লন্ডনে হাসিনা মোদি বৈঠক আজ
২৫তম
কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনীতে যোগদানের মধ্য দিয়ে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকের দিন শুরু হবে। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের
এ অনুষ্ঠানের পর বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এবং কমনওয়েলথ মহাসচিবের
যৌথ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের সম্মানে অনুষ্ঠেয় অভ্যর্থনা সভায় যোগ দেবেন
তিনি। দিনের বিভিন্ন সময়ে এক্সিকিউটিভ সেশনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি সন্ধ্যায়
সরকার প্রধানদের সম্মানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রদত্ত পরিচিতি, অভ্যর্থনা
ও নৈশভোজে যোগ দেবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। দিনব্যাপী ব্যস্ত কর্মসূচির
সাইড লাইনে আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। মেগা এ আয়োজনে অংশ নিতে গত সোমবার মধ্য
রাতে লন্ডনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সফরের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন
অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম ছিল মঙ্গলবার বিকালের ওভারসিজ
ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে (ওডিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প : নীতি,
অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। এতে মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেয়ার পর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। যেখানে দেশের
অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং সম-সাময়িক পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। সেখানে এক
প্রশ্নের জবাবে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক
রহমানের দেশে ফেরানো এবং বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান
প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলছি
এবং অবশ্যই একদিন আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে
হবে। লন্ডনে তারেক রহমানকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বৃটিশ সরকারের সমালোচনাও করেন
প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি অবাধ স্বাধীনতার দেশ এবং এটি
সত্যি যে, যেকোনো ব্যক্তি এখানে আশ্রয় নিতে এবং শরণার্থী হতে পারে। তবে
তারেক রহমান অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডিত ব্যক্তি। আমি বুঝতে
পারি না, একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে কীভাবে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে।’
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সরকার প্রধান বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করুক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগমনে সেখানে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তাই সরকার সকল ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদের একটি ভালো জায়গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে তারা সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যসহ আমরা তাদের সকল ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবকিছুই করছি। আমরা তাদের জন্য সেখানে কিছু ভবন ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করছি। তিনি বলেন, অনেক শরণার্থী সীমান্তে অবস্থান করছে। সেখান থেকে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে মিয়ানমার নিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সম্ভবত তারা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে, তারা ফেরত নিচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ। তবে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে কেন?
লন্ডনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী: কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, পূর্ব নির্ধারিত সূচির বাইরে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বৈঠকের চেষ্টা চলছে। তবে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার সময়ক্ষণ ঠিক হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাংলাদেশি কূটনীতিকরা জানিয়েছেন এবারের শীর্ষ সম্মেলন (সিএইচওজিএম) নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের দিকে।’ ওই আয়োজনে বেক্সিট পরবর্তী বৃটেনের সঙ্গে কমনওয়েলথ কান্ট্রিগুলোর সম্পর্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে। সাইড ইভেন্টগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। গত মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ওয়েস্টমিনস্টারে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে কমনওয়েলথ নারী ফোরামের ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার: মেকিং ইকুইটেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি প্রাইমারি এডুকেশন অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস অ্যাক্রোস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন। বিকালে যুক্তরাজ্যের মর্যাদাশীল থিঙ্কট্যাঙ্ক বৈদেশিক উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। গতকাল এশীয় নেতাদের ‘ক্যান এশিয়া কিপ গ্রোইং’ রাউন্ড টেবিলে অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেবেন। ২১শে এপ্রিল তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের সংবর্ধনা এবং রানীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সফরের বিভিন্ন সময়ে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের সঙ্গেও তার অনানুষ্ঠানিক এবং আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও মতবিনিময় হবে। আগামী ২৩শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মন্ত্রীরা উভয় দেশ সফর করেছেন। সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সরকার প্রধান বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখালেও বাস্তবে তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করুক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগমনে সেখানে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তাই সরকার সকল ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদের একটি ভালো জায়গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে তারা সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যসহ আমরা তাদের সকল ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবকিছুই করছি। আমরা তাদের জন্য সেখানে কিছু ভবন ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করছি। তিনি বলেন, অনেক শরণার্থী সীমান্তে অবস্থান করছে। সেখান থেকে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে মিয়ানমার নিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সম্ভবত তারা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে, তারা ফেরত নিচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ। তবে মাত্র একটি পরিবারের অর্ধেক লোককে কেন?
লন্ডনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী: কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, পূর্ব নির্ধারিত সূচির বাইরে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বৈঠকের চেষ্টা চলছে। তবে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার সময়ক্ষণ ঠিক হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বাংলাদেশি কূটনীতিকরা জানিয়েছেন এবারের শীর্ষ সম্মেলন (সিএইচওজিএম) নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের দিকে।’ ওই আয়োজনে বেক্সিট পরবর্তী বৃটেনের সঙ্গে কমনওয়েলথ কান্ট্রিগুলোর সম্পর্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে। সাইড ইভেন্টগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। গত মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ওয়েস্টমিনস্টারে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে কমনওয়েলথ নারী ফোরামের ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার: মেকিং ইকুইটেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি প্রাইমারি এডুকেশন অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস অ্যাক্রোস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন। বিকালে যুক্তরাজ্যের মর্যাদাশীল থিঙ্কট্যাঙ্ক বৈদেশিক উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। গতকাল এশীয় নেতাদের ‘ক্যান এশিয়া কিপ গ্রোইং’ রাউন্ড টেবিলে অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেবেন। ২১শে এপ্রিল তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের সংবর্ধনা এবং রানীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সফরের বিভিন্ন সময়ে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের সঙ্গেও তার অনানুষ্ঠানিক এবং আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও মতবিনিময় হবে। আগামী ২৩শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
No comments