৫ই জানুয়ারি ঘিরে উত্তেজনা- ঢাকার ১৬ স্পটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ, যে কোন মূল্যে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
৫ই
জানুয়ারি। আলোচিত নির্বাচনের এক বছর। এ নির্বাচন ঘিরে গত বছরের এই দিনে
দেশজুড়ে ছিল সংঘাতময় পরিস্থিতি। নির্বাচনের পর ঠিক এই দিনটি ঘিরে রাজনৈতিক
ময়দানে ফের উত্তেজনা। সংঘাত, সংঘর্ষের শঙ্কা। পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে
দুই রাজনৈতিক শিবির মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালন
করতে এদিন সারা দেশে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর গণতন্ত্র
হত্যা দিবস আখ্যা দিয়ে এ দিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে
বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন জোট। ইতিমধ্যে ৫ই জানুয়ারি যে কোন মূল্যে ঢাকায়
সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন দলের নেতারা। যদিও এ দিনে সরকারের তরফে বিরোধী
জোটকে রাজধানীতে সমাবেশ করতে দেয়া হবে কিনা এ নিয়ে স্পষ্ট কোন ইঙ্গিত দেয়া
হয়নি। গতকাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন,
বিরোধী জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নিশ্চয়তা পেলেই কেবল তাদের সমাবেশের
অনুমতি দেয়া হতে পারে। তিনি এও বলেছেন, নাশকতার আশঙ্কা হলে অনুমতি দেয়া হবে
না সমাবেশের। দুই পক্ষের এমন পাল্টাপাল্টি দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ দিন বিএনপি’র
কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ৫ই জানুয়ারি নিজ নিজ কর্মসূচি সফল করতে
প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। গতকাল দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা
মহানগরের নেতা এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে যৌথ সভা করেছে আওয়ামী লীগ। বৈঠক
সূত্র জানায়, ৫ই জানুয়ারি বিরোধী জোটের কর্মসূচি ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের
সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী
লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে। দুপুরে দেশজুড়ে হবে বিজয় র্যালি। বিকালে নগরীর ১৬টি স্পটে হবে
জনসভা। বৈঠক সূত্র জানায়, ৫ই জানুয়ারি ঢাকার রাজপথ দখলে রাখারও নির্দেশনা
দেয়া হয়েছে দলের তরফে। এদিকে বিএনপি ও ২০ দলের পক্ষ থেকে জোর প্রস্তুতি
নেয়া হয়েছে ৫ই জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করার। সমাবেশের অনুমতি না দিলে বা
বাধা দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার প্রস্তুতি রয়েছে এ জোটের।
১৬ স্পটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
৫ই জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, হুমকি-ধমকি দিলেও ৫ই জানুয়ারি বিএনপি’র ‘কাগুজে বাঘদের’ খুঁজে পাওয়া যাবে না। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী ৫ই জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত যৌথসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা ও ঢাকার সংসদ সদস্যরা অংশ নেন। বিএনপি’র ‘যে কোন মূল্যে’ সমাবেশ করার ঘোষণার সমালোচনা করে হানিফ বলেন, বিএনপি’র উস্কানিমূলক বক্তব্যই প্রমাণ করে, তারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। জনসভা করার সিদ্ধান্ত দেবে কি দেবে না সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিষয়। ৫ই জানুয়ারি কোন সংঘাতের আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ই জানুয়ারি আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করবো। এদিন অনেক কিছু করে ফেলবে বলে যারা (বিএনপি) হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন ওইদিন সেই কাগুজে বাঘদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। বিএনপি নেতারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানে কি? দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা যখন যা খুশি বক্তব্য দিচ্ছেন। আর গাজীপুরে জনসভায় আওয়ামী লীগ কোন বাধা দেয়নি। ছাত্রলীগ তারেক রহমানকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিল। তারেক রহমান তার বক্তব্যের জন্য যদি ক্ষমা না চান তাহলে ভবিষ্যতে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের জনগণ কোথাও সমাবেশ করতে দেবে কি-না তা ভাবনার বিষয়। সংবাদ সম্মেলনে হানিফ জানান, ৫ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারা দেশে দুপুর আড়াইটা থেকে বিজয় র্যালি করবে। বিকালে ঢাকার ১৬টি স্পটে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করবে। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা পৃথক পৃথকভাবে সমাবেশে অংশ নেবেন। একই সঙ্গে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানেও জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১০ই জানুয়ারি একই স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে যৌথসভায় অংশ নেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, এডভোকেট আবদুল মান্নান, দলের খাদ্য ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
