৪ ঘণ্টা বন্দি ছিলেন ওয়াসফিয়া
ওশেনিয়া
অঞ্চলের কারস্তেনস পিরামিডকে জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। এই নিয়ে বিশ্বের
সাত অঞ্চলের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করার গৌরব অর্জন করেছেন বাংলাদেশি
নারী ওয়াসফিয়া। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই বিরল খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
তবে, এই অভিযাত্রীর কাছে এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম মনে হয়েছে কারস্তেনস
পিরামিডকে জয় করা। কেননা, ওশেনিয়া অঞ্চলের এই সর্বোচ্চ চূড়া থেকে ফেরার পথে
‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন’ এক গ্রামে চার ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছিল তাকে। শেষ
পর্যন্ত চার হাজার ডলার দিয়ে মুক্তি মিলেছে তার। কারস্তেনস জয়ের পথে ভয়ঙ্কর
এসব অভিজ্ঞতার কথা বিবিসি বাংলাকে বর্ণনা করেন ওয়াসফিয়া।
তিনি আরও জানান, গত ১৮ই নভেম্বর স্থানীয় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে বাংলাদেশের পতাকা হাতে কারস্তেনস পিরামিডে পৌঁছান। এর মধ্য দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তার বিশ্বের সাত অঞ্চলের সাতটি সর্বোচ্চশৃঙ্গ জয়ের অভিযান শেষ হয়। কারস্তেনস অভিযানে ৩৩ বছর বয়সী ওয়াসফিয়ার সঙ্গে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান বন্ধু জশুয়া নোয়া। তাদের চূড়ায় পৌঁছানোর খবর স্যাটেলাইট ফোনে বাংলাদেশে পৌঁছায় মঙ্গলবার রাতে। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রভিন্সে কারস্তেনস পর্বতমালায় ৪ হাজার ৮৮৪ মিটার উঁচু এই শৃঙ্গ স্থানীয়ভাবে পুঞ্চাক জায়া নামেও পরিচিত। গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষ আর সোনার খনিকে কেন্দ্র গড়ে ওঠা মাফিয়াদের বাধা টপকে কারস্তেনস পিরামিডে ওঠেন এভারেস্ট জয়ী দ্বিতীয় বাংলাদেশি এই নারী। তিনি বলেন, পুরো গ্রানাইট পাথরের পাহাড়টির একটি চূড়া থেকে অন্য চূড়ায় যেতে হয় দড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে। এভারেস্টের চেয়েও কারস্তেনস পিরামিড কঠিন ও দুর্গম পাহাড় বলে তিনি মন্তব্য করেন। বর্ণনায় তিনি আরও জানান, পাহাড়ের বেসক্যাম্পে পৌঁছাতে বিভিন্ন ‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও হিংস্র’ জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। পর্বত আরোহণ শেষ করে ফেরার পথে তেমনই একটি গ্রামের মানুষ তাদের আটক করে। এক বৃদ্ধের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় তাদের। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, বিদেশিদের আগমনের কারণেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এরপর তারা আমাদের ধরে নিয়ে যায়। চার ঘণ্টা সালিশ হয়। শেষ পর্যন্ত ওদের চার হাজার ডলার দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পাই। ওয়াসফিয়া জানান, ২২০ কিলোমিটার পথ হেঁটে কারস্তেনস পিরামিডের বেসক্যাম্পে যেতে হয়। সেই হিসেবে এভারেস্ট জয় করা অনেক সহজ বলে মনে হয়েছে এ অভিযাত্রীর কাছে। হিমালয়ে ওঠার সময় শেরপারা রাস্তা বানিয়ে দেয়। আপনি দড়ি ধরে ধরে উঠবেন। এখানে ওরকম কিছু নেই। সবকিছু নিজের করতে হয়। নিরাপদে পৌঁছাতে পারব কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। প্রসঙ্গত, কারস্তেনস পিরামিডের আগে ওয়াসফিয়া জয় করেন এশিয়ার এভারেস্ট, আফ্রিকার কিলিমানজারো, দক্ষিণ আমেরিকার আকোনকাগুয়া, অ্যান্টার্কটিকার ভিনসন ম্যাসিফ, ইউরোপের মাউন্ট এলব্রুস এবং উত্তর আমেরিকার ডেনালি চূড়া। ‘দুঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিজের অঙ্গীকার ও কর্মতৎপরতার জন্য’ ওয়াসফিয়াকে ২০১৪ সালের অন্যতম বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব দিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
