আশার চরের শুঁটকি পল্লী
সাগরপাড়ের
তালতলী উপজেলার আশার চর। শীতের শুরু থেকেই এখানে শুঁটকি শুকানো নিয়ে শুরু
হয় হইচই। গড়ে ওঠে শুঁটকিপল্লী। এ পল্লীতে কিছু সময়ের জন্য হলেও কয়েক শ’
শ্রমিকের কর্মসংস্থানে সুযোগ হয়। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ
পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত এখানকার শ্রমিকরা। শীতের সময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে
শুঁটকিপল্লীতে বিভিন্ন জায়গার দরিদ্র পরিবার জীবন-জীবিকার তাগিদে এখানে
ছুটে আসে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ছোট ছোট অস্থায়ী বসতি। দিনভর চলতে থাকে
ট্রলার থেকে মাছ নামানো, বাছাই। তারপর শুরু হয় রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরির
কাজ। এ শুঁটকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, রংপুর, সিলেট, দিনাজপুর,
ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। বরগুনার তালতলীর এ শুঁটকি
দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে। আশার চরে
শুঁটকিপল্লীর শ্রমিকরা জানান, প্রতি বছর শীতের শুরু থেকে এখানে তাদের প্রায়
ছয় মাস থাকতে হয়। অথচ তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোন হাসপাতাল বা কোন
ধরনের চিকিৎসাকেন্দ্র নেই। তাই প্রতিটি শুঁটকিপল্লীতে একটি করে টিউবওয়েল ও
শিশুদের জন্য অস্থায়ী স্কুল এবং চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ করা জরুরি। বরগুনার
তালতলী উপজেলার আশার চর শুঁটকিপল্লীর একাধিক শ্রমিক বলেন, আশার চরে
শ্রমিকদের জন্য কোন সাইক্লোন শেল্টার নেই। অন্যদিকে এখানকার শিশুরা শিক্ষা
থেকেও বঞ্চিত। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল হোসেন
শুঁটকিপল্লীর শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার
আশ্বাস দিয়ে বলেন, তালতলী উপজেলাটি নতুন হয়েছে। শুঁটকিপল্লীতে প্রতি বছর
শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। তাই সবকিছু গুছিয়ে উঠতে একটু সময়
লাগবে।
No comments