সমাবেশ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি: এদিকে ৫ই জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস আখ্যায়িত করে ওইদিন রাজধানীতে সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিএনপি। রাজধানীর তিনটি স্পটকে সম্ভাব্য ভেন্যু উল্লেখ করে ২২শে ডিসেম্বর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি’র কাছে লিখিত আবেদন করে দলটি। সাড়া না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপি’র একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গেলেও ইতিবাচক কোন ফল আসেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে, সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। তবে সরকার অনুমতি না দিলেও ওইদিন সমাবেশ করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের পর গতকাল স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সে ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ৫ই জানুয়ারি হবে শেষ খেলা। সেদিন থেকেই শুরু হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নতুন অভিযাত্রা। এদিকে ৫ই জানুয়ারি সমাবেশের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি, ২০দলীয় জোটের শরিক দল ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির অঙ্গন। তৈরি হয়েছে যে কোন মুহূর্তে সংঘাতের আশঙ্কা। তবে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে এমন অঙ্গীকার করে দলটি সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, শান্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সেইসঙ্গে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আমরা বলতে চাই, ৫ই জানুয়ারি আমরা কর্মসূচি করবোই। আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ।
‘৫ই জানুয়ারি আমরা কর্মসুচি করবোই’: ওদিকে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যে কোন মূল্যে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, দৃঢ়তার সঙ্গে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আমরা বলতে চাই, ৫ই জানুয়ারি আমরা কর্মসূচি পালন করবোই। আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। শান্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে রিজভী বলেন, আমরা বার বার অঙ্গীকার করছি, ৫ই জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের জনসভা হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। আমরা এই জনসভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, অতীতেও আমরা আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। আমাদের এবারের কর্মসূচিও হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। ওই সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আমরা এ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। সরকার সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি কি পদক্ষেপ নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, অনুমতি না দিলে সে ক্ষেত্রে আমাদের কর্মসূচি দিতেই হবে। এজন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে। সমাবেশ করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ডিএমপি’র কাছে আবেদন করেছে বিএনপি। গণপূর্ত বলেছে, পুলিশ মাইক ব্যবহারের অনুমতি ও নিরাপত্তা দিলে তারা সমাবেশের জন্য মাঠ দেবে। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে এখনও কোন অনুমতি বা আশ্বাস পাওয়া যায়নি। রিজভী বলেন, তাদের কি মতিগতি জানি না। শাসকদল কি যুদ্ধ ঘোষণা করতে চান? বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের বক্তব্যের নিন্দা জানান রিজভী। তিনি এরশাদকে গুজবের ‘মহানায়ক’ ও ‘অন্যতম জঘন্য রাজাকার’ আখ্যা দেন। রিজভী দাবি করেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন, তাঁদের বিচারের চেয়ারম্যান ছিলেন এরশাদ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম ও আসাদুল করিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
যেসব স্পটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ: মিরপুর পূরবী সিনেমা হলের সামনে জনসভায় উপস্থিত থাকবেন ড. আবদুর রাজ্জাক, এস এম কামাল হোসেন, ইলিয়াসউদ্দিন মোল্লাহ। শ্যামপুর-জুরাইন রেলগেট এলাকায় সমাবেশে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, এনামুল হক শামীম, সানজিদা খানম অংশ নেবেন। ডেমরা-যাত্রাবাড়ী মাঠে সমাবেশে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতা মতিয়া চৌধুরী, নূরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান মোল্লা। বাড্ডা-রামপুরা পেট্রল পাম্প এলাকায় থাকবেন ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, এ কে এম রহমত উল্লাহ, ধানমণ্ডি ৩২নং রোড এলাকায় সমাবেশ করবেন মোহাম্মদ নাসিম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মিরপুর-১ (গোলচত্বর) এলাকায় সমাবেশে অংশ নেবেন আমির হোসেন আমু, আখতারুজ্জামান, আসলামুল হক। লালবাগ এলাকায় সমাবেশ করবেন তোফায়েল আহমেদ, শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মৃণাল কান্তি দাস। গুলশান এলাকায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আমিনুল ইসলাম আমিন। সূত্রাপুর এলাকায় অবস্থান করবেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী। তেজগাঁও এলাকায় অবস্থান করবেন কাজী জাফর উল্লাহ, ড. হাছান মাহমুদ, আবদুস ছাত্তার, সবুজবাগ-খিলগাঁও এলাকায় সমাবেশ করবেন নূহ-উল-আলম লেনিন, আবদুর রহমান, আবদুল মান্নান খান। উত্তরা এলাকায় সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন সাহারা খাতুন, কর্নেল (অব.) ফারুক খান। কামরাঙ্গীর চর এলাকায় অবস্থান করবেন সতীশ চন্দ্র রায়, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, কামরুল ইসলাম। মোহাম্মদপুর এলাকায় সমাবেশ করবেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফরিদুন্নাহার লাইলী, মির্জা আজম। কাফরুল এলাকায় সমাবেশে অংশ নেবেন ডা. দিপু মনি, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বি.এম মোজাম্মেল হক। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে ওবায়দুল কাদের, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, অসীম কুমার উকিলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