তিনি আরও জানান, গত ১৮ই নভেম্বর স্থানীয় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে বাংলাদেশের পতাকা হাতে কারস্তেনস পিরামিডে পৌঁছান। এর মধ্য দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তার বিশ্বের সাত অঞ্চলের সাতটি সর্বোচ্চশৃঙ্গ জয়ের অভিযান শেষ হয়। কারস্তেনস অভিযানে ৩৩ বছর বয়সী ওয়াসফিয়ার সঙ্গে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ান বন্ধু জশুয়া নোয়া। তাদের চূড়ায় পৌঁছানোর খবর স্যাটেলাইট ফোনে বাংলাদেশে পৌঁছায় মঙ্গলবার রাতে। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রভিন্সে কারস্তেনস পর্বতমালায় ৪ হাজার ৮৮৪ মিটার উঁচু এই শৃঙ্গ স্থানীয়ভাবে পুঞ্চাক জায়া নামেও পরিচিত। গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষ আর সোনার খনিকে কেন্দ্র গড়ে ওঠা মাফিয়াদের বাধা টপকে কারস্তেনস পিরামিডে ওঠেন এভারেস্ট জয়ী দ্বিতীয় বাংলাদেশি এই নারী। তিনি বলেন, পুরো গ্রানাইট পাথরের পাহাড়টির একটি চূড়া থেকে অন্য চূড়ায় যেতে হয় দড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে। এভারেস্টের চেয়েও কারস্তেনস পিরামিড কঠিন ও দুর্গম পাহাড় বলে তিনি মন্তব্য করেন। বর্ণনায় তিনি আরও জানান, পাহাড়ের বেসক্যাম্পে পৌঁছাতে বিভিন্ন ‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও হিংস্র’ জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। পর্বত আরোহণ শেষ করে ফেরার পথে তেমনই একটি গ্রামের মানুষ তাদের আটক করে। এক বৃদ্ধের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় তাদের। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, বিদেশিদের আগমনের কারণেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এরপর তারা আমাদের ধরে নিয়ে যায়। চার ঘণ্টা সালিশ হয়। শেষ পর্যন্ত ওদের চার হাজার ডলার দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পাই। ওয়াসফিয়া জানান, ২২০ কিলোমিটার পথ হেঁটে কারস্তেনস পিরামিডের বেসক্যাম্পে যেতে হয়। সেই হিসেবে এভারেস্ট জয় করা অনেক সহজ বলে মনে হয়েছে এ অভিযাত্রীর কাছে। হিমালয়ে ওঠার সময় শেরপারা রাস্তা বানিয়ে দেয়। আপনি দড়ি ধরে ধরে উঠবেন। এখানে ওরকম কিছু নেই। সবকিছু নিজের করতে হয়। নিরাপদে পৌঁছাতে পারব কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। প্রসঙ্গত, কারস্তেনস পিরামিডের আগে ওয়াসফিয়া জয় করেন এশিয়ার এভারেস্ট, আফ্রিকার কিলিমানজারো, দক্ষিণ আমেরিকার আকোনকাগুয়া, অ্যান্টার্কটিকার ভিনসন ম্যাসিফ, ইউরোপের মাউন্ট এলব্রুস এবং উত্তর আমেরিকার ডেনালি চূড়া। ‘দুঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিজের অঙ্গীকার ও কর্মতৎপরতার জন্য’ ওয়াসফিয়াকে ২০১৪ সালের অন্যতম বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব দিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
No comments