ফরিদপুর সদরের তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান by পান্না বালা
(ফরিদপুর
সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর নরসিংহদিয়া সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পড়াশোনা। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো) ফরিদপুর
সদরের তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান।
যেকোনো মুহূর্তে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ ধসে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে
আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, বিকল্প কোনো উপায়
না থাকায় ওই তিনটি বিদ্যালয়ে ৬২১ জন শিক্ষার্থীকে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ
ভবনে পাঠদান করা হচ্ছে। এদিকে গত ৪ সেপ্টম্বর ফরিদপুর সদরের শিক্ষা
কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার সদরের পূর্ব ভাষাণচর আমিন উদ্দিন সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়কালী হাজী বাদশা মিয়া সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়, ভবানীপুর নরসিংহদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খালেক
চেয়ারম্যান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ‘অতীব
জরুরি’ চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান বড়
ধরনের দুর্ঘটনাসহ কোমলমতি শিশুদের জীবননাশের কারণ হতে পারে। তাই চিঠিতে
ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান বন্ধ রেখে
অন্যত্র পড়াতে বলা হয়। এর পরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান অব্যাহত রাখলে কোনো
দুর্ঘটনা ঘটলে তিনি (প্রধান শিক্ষক) ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন বলে সতর্ক
করা হয় চিঠিতে। ওই নির্দেশনা পাওয়ার পর খালেক চেয়ারম্যান বাজার সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় বিকল্পভাবে পাঠদানের ব্যবস্থা করে। বাকি তিনটি
বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি ভবানীপুর নরসিংহদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ১৮০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। এ সময় ওই ভবনের বিমে ফাটল দেখা যায়। এ ছাড়া ভবনের পলেস্তারাও খসে পড়তে দেখা যায়। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঞ্চমশ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাস করতে ভয় লাগে। কিন্তু স্যাররা ক্লাস করতে বলে তাই ক্লাস করি।’ একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যারদের জন্য ক্লাস করছি। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে স্যাররাই দায়ী থাকবেন।’
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। পূর্ব ভাষাণচর আমিনউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮৭ জন। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘বিকল্প না থাকায় আমরা জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ একমাত্র ভবনে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দেখে অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের অন্য স্কুলে নিয়ে গেছেন।’
রায়কালী হাজী বাদশা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫৪ জন। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল হক মৃধা বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলাপ করেই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চার প্রধান শিক্ষককে যে চিঠি দিয়েছেন সে বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে স্কুল সংস্কারের কাজ উপজেলা প্রশাসন করে থাকে। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ভবনগুলো পাঠদানের উপযোগী করে তুলতে উদ্যোগ নেব।’
ওই চারটি বিদ্যালয়ে চিঠি দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা ওই চিঠির অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছেন।
সম্প্রতি ভবানীপুর নরসিংহদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ১৮০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। এ সময় ওই ভবনের বিমে ফাটল দেখা যায়। এ ছাড়া ভবনের পলেস্তারাও খসে পড়তে দেখা যায়। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঞ্চমশ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘ক্লাস করতে ভয় লাগে। কিন্তু স্যাররা ক্লাস করতে বলে তাই ক্লাস করি।’ একই শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যারদের জন্য ক্লাস করছি। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে স্যাররাই দায়ী থাকবেন।’
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। পূর্ব ভাষাণচর আমিনউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮৭ জন। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘বিকল্প না থাকায় আমরা জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ একমাত্র ভবনে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দেখে অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের অন্য স্কুলে নিয়ে গেছেন।’
রায়কালী হাজী বাদশা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫৪ জন। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল হক মৃধা বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলাপ করেই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চার প্রধান শিক্ষককে যে চিঠি দিয়েছেন সে বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে স্কুল সংস্কারের কাজ উপজেলা প্রশাসন করে থাকে। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ভবনগুলো পাঠদানের উপযোগী করে তুলতে উদ্যোগ নেব।’
ওই চারটি বিদ্যালয়ে চিঠি দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা ওই চিঠির অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছেন।
No comments