‘নাশকতার আশঙ্কা থাকলে বিএনপিকে অনুমতি নয়’
পরিস্থিতি বুঝে বিএনপির ৫ই জানুয়ারির সমাবেশের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেছেন, নাশকতার আশঙ্কা থাকলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৮ম হজ ও ওমরাহ মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এখন পর্যন্ত নাশকতার কোন তথ্য নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫ই জানুয়ারি আসতে এখনও দুই-তিন দিন বাকি। বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যদি কোন ধরনের নাশকতার আশঙ্কা থাকে তাহলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে যদি নাশকতার বিষয়টি না থাকে এবং শা?ন্তিপূর্ণ সমাবেশের বিষয় হয় তাহলে আমরা ব্যাপারটি ভেবে দেখবো। বিএনপির সমাবেশ আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাপলা চত্বর বা নয়া পল্টন এই তিন জায়গার যে কোন একটিতে ৫ই জানুয়ারি সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ২২শে ডিসেম্বর আবেদন করেছিল বিএনপি। তবে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
১৬ স্পটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
৫ই জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, হুমকি-ধমকি দিলেও ৫ই জানুয়ারি বিএনপি’র ‘কাগুজে বাঘদের’ খুঁজে পাওয়া যাবে না। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী ৫ই জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত যৌথসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা ও ঢাকার সংসদ সদস্যরা অংশ নেন। বিএনপি’র ‘যে কোন মূল্যে’ সমাবেশ করার ঘোষণার সমালোচনা করে হানিফ বলেন, বিএনপি’র উস্কানিমূলক বক্তব্যই প্রমাণ করে, তারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। জনসভা করার সিদ্ধান্ত দেবে কি দেবে না সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিষয়। ৫ই জানুয়ারি কোন সংঘাতের আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ই জানুয়ারি আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করবো। এদিন অনেক কিছু করে ফেলবে বলে যারা (বিএনপি) হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন ওইদিন সেই কাগুজে বাঘদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। বিএনপি নেতারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানে কি? দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা যখন যা খুশি বক্তব্য দিচ্ছেন। আর গাজীপুরে জনসভায় আওয়ামী লীগ কোন বাধা দেয়নি। ছাত্রলীগ তারেক রহমানকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিল। তারেক রহমান তার বক্তব্যের জন্য যদি ক্ষমা না চান তাহলে ভবিষ্যতে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের জনগণ কোথাও সমাবেশ করতে দেবে কি-না তা ভাবনার বিষয়। সংবাদ সম্মেলনে হানিফ জানান, ৫ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারা দেশে দুপুর আড়াইটা থেকে বিজয় র্যালি করবে। বিকালে ঢাকার ১৬টি স্পটে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করবে। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা পৃথক পৃথকভাবে সমাবেশে অংশ নেবেন। একই সঙ্গে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানেও জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ১০ই জানুয়ারি একই স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে যৌথসভায় অংশ নেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, এডভোকেট আবদুল মান্নান, দলের খাদ্য ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
সমাবেশ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি: এদিকে ৫ই জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস আখ্যায়িত করে ওইদিন রাজধানীতে সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিএনপি। রাজধানীর তিনটি স্পটকে সম্ভাব্য ভেন্যু উল্লেখ করে ২২শে ডিসেম্বর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি’র কাছে লিখিত আবেদন করে দলটি। সাড়া না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপি’র একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গেলেও ইতিবাচক কোন ফল আসেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে, সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। তবে সরকার অনুমতি না দিলেও ওইদিন সমাবেশ করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের পর গতকাল স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সে ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ৫ই জানুয়ারি হবে শেষ খেলা। সেদিন থেকেই শুরু হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নতুন অভিযাত্রা। এদিকে ৫ই জানুয়ারি সমাবেশের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি, ২০দলীয় জোটের শরিক দল ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির অঙ্গন। তৈরি হয়েছে যে কোন মুহূর্তে সংঘাতের আশঙ্কা। তবে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে এমন অঙ্গীকার করে দলটি সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, শান্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সেইসঙ্গে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আমরা বলতে চাই, ৫ই জানুয়ারি আমরা কর্মসূচি করবোই। আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ।
