আমিন জুয়েলার্সের স্বর্ণ চুরি: নিরাপত্তারক্ষী ও রাজমিস্ত্রি হোতা
রাজধানীর
গুলশান-২ এর ডিএনসিসি মার্কেটে আমিন জুয়েলার্সের এক শাখার বিপুল পরিমাণ
স্বর্ণ চুরি করে দীর্ঘ দেড় যুগের বিশ্বস্ত নিরাপত্তারক্ষী মো. আবদুস সোবহান
মোল্লা ও রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম। এই পরিকল্পিত ‘পুকুর চুরি’র ঘটনায় আব্দুস
সোবহান (৬১), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫), মেয়ে সীমা (২৭) ও মেয়ের জামাই
হাফেজ মো. বিল্লাল হোসেন ওরফে বুলবুল (৪০) গ্রেপ্তার হলেও সাদ্দাম এখনো
অধরা। গত বুধবার সকাল পর্যন্ত গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর ও মাওয়া এলাকায় অভিযান
চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৪৯৮
ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে অপর হোতা সাদ্দাম
এখনো পলাতক। একই সঙ্গে বাকি ১৮২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল গুলশান থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি আরো বলেন, শো-রুমের নিরাপত্তাকর্মী ও রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটায়। গত ১৪ই এপ্রিল রাতে তারা শো-রুমের ছাদ কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণ ও টাকা চুরি করে। পরে ছাদের কাটা অংশে ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে উপরে একটি ড্রাম ঢেকে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গত সোমবার দোকান খুলে মালিক এই চুরির ঘটনা টের পান। গুলশান থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে। এরপর ওই শো-রুমের নিরাপত্তাকর্মী সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সন্দেহ হলে তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাটা ছেঁড়া দেখে এর কারণ জানতে চায় পুলিশ। তারপর জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনা সে স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ৪৯৮ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার ও চুরি যাওয়া বাকি ১৮২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধারে রাজধানী ও এর আশপাশে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এসব স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গুলশান থানা পুলিশের তিনটি টিম কাজ করছে। তদন্ত দলের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তাকর্মী সোবহানের বাড়ি গোপালগঞ্জে। চুরির পর তার স্ত্রী এসব স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গোপালগঞ্জের নিলফা গ্রামের নজরুলের বাড়ি থেকে ২৫৩ ভরি স্বর্ণসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি স্বর্ণ মাওয়া ও মানিকগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।
গুলশান-২-এর ডিএনসিসি মার্কেট আমিন জুয়েলার্সের শো-রুমের মালিক কাজী সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শো-রুমের নিরাপত্তাকর্মী সোবহান দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা ভাবতেও পারিনি, সে এমন চুরির ঘটনা ঘটাবে। সে আমাদের খুব বিশ্বাসী ছিল।
তিনি বলেন, গত পহেলা বৈশাখে আমাদের বেশি বিক্রি হয়। ওইদিন বিক্রি শেষে রাত ১০টার পর দোকান বন্ধ করে চলে যাই। রোববার সাধারণত দোকান বন্ধ থাকে। তাই সোমবার সকালে এসে দোকান খুলে দেখি জুয়েলারি বক্সের ভেতর থেকে স্বর্ণ নিয়ে গেছে। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে।
কাজী সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, যখন শো-রুমের ছাদে কাজ চলছিল তখন সাদ্দাম ও সোবহানকে জিজ্ঞাসা করলে সব সময় ওরা বলতো যে স্যার সবকিছু ঠিক আছে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ওদের বিশ্বাস করায় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটায়। পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর মধ্যে খুব কম সময়, পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আসামি গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। আর উদ্ধারের পরিমাণও অনেক।
গতকাল গুলশান থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি আরো বলেন, শো-রুমের নিরাপত্তাকর্মী ও রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটায়। গত ১৪ই এপ্রিল রাতে তারা শো-রুমের ছাদ কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণ ও টাকা চুরি করে। পরে ছাদের কাটা অংশে ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে উপরে একটি ড্রাম ঢেকে দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গত সোমবার দোকান খুলে মালিক এই চুরির ঘটনা টের পান। গুলশান থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে। এরপর ওই শো-রুমের নিরাপত্তাকর্মী সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সন্দেহ হলে তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাটা ছেঁড়া দেখে এর কারণ জানতে চায় পুলিশ। তারপর জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনা সে স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ৪৯৮ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার ও চুরি যাওয়া বাকি ১৮২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধারে রাজধানী ও এর আশপাশে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এসব স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গুলশান থানা পুলিশের তিনটি টিম কাজ করছে। তদন্ত দলের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তাকর্মী সোবহানের বাড়ি গোপালগঞ্জে। চুরির পর তার স্ত্রী এসব স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গোপালগঞ্জের নিলফা গ্রামের নজরুলের বাড়ি থেকে ২৫৩ ভরি স্বর্ণসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি স্বর্ণ মাওয়া ও মানিকগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।
গুলশান-২-এর ডিএনসিসি মার্কেট আমিন জুয়েলার্সের শো-রুমের মালিক কাজী সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শো-রুমের নিরাপত্তাকর্মী সোবহান দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা ভাবতেও পারিনি, সে এমন চুরির ঘটনা ঘটাবে। সে আমাদের খুব বিশ্বাসী ছিল।
তিনি বলেন, গত পহেলা বৈশাখে আমাদের বেশি বিক্রি হয়। ওইদিন বিক্রি শেষে রাত ১০টার পর দোকান বন্ধ করে চলে যাই। রোববার সাধারণত দোকান বন্ধ থাকে। তাই সোমবার সকালে এসে দোকান খুলে দেখি জুয়েলারি বক্সের ভেতর থেকে স্বর্ণ নিয়ে গেছে। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে।
কাজী সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, যখন শো-রুমের ছাদে কাজ চলছিল তখন সাদ্দাম ও সোবহানকে জিজ্ঞাসা করলে সব সময় ওরা বলতো যে স্যার সবকিছু ঠিক আছে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ওদের বিশ্বাস করায় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটায়। পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর মধ্যে খুব কম সময়, পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আসামি গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। আর উদ্ধারের পরিমাণও অনেক।
No comments