন নম্বর ৮ ডিজিটে পরিবর্তন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে গ্রাহকরা এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবেন। তবে বেশির ভাগ গ্রাহকেরই এত দিনের পরিচিত টেলিফোন নম্বর থাকছে না। সম্পূর্ণ নতুন নম্বর পাবেন গ্রাহক। আগে বিটিটিবির বর্তমানে বিটিসিএল টেলিফোন নম্বর ছিল ছয় ডিজিটের। তখন ছিল এনালগ সিস্টেম। আর এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তরের প্রয়োজনে তা ৭ ডিজিটে পাল্টে দেয়া হয়। সে সময় পরিবর্তন করা হয়েছিল আগের নম্বরের সঙ্গে সংগতি রেখে। শুধুমাত্র একটি ডিজিট যোগ করে। কিন্তু বর্তমানে টেলিফোন নম্বর পুরোপুরিই পাল্টে যাচ্ছে। বিটিসিএল ইতিমধ্যে যেসব টেলিফোন নম্বর পরিবর্তনের তালিকা করেছে, তার মধ্যে একটি নম্ব্বরও আগের নম্বরের সঙ্গে মিল নেই। গ্রাহকদের কথা, মোবাইল ফোন অপারেটররাও তাদের এক সময়ের ১০ ডিজিটের নম্বর ১১ ডিজিটে পরিবর্তন করে। কিন্তু তা করা হয় আগের নম্বরের সঙ্গে সংগতি রেখেই। এ ব্যাপারে বিটিসিএল-এর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ে আগের নম্বরের সঙ্গে সংগতি না রেখে নম্বর পরিবর্তন হলেও পরে শেষের চার ডিজিট অপরিবর্তিত রাখা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। টেলিফোন নম্বর পরিবর্তন সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাইলে গ্রাহকদের অফিস চলাকালে ৮১৪২০০০, ৯১১৮৯১৯ ও ৮১১৭৪৪৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। এ ব্যাপারে বিটিসিএলের পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যেই ৭ ডিজিটের ওইসব নম্বর ৮ ডিজিটে পরিবর্তন করা হচ্ছে। পুরনো নম্বর ও পরিবর্তিত নতুন নম্বরের প্রথম পর্যায়ের তালিকা বিটিসিএল-এর অফিসিয়াল ওয়েব পেজে পাওয়া যাবে। এছাড়া নম্বর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদেরও তা জানিয়ে দেয়া হবে।
রাজধানীর পুরানো ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন (১৭১ কে,এল) প্রকল্পটি বিটিসিএল পরিচালনা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। বিটিসিএল-এর নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রচলিত কপার ক্যাবলের ব্যবহার সীমিত রেখে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে গ্রাহকদের এলাকা পর্যন্ত, কোন কোন ক্ষেত্রে ভবন, এমনকি বাসা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনের সংস্থান এ প্রকল্পে রয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার একদিকে যেমন সাশ্রয়ী অন্যদিকে ব্যান্ড-উইড্থ বেশি হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস সহজেই দেয়া যাবে। এ ধরনের প্রকল্প বিটিসিএল তথা সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম এবং এর মাধ্যমে বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে বিটিসিএল আশা করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এনজিএন বেইজড সফট সুইচের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিফোন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দেয়া যাবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বেমানের টেলিযোগাযোগ সেবা যেমন এফটিটিবি (ফাইবার টু দ্য বিল্ডিং) এফটিটিএইচ (ফাইবার টু দ্য হোম) এফটিটিও (ফাইবার টু দ্য অফিস) ইত্যাদি প্রদান করা সম্ভব হবে। যার ফলে গ্রাহকরা একই সঙ্গে ভয়েস, ডিশ ও ডাটা সেবা পাবেন। প্রকল্পের আমদানিকৃত বৈদেশিক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং টেস্টিং ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
রাজধানীর পুরানো ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন (১৭১ কে,এল) প্রকল্পটি বিটিসিএল পরিচালনা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। বিটিসিএল-এর নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রচলিত কপার ক্যাবলের ব্যবহার সীমিত রেখে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে গ্রাহকদের এলাকা পর্যন্ত, কোন কোন ক্ষেত্রে ভবন, এমনকি বাসা পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনের সংস্থান এ প্রকল্পে রয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার একদিকে যেমন সাশ্রয়ী অন্যদিকে ব্যান্ড-উইড্থ বেশি হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস সহজেই দেয়া যাবে। এ ধরনের প্রকল্প বিটিসিএল তথা সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম এবং এর মাধ্যমে বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে বিটিসিএল আশা করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এনজিএন বেইজড সফট সুইচের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেলিফোন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দেয়া যাবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বেমানের টেলিযোগাযোগ সেবা যেমন এফটিটিবি (ফাইবার টু দ্য বিল্ডিং) এফটিটিএইচ (ফাইবার টু দ্য হোম) এফটিটিও (ফাইবার টু দ্য অফিস) ইত্যাদি প্রদান করা সম্ভব হবে। যার ফলে গ্রাহকরা একই সঙ্গে ভয়েস, ডিশ ও ডাটা সেবা পাবেন। প্রকল্পের আমদানিকৃত বৈদেশিক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং টেস্টিং ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
No comments