‘৫ই জানুয়ারি আমরা কর্মসুচি করবোই’: ওদিকে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যে কোন মূল্যে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, দৃঢ়তার সঙ্গে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আমরা বলতে চাই, ৫ই জানুয়ারি আমরা কর্মসূচি পালন করবোই। আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। শান্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে রিজভী বলেন, আমরা বার বার অঙ্গীকার করছি, ৫ই জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের জনসভা হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। আমরা এই জনসভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, অতীতেও আমরা আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি। আমাদের এবারের কর্মসূচিও হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। ওই সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আমরা এ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। সরকার সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি কি পদক্ষেপ নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, অনুমতি না দিলে সে ক্ষেত্রে আমাদের কর্মসূচি দিতেই হবে। এজন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে। সমাবেশ করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ডিএমপি’র কাছে আবেদন করেছে বিএনপি। গণপূর্ত বলেছে, পুলিশ মাইক ব্যবহারের অনুমতি ও নিরাপত্তা দিলে তারা সমাবেশের জন্য মাঠ দেবে। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে এখনও কোন অনুমতি বা আশ্বাস পাওয়া যায়নি। রিজভী বলেন, তাদের কি মতিগতি জানি না। শাসকদল কি যুদ্ধ ঘোষণা করতে চান? বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের বক্তব্যের নিন্দা জানান রিজভী। তিনি এরশাদকে গুজবের ‘মহানায়ক’ ও ‘অন্যতম জঘন্য রাজাকার’ আখ্যা দেন। রিজভী দাবি করেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন, তাঁদের বিচারের চেয়ারম্যান ছিলেন এরশাদ। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম ও আসাদুল করিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
যেসব স্পটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ: মিরপুর পূরবী সিনেমা হলের সামনে জনসভায় উপস্থিত থাকবেন ড. আবদুর রাজ্জাক, এস এম কামাল হোসেন, ইলিয়াসউদ্দিন মোল্লাহ। শ্যামপুর-জুরাইন রেলগেট এলাকায় সমাবেশে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, এনামুল হক শামীম, সানজিদা খানম অংশ নেবেন। ডেমরা-যাত্রাবাড়ী মাঠে সমাবেশে থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতা মতিয়া চৌধুরী, নূরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান মোল্লা। বাড্ডা-রামপুরা পেট্রল পাম্প এলাকায় থাকবেন ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, এ কে এম রহমত উল্লাহ, ধানমণ্ডি ৩২নং রোড এলাকায় সমাবেশ করবেন মোহাম্মদ নাসিম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মিরপুর-১ (গোলচত্বর) এলাকায় সমাবেশে অংশ নেবেন আমির হোসেন আমু, আখতারুজ্জামান, আসলামুল হক। লালবাগ এলাকায় সমাবেশ করবেন তোফায়েল আহমেদ, শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মৃণাল কান্তি দাস। গুলশান এলাকায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আমিনুল ইসলাম আমিন। সূত্রাপুর এলাকায় অবস্থান করবেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী। তেজগাঁও এলাকায় অবস্থান করবেন কাজী জাফর উল্লাহ, ড. হাছান মাহমুদ, আবদুস ছাত্তার, সবুজবাগ-খিলগাঁও এলাকায় সমাবেশ করবেন নূহ-উল-আলম লেনিন, আবদুর রহমান, আবদুল মান্নান খান। উত্তরা এলাকায় সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন সাহারা খাতুন, কর্নেল (অব.) ফারুক খান। কামরাঙ্গীর চর এলাকায় অবস্থান করবেন সতীশ চন্দ্র রায়, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, কামরুল ইসলাম। মোহাম্মদপুর এলাকায় সমাবেশ করবেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফরিদুন্নাহার লাইলী, মির্জা আজম। কাফরুল এলাকায় সমাবেশে অংশ নেবেন ডা. দিপু মনি, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বি.এম মোজাম্মেল হক। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে ওবায়দুল কাদের, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, অসীম কুমার উকিলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
‘নাশকতার আশঙ্কা থাকলে বিএনপিকে অনুমতি নয়’
পরিস্থিতি বুঝে বিএনপির ৫ই জানুয়ারির সমাবেশের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেছেন, নাশকতার আশঙ্কা থাকলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৮ম হজ ও ওমরাহ মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এখন পর্যন্ত নাশকতার কোন তথ্য নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫ই জানুয়ারি আসতে এখনও দুই-তিন দিন বাকি। বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যদি কোন ধরনের নাশকতার আশঙ্কা থাকে তাহলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে যদি নাশকতার বিষয়টি না থাকে এবং শা?ন্তিপূর্ণ সমাবেশের বিষয় হয় তাহলে আমরা ব্যাপারটি ভেবে দেখবো। বিএনপির সমাবেশ আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাপলা চত্বর বা নয়া পল্টন এই তিন জায়গার যে কোন একটিতে ৫ই জানুয়ারি সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ২২শে ডিসেম্বর আবেদন করেছিল বিএনপি। তবে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
No comments