বাউফলে চিরঘুমে রাজীব
নানা-নানির
কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাবা-মা হারানো কলেজছাত্র রাজীব হোসেন
(২১)। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় প্রথম জানাজা শেষে ওইদিন রাত ২টার দিকে লাশবাহী
গাড়িতে করে রাজীবের লাশ নানা বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া
গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এ সময় স্বজন ও এলাকাবাসীর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে
আকাশ-বাতাস। গতকাল সকাল ৯টায় বাউফল পাবলিক মাঠে রাজীবের দ্বিতীয় জানাজা হয়।
জানাজায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, জেলা প্রশাসক ড. মাছুমুর
রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. মাইনুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল
ইসলামসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেয়। পরে নানা বাড়ি দাশপাড়া গ্রামে
স্থানীয়ভাবে তার তৃতীয় জানাজা শেষে ১১টায় নানা-নানির কবরের পাশে পারিবারিক
কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। রাজীব ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক
শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার ছোট দুই ভাই মেহেদী হাসান ও মো. আব্দুল্লাহ ঢাকা
তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার সপ্তম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। দু’জনই কোরআনে
হাফেজ। ছোট বেলায় বাবা-মাকে হারায় রাজীব। বাবা হেলাল উদ্দিন খানের পৈতৃক
বাড়ি উপজেলার ইন্দ্রকুল গ্রামে। বিয়ের পর দাশপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে
বসবাস করতেন রাজীবের বাবা। নানা বাড়িতে জন্ম হয় রাজীবের। সেখানেই
নানা-নানির কবরের পাশে চির নিদ্রায় তাকে সমাহিত করা হয়। পাশেই রয়েছে মায়ের
কবর। প্রাথমিকভাবে রাজীবের দাফনকাজ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসন ৪৫
হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন রাজীবের স্বজনদের কাছে।
রাজীবের ছোট খালা জাহানারা বলেন, রাজীব ছিল আমাদের সন্তানের মতো। ছোট বেলায় বাবা-মা হারানোর পর আমরাই তাকে লালন-পালন করে বড় করেছি। ঘাতক বাস এভাবে রাজীবকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে তা ভাবতেই পারি নাই। আমি বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি অসহায় রাজীবের ছোট দুই ভাইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কে নেবে বাবা-মা ও ভাই হারা অসহায় দুই ভাইয়ের দায়িত্ব।
এলাকাবাসী জানান, রাজীব খুবই ভালো ছেলে ছিল। নম্রতা ও ভদ্রতায় তার তুলনা হয় না। রাজীবের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। অনেক কষ্ট করে রাজীব নিজের ও ছোট দুই ভাইযের লেখাপড়ার খরচ চালাতো। এখন রাজীব নেই এখন ছোট ভাইদের কে দেখাশোনা করবে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
উল্লেখ্য, ৩রা এপ্রিল ঢাকার কাওরান বাজার এলাকায় দুই বাস চাপায় রাজীবের দেহ থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা খরচ চালাতে না পারায় পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মারা যায় রাজীব।
রাজীবের ছোট খালা জাহানারা বলেন, রাজীব ছিল আমাদের সন্তানের মতো। ছোট বেলায় বাবা-মা হারানোর পর আমরাই তাকে লালন-পালন করে বড় করেছি। ঘাতক বাস এভাবে রাজীবকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে তা ভাবতেই পারি নাই। আমি বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি অসহায় রাজীবের ছোট দুই ভাইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কে নেবে বাবা-মা ও ভাই হারা অসহায় দুই ভাইয়ের দায়িত্ব।
এলাকাবাসী জানান, রাজীব খুবই ভালো ছেলে ছিল। নম্রতা ও ভদ্রতায় তার তুলনা হয় না। রাজীবের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। অনেক কষ্ট করে রাজীব নিজের ও ছোট দুই ভাইযের লেখাপড়ার খরচ চালাতো। এখন রাজীব নেই এখন ছোট ভাইদের কে দেখাশোনা করবে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
উল্লেখ্য, ৩রা এপ্রিল ঢাকার কাওরান বাজার এলাকায় দুই বাস চাপায় রাজীবের দেহ থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা খরচ চালাতে না পারায় পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মারা যায় রাজীব।
No comments