একদলীয় নয়, এক ব্যক্তির শাসন চলছে: খালেদা
আন্দোলন
বন্ধ করতে সরকার যুবকদের টার্গেট করে তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, “শুধু একদলীয় নয়, দেশে
এক ব্যক্তির শাসন চলছে। এই সরকারের কাছে জনগণের কল্যাণ নয়, ক্ষমতা ধরে
রাখাই তাদের লক্ষ্য।” বোরবার রাতে তার গুলশান কার্যাষলয়ে অনলাইন
অ্যাক্টিভিস্ট ‘ব্লু ব্যন্ড কল’ এর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে
তিনি এসব কথা বলেন। ‘ব্লু ব্যন্ড কলের সদস্যদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন,
“সরকারের টার্গেট ইয়ংরা। কারণ তোমরা কথা বলতে পার, আন্দোলন করতে পার।
এজন্যই ইয়ংদের উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে আর সন্ধান পাওয়া যায় না।
নির্বাচনের আগের আন্দোলনে সারাদেশে ৩১০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৬৫
জনকে গুম করা হয়েছে। আর রাজধানীতে ২৮ জন গুম হয়। এদের মধ্যে অনেকেই কম
বয়সী ছিল।” বর্তমান সরকারের সময় কেউ নিরাপদ নয় এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন,
“ঘরে- বাইরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায় কেউ নিরাপদ নয়।”
সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হাতে যে ‘আধুনিক অস্ত্র’ তা সরকার দিচ্ছে বলেও
অভিযোগ করেন খালেদা। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া বলেন, “ওরা তো ভীতু। সাহস থাকলে ফেস করতো। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মানুষ
একটা কিছু করে ফেলত। এসপার-ওসপার করে ফেলত। ফয়সালা করে ফেলত। কিন্তু ভয়
পেয়ে আমাকে তিনদিন বাড়িতে আটকে রেখেছিল সরকার। শুধু র্যায়ব, পুলিশ না বালুর
ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। যাতে আমি বাড়ি থেকে বের হতে না পারি। ”
আওয়ামী লীগের লোক ছাড়া কাউকে চাকরি দেয়া হয় না এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন,
“সারাদেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ। প্রতিনিয়ত রেমিটেন্স
কমছে।” সরকারের কারণে বাংলাদেশ বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে এমন দাবি করে খালেদা
বলেন, “বিদেশে জনশক্তি রফতানি কমে গেছে। অনেক দেশ লোক নেয়া বন্ধ রেখেছে।
শুধু একদেশ নিয়ে থাকলেই হবে না। আমাদের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে
হবে।” অনলাইন অ্যক্টিভিস্টদের দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলনে নামার
আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে
বাধ্য করতে হবে। আমি তোমাদের সঙ্গে থাকবো। এতো দুর্বল হয়ে গেছি এমনটা ভাবি
না, যে লড়াইয়ের মাঠে থাকতে পারব না।”
No comments