রোকেয়ার প্রেমিক নাজমুলের সম্পৃক্ততা খুঁজছে পিবিআই
সিলেটে
মা ও ছেলে খুনের ঘটনার সঙ্গে নিহত রোকেয়ার প্রেমিক নাজমুলের সম্পৃক্ততা
খুঁজছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। সিলেট পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ
সুপার রেজাউল করিম ধারণা করছেন- আলোচিত এই জোড়া খুনের ঘটনার নেপথ্যে কোনো
বিশেষ মহলের যোগসূত্র থাকতে পারে। যৌন ও মাদক ব্যবসার রেষারেষির জের ধরেই
তানিয়া ও তার স্বামী মামুনকে নিয়ে কোনো পক্ষ এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এদিকে-
গতকাল দুপুরে পিবিআই কর্মকর্তারা মিরাবাজারের মিতালী আবাসিক এলাকার ১৫ জে
বাসাটি তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। এরপর তারা তল্লাশি চালিয়ে বাসার ভেতর থেকে
অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক সেবনের নানা সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গত মঙ্গলবার সিলেটের কোতোয়ালি থানা
পুলিশ পিবিআই সিলেটের কাছে আলোচিত এ মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করে। আর
তদন্তভার পেয়ে গতকাল দুপুরে এসপি রেজার নেতৃত্বে পুলিশ দল গিয়ে তদন্ত শুরু
করে। তদন্তের প্রথম দিন পিবিআই’র বিশেষ দল নিহত বিউটিশিয়ান রোকেয়া বেগমের
বাসা হত্যাকাণ্ডের নানা আলামত জব্দ করেন। এ সময় বাসার ভেতর থেকে অসামাজিক
কার্যকলাপ ও মাদক সেবনের নানা সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়। পিবিআই’র বিশেষ
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- পিবিআই মামলার ছায়া তদন্ত
করে আসছিল। একপর্যায়ে রোকেয়ার বাসায় আলোচিত তানিয়া আক্তারকে কুমিল্লা থেকে ও
তার স্বামী মামুনকে সিলেট নগরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তানিয়া ও মামুন
উভয়েই আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি
দিয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ নাজমুল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গত ১লা এপ্রিল মিরাবাজারের মিতালি ১৫ নম্বর বাসার
নিচতলা থেকে রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রূপমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময়
বাসার ভেতর থেকে রোকেয়ার পাঁচ বছরের মেয়ে রাইসাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা
হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোকেয়ার ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায়
মামলা করেন। এর মধ্যে এ জোড়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি
দিয়েছে তানিয়া ও মামুন। নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডে
নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। নাজমুল এখন কারাগারে।
No comments