যেভাবে জঙ্গি কলেজছাত্রী মিতু
নারায়ণগঞ্জের
বন্দর থেকে কলেজ ছাত্রীসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির তিন সদস্যকে
গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার
করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জান্নাতুল নাঈম ওরফে মিতু (১৯), মেহেদী
হাসান ওরফে মাসুদ (২২) ও আকবর হোসেন ওরফে সুমন (৩০)। বন্দরের সোনাকান্দা
এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জান্নাতুল নাঈম মিতু
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেএমবির সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন। তাদের মাধ্যমে
উদ্রবাদী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হয়ে স্বামীকে তার পথে আনার চেষ্টা করেন।
শেষ পর্যন্ত স্বামীকে উগ্রবাদে সম্পৃক্ত করতে না পেয়ে চলতি বছরের ৩১শে
মার্চ দুই বছরের শিশু সন্তান রোজা আক্তারকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
তিনি জঙ্গি সদস্য মেহেদী হাসান ও আকবর হোসেন সুমনের কাছে যান। তারা তাকে
একটি বাসা ভাড়া করে দেন।
মেহেদী ও সুমন মিতুর মাধ্যমে বেশ কয়েকজন নারীকে জেএমবির আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করেন। র্যাব-১১ এর সদর দপ্তর সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে বুধবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১এর সিও লে. কমান্ডার কামরুল হাসান এ তথ্য জানান। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, ২রা এপ্রিল সোনারগাঁও নিবাসী মো. নুরুল ইসলাম তার মেয়ের জামাই জুয়েল র্যাব-১১ কার্যালয়ে এসে লিখিত অভিযোগ করে যে, তার মেয়ে জান্নাতুল নাঈম ওরফে মিতু (১৯) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং সে রাষ্ট্র বিরোধী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার জন্য ২ বছরের শিশু সন্তান রোজা আক্তারকে নিয়ে ৩১শে মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। তারা দ্রুত মিতুকে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানায়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব মিতুকে উদ্ধার করতে গিয়ে জেএমবির দুই সদস্যসহ তাদের গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য, মিতু ২০১৭ সালে সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে এবং একই কলেজে এইচএসসি অধ্যয়নরত।
যেভাবে মিতু জঙ্গি সংগঠনে জড়ায়: র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুল নাঈম ওরফে মিতু জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ফেসবুক আইডি ‘আল্লাহর সৈনিক’ এর মাধ্যমে জনৈক মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মেহেদী তাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কাজ করার আহবান জানিয়ে জসিম উদ্দিন রাহমানির উগ্রবাদী বক্তব্য সংব্বলিত বিভিন্ন বক্তব্য সরবরাহ করে। এর প্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে সে উগ্রবাদে আকৃষ্ট হলে তাকে জেএমবির দাওয়াত দেয়া হয়। এছাড়াও নামাজ আদায় না করলে ও দাঁড়ি না রাখলে তার স্বামীকে পরিত্যাগ করা উচিত বলে বিভিন্ন ফতোয়া দেয়। মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদ তাকে বাংলাদেশ সরকার ও ত্বাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হওয়ার আহবান জানালে মিতু তাতে সাড়া দেয়। এরপর থেকে মিতু তার ফেইসবুক আইডি ‘এসো ইসলামের পথে’ এবং ‘আলোর পথ ইসলাম’ থেকে বিভিন্ন যুদ্ধ, অস্ত্র ও গোলাবারুদের স্থিরচিত্র এবং ভিডিওসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করতে থাকে। সে তার কাছের বন্ধু-বান্ধবদের কথিত জিহাদের দাওয়াত দেয়া শুরু করে।
মিতু তার স্বামী জুয়েলকে উগ্রবাদের পথে আসার আহবান জানিয়ে ব্যর্থ হলে স্বামীকে ত্যাগ করে কথিত শহীদী মৃত্যু বরণ করার লক্ষ্যে হিযরত করার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার কথা সে মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদকে জানালে সে তাকে মাহরাম ছাড়া হিযরত করা যাবে না বলে জানায়। এবং তার বন্ধু আকবর হোসেন সুমনকে মাহরাম হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তব দেয়। এরপর মেহেদী তার বন্ধু আকবর হোসেন ওরফে সুমনের সঙ্গে মিতুর যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সুমনকে মাহরাম হিসেবে পাওয়ার