৩৫ হাজার নৌযানের ২৬ হাজারই অবৈধ by মোল্লাহ রাশিম
সারা
দেশের নৌপথে ৯০০০ বৈধ নৌযান চলাচল করে। এর মধ্যে নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা
করা হয় ৮৫০ থেকে ৯০০ নৌযানের। এর বাইরে ঠিক কি পরিমাণ অবৈধ নৌযান চলাচল
করে-এর কোন পরিসংখ্যান সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ
নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কারও কাছেই নেই। এ ছাড়া বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের
কাছেও এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে নৌপথের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন
প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, অর্ধ লাখ অবৈধ নৌযান নৌপথে চলাচল করে- যাদের কোন
নিবন্ধন নেই। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কোস্ট্রে’র এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সারা
দেশে নৌপথে চলাচল করা নৌযানের সংখ্যা ৩৫ হাজার। আর এসব নৌযান সমুদ্র
পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং নৌপরিবহন
মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় চলাচল
করছে। অন্যদিকে ‘কোস্ট্রে’র এ তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে সমুদ্র
পরিবহন অধিদপ্তর। তবে সংখ্যা যা-ই হোক নৌ-দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ
নিবন্ধনহীন এ সব নৌযান। এ ব্যাপারে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নির্বাহী
প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার এ কে এম ফখরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, আমরা এ সব অবৈধ
নৌযান ধীরে ধীরে নিবন্ধনের তালিকায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি। ইতিমধ্যে
যাত্রীবাহী নৌযানগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশই নিবন্ধনভুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই
বাকি নৌযানগুলো নিবন্ধনভুক্ত করা হবে। আর বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
‘কোস্ট্রে’র পরিচালক মো. রেজাউল করীম মনে করেন, জাহাজের নিবন্ধন প্রক্রিয়া
বিকেন্দ্রীকরণ করার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এটি করা হলে
নদীপথে নিবন্ধনহীন নৌযানের পরিমাণ অনেক কমে আসবে।
‘কোস্ট্রে’র গবেষণা অনুযায়ী, দেশে ২৬ হাজার অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। আর এ সব নৌযান সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় এগুলো চলাচলের কারণে প্রতি বছর ঘটছে শতাধিক লোকের প্রাণহানি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক মো. শফিকুল হক বলেন, আমরা শুধু যাত্রীবাহী জাহাজের সময়সূচি দিয়ে থাকি। এটা বলতে পারি আমাদের কোন কর্মকর্তা সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধনহীন কোন যাত্রীবাহী জাহাজের সময়সূচি দেয় না। তাহলে পিনাক-৬ তদন্ত রিপোর্টে ফিটনেস না থাকার কথা বলা হলো কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই লঞ্চটির কোন ফিটনেস ছিল না এটা ঠিক কিন্তু ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল ঠিকই। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট আছে কিনা সেটা দেখা আমাদের কাজ। কিন্তু সার্টিফিকেটটি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে দেয়া হয়েছে কিনা সেটা দেখার এখতিয়ার আমাদের নয়। সেটা দেখার দায়িত্ব সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের। কারণ কোন জাহাজের সার্টিফিকেট আমরা দিই না। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে যানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচল করতে ১১ ধরনের নৌযানের নিবন্ধন নিতে হয় সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে। এগুলো হলো যাত্রীবাহী নৌযান, কার্গো জাহাজ, ফেরি, তেলবাহী জাহাজ, টাগ বোট, ডাম্প বার্গ, স্পিডবোট, ইন্সপেকশন বোট, বালুবাহী নৌযান, ড্রেজার এবং অন্যান্য যানবাহন। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ২০১৩ সাল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে মোট ৯৩৬৭টি নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ১০৬১টি যাত্রীবাহী জাহাজ, ২২১৩টি কার্গো জাহাজ, ২৭টি ফেরি, ২৬০টি তেলবাহী জাহাজ, ৮৯টি টাগ বোট, ২১৬টি ডাম্প বার্গ, ২২৬টি স্পিডবোট, ৪৪টি ইন্সপেকশন বোট, ৩৮১১টি বালুবাহী জাহাজ, ৮৫৭টি ড্রেজার ও ৫৬৩টি অন্যান্য যানবাহন। এ ব্যাপারে ‘কোস্ট্রে’র প্রধান রেজাইল করীম বলেন, অবৈধ এসব নৌযান চিহ্নিত করে খুব দ্রুত সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের বৈধ নৌযানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। তা না হলে সরকারের নৌ-দুর্ঘটনা কমানোর যে উদ্যোগ তা সফল হবে না। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৯৩৬৭টি বৈধ নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষার দায়িত্ব মাত্র চারজন সার্ভেয়ারের। রাজধানীর সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে এ চারটি বিভাগীয় টার্মিনাল রয়েছে। আর এ সব টার্মিনালে একজন করে মোট চারজন সার্ভেয়ার ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে সদরঘাট টার্মিনালের যাবতীয় নৌযানের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেন সার্ভেয়ার মাইনুদ্দিন জুলফিকার। নারায়ণগঞ্জ টার্মিনালের সার্ভেয়ার পদটি শূন্য আছে। বর্তমানে এ অঞ্চলের নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষা করেন সমুদ্র পরিবহনের পরীক্ষক বিভাগের নাজমুল হক। তিনি এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। খুলনা টার্মিনাল অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছেন শাহরিয়ার হোসেন। আর বরিশাল এলাকায় দায়িত্ব পালন করতেন মির্জা সাইফুল ইসলাম। কিন্তু বর্তমানে তিনি ওসডি থাকার কারণে খুলনায় সার্ভেয়ার শাহরিয়ার হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল অঞ্চলের জাহাজ মালিকদের ফিটনেস সার্টিফিকেট পেতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সার্ভেয়ার সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, মাত্র চারজন সার্ভেয়ার দিয়ে কখনওই ঠিকমতো সার্র্ভে করা সম্ভব না। আর এ কারণেই দেশে ক্রমেই বাড়ছে নৌ-দুর্ঘটনা। তাই নৌ-দুর্ঘটনা কমাতে লঞ্চের ফিটনেস পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সার্ভেয়ার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
‘কোস্ট্রে’র গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৪ সালের ১৫ই মে পর্যন্ত ৪১৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। অন্য আরেকটি হিসাব বলছে, গত ২০ বছরে দেশে ৬৫৮টি লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন প্রায় ৫৫০০ জন। কোস্ট্র ট্রাস্ট্রের সহকারী পরিচালক মজিবুল হক মনির সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৯ কোটি মানুষ দেশের নৌপথে যাতায়াত করে। এ ছাড়া দেশের মোট যাত্রীসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগ, মালামালের ৭০ শতাংশ এবং তেলজাত দ্রব্যের ৯০ শতাংশ নৌপথে পরিবহন করা হয়।
‘কোস্ট্রে’র গবেষণা অনুযায়ী, দেশে ২৬ হাজার অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। আর এ সব নৌযান সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় এগুলো চলাচলের কারণে প্রতি বছর ঘটছে শতাধিক লোকের প্রাণহানি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক মো. শফিকুল হক বলেন, আমরা শুধু যাত্রীবাহী জাহাজের সময়সূচি দিয়ে থাকি। এটা বলতে পারি আমাদের কোন কর্মকর্তা সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধনহীন কোন যাত্রীবাহী জাহাজের সময়সূচি দেয় না। তাহলে পিনাক-৬ তদন্ত রিপোর্টে ফিটনেস না