৬০ ফুট গভীর কূপে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে শিশুদের
পানি
সংগ্রহের জন্য দড়ি বেঁধে শিশুদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে ৬০ ফুটেরও বেশি গভীর
কুয়াতে। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে তেমনটা মাথাব্যথা নেই। প্রতিদিন জোরপূর্বক
ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে শিশুদের জীবন। স্কুলে যেতে না দিয়ে
মা-বাবারাই পানি সংগ্রহে নিজ সন্তানদের নামিয়ে দিচ্ছেন কুয়াতে। ভারতের
মহারাষ্ট্রের মারাথবাদা এলাকায় চলছে এ চর্চা। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি
অনলাইন। প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রীষ্মকাল আসার আগেই মারাথবাদার কুয়াগুলোর
পানি শুকিয়ে যায়। উপর থেকে কুয়ার তলদেশে পানি দৃশ্যমান হলেও পরিমাণ
পর্যাপ্ত নয়। ফলে কলসি নামিয়ে দিলে তা উঠে আসে খালি। এ অবস্থায় পাতলা
নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে গভীর কুয়ার নিচে পাঠানো হয় শিশুদের। এরপর নামিয়ে
দেয়া হয় কলসি। শিশুদের কাজ, কুয়ার নিচে পৌঁছে মগ দিয়ে পানি উঠিয়ে কলসি
পূর্ণ করা। যে ধরনের দড়ি দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে শিশুদের ওঠানো-নামানো
হচ্ছে সেগুলো পানিভর্তি একটি কলসির চেয়ে বেশি ওজন বহনের জন্য উপযুক্ত নয়।
বিপজ্জনক এ চর্চায় এতোদিন যে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি সেটাই আশ্চর্য। শিশুদের
স্কুলে যেতে না দিয়ে প্রতিদিন তাদেরকে দিয়ে এ কাজ করানো হচ্ছে। মারাথবাদার
মুরকুতবাদি গ্রামের ১২ বছরের প্রিয়াঙ্কা মুকুটকে প্রতিদিন নামিয়ে দেয়া হয়
কুয়াতে। আর ১০টি কলসি ভরে সে ওগুলো উপরে পাঠিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী এক
ব্যক্তি বলেন, প্রক্রিয়াটি শঙ্কা উদ্রেককারী। গ্রামটি মহারাষ্ট্রের গ্রাম
উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী পঙ্কজ মুণ্ডের নির্বাচনী এলাকা। পানি সরবরাহকারী
ট্যাঙ্কার দেয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিনের পুরোনো প্রতিশ্রুতি ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন
আর রাজনীতিবিদরা তেমন কিছুই করছেন না। যেখান থেকে পানি নিয়ে আসা হয়ে থাকে
সেই আহমেদনগরেও যদি একই রকম খরা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে বিকল্প কোন পরিকল্পনা
নেই। এ ইস্যুতে মন্ত্রী মুণ্ডের কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
No comments