জন্য মিতুু তার স্বামী জুয়েলকে ডিভোর্স দেয়ার পরিকল্পনা করে। সুমন ও মেহেদীর পরামর্শ অনুযায়ী মিতু গত ৩১শে মার্চ সোনারগাঁয়ের তার নিজ বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে চলে যায়। সুমন ও মেহেদী তাকে সেখানে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দেয়। তারা দুজনে মিতুকে শহীদ হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল ও পরামর্শ প্রদান করে এবং মিতুুকে শহীদী মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে। পরে তারা নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও ঢাকার কয়েকজন জেএমবি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠনের কর্মী সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সফরের পরিকল্পনা নেয়। এ লক্ষেই তারা নারায়ণগঞ্জে একত্রিত হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
এদিকে মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদ ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজান আমিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করে। পরবর্তীতে ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার হেফজখানাতে ৩/৪ বৎসর পড়ালেখা করে। সে ২০১১ সাল হতে চট্টগ্রামের হালিশহর ও ইপিজেড এলাকায় একটি ফুড প্রোডাক্টস্ কোম্পানিতে সেলস্ ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করে। ২০১৫ সালে সে জনৈক সামি ভাইয়ের মাধ্যমে হানাফি থেকে সালাফি মতাদর্শে দীক্ষিত হয়। এরপর ওই সামি ভাই তাকে উগ্রবাদী বিভিন্ন বয়ান শুনতে ও কিছু বই পড়তে দেয়। পরবর্তীতে এ সকল বয়ান ও বইয়ের মাধ্যমে উগ্রবাদে আকৃষ্ট হয়ে সে বিভিন্ন সালাফি মসজিদে যাতায়াত শুরু করে। ২০১৫ সালের শেষদিকে সামি তাকে অপর এক দ্বীনি ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে মেহেদী দাওয়াতি কাজে ব্যাপকভাবে তৎপর ছিল। এসময়ে সে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় সফর করে জেএমবির কর্মী সংগ্রহ করেছে। ২০১৮ সালে সে কয়েকবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও সোনারগাঁয়ে সফর করে বিভিন্ন গোপন মিটিং ও জেএমবির কর্মী সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রেখেছিল। সে বিভিন্ন সময়ে দ্বীনি বোনদেরকে পর্দার আড়াল থেকে জেএমবির আদর্শিক বয়ান প্রদান করত এবং বাংলার মাটিতে জিহাদ কায়েম করার জন্য একনিষ্ঠভাবে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাত। এর সুবাদে একাধিকবার মিতুর সঙ্গে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন জায়গায় মেহেদীর দেখা হয়। মেহেদী সরাসরি দাওয়াতি কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করত।
মেহেদী ও সুমন মিতুর মাধ্যমে বেশ কয়েকজন নারীকে জেএমবির আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করেন। র্যাব-১১ এর সদর দপ্তর সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে বুধবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১এর সিও লে. কমান্ডার কামরুল হাসান এ তথ্য জানান। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, ২রা এপ্রিল সোনারগাঁও নিবাসী মো. নুরুল ইসলাম তার মেয়ের জামাই জুয়েল র্যাব-১১ কার্যালয়ে এসে লিখিত অভিযোগ করে যে, তার মেয়ে জান্নাতুল নাঈম ওরফে মিতু (১৯) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং সে রাষ্ট্র বিরোধী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার জন্য ২ বছরের শিশু সন্তান রোজা আক্তারকে নিয়ে ৩১শে মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। তারা দ্রুত মিতুকে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানায়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব মিতুকে উদ্ধার করতে গিয়ে জেএমবির দুই সদস্যসহ তাদের গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য, মিতু ২০১৭ সালে সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে এবং একই কলেজে এইচএসসি অধ্যয়নরত।
যেভাবে মিতু জঙ্গি সংগঠনে জড়ায়: র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুল নাঈম ওরফে মিতু জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ফেসবুক আইডি ‘আল্লাহর সৈনিক’ এর মাধ্যমে জনৈক মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মেহেদী তাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে কাজ করার আহবান জানিয়ে জসিম উদ্দিন রাহমানির উগ্রবাদী বক্তব্য সংব্বলিত বিভিন্ন বক্তব্য সরবরাহ করে। এর প্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে সে উগ্রবাদে আকৃষ্ট হলে তাকে জেএমবির দাওয়াত দেয়া হয়। এছাড়াও নামাজ আদায় না করলে ও দাঁড়ি না রাখলে তার স্বামীকে পরিত্যাগ করা উচিত বলে বিভিন্ন ফতোয়া দেয়। মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদ তাকে বাংলাদেশ সরকার ও ত্বাগুত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হওয়ার আহবান জানালে মিতু তাতে সাড়া দেয়। এরপর থেকে মিতু তার ফেইসবুক আইডি ‘এসো ইসলামের পথে’ এবং ‘আলোর পথ ইসলাম’ থেকে বিভিন্ন যুদ্ধ, অস্ত্র ও গোলাবারুদের স্থিরচিত্র এবং ভিডিওসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করতে থাকে। সে তার কাছের বন্ধু-বান্ধবদের কথিত জিহাদের দাওয়াত দেয়া শুরু করে।
মিতু তার স্বামী জুয়েলকে উগ্রবাদের পথে আসার আহবান জানিয়ে ব্যর্থ হলে স্বামীকে ত্যাগ করে কথিত শহীদী মৃত্যু বরণ করার লক্ষ্যে হিযরত করার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার কথা সে মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদকে জানালে সে তাকে মাহরাম ছাড়া হিযরত করা যাবে না বলে জানায়। এবং তার বন্ধু আকবর হোসেন সুমনকে মাহরাম হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তব দেয়। এরপর মেহেদী তার বন্ধু আকবর হোসেন ওরফে সুমনের সঙ্গে মিতুর যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সুমনকে মাহরাম হিসেবে পাওয়ার জন্য মিতুু তার স্বামী জুয়েলকে ডিভোর্স দেয়ার পরিকল্পনা করে। সুমন ও মেহেদীর পরামর্শ অনুযায়ী মিতু গত ৩১শে মার্চ সোনারগাঁয়ের তার নিজ বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে চলে যায়। সুমন ও মেহেদী তাকে সেখানে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দেয়। তারা দুজনে মিতুকে শহীদ হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল ও পরামর্শ প্রদান করে এবং মিতুুকে শহীদী মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে। পরে তারা নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও ঢাকার কয়েকজন জেএমবি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠনের কর্মী সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সফরের পরিকল্পনা নেয়। এ লক্ষেই তারা নারায়ণগঞ্জে একত্রিত হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
এদিকে মেহেদী হাসান ওরফে মাসুদ ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজান আমিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করে। পরবর্তীতে ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার হেফজখানাতে ৩/৪ বৎসর পড়ালেখা করে। সে ২০১১ সাল হতে চট্টগ্রামের হালিশহর ও ইপিজেড এলাকায় একটি ফুড প্রোডাক্টস্ কোম্পানিতে সেলস্ ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করে। ২০১৫ সালে সে জনৈক সামি ভাইয়ের মাধ্যমে হানাফি থেকে সালাফি মতাদর্শে দীক্ষিত হয়। এরপর ওই সামি ভাই তাকে উগ্রবাদী বিভিন্ন বয়ান শুনতে ও কিছু বই পড়তে দেয়। পরবর্তীতে এ সকল বয়ান ও বইয়ের মাধ্যমে উগ্রবাদে আকৃষ্ট হয়ে সে বিভিন্ন সালাফি মসজিদে যাতায়াত শুরু করে। ২০১৫ সালের শেষদিকে সামি তাকে অপর এক দ্বীনি ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে মেহেদী দাওয়াতি কাজে ব্যাপকভাবে তৎপর ছিল। এসময়ে সে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় সফর করে জেএমবির কর্মী সংগ্রহ করেছে। ২০১৮ সালে সে কয়েকবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও সোনারগাঁয়ে সফর করে বিভিন্ন গোপন মিটিং ও জেএমবির কর্মী সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রেখেছিল। সে বিভিন্ন সময়ে দ্বীনি বোনদেরকে পর্দার আড়াল থেকে জেএমবির আদর্শিক বয়ান প্রদান করত এবং বাংলার মাটিতে জিহাদ কায়েম করার জন্য একনিষ্ঠভাবে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাত। এর সুবাদে একাধিকবার মিতুর সঙ্গে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন জায়গায় মেহেদীর দেখা হয়। মেহেদী সরাসরি দাওয়াতি কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করত।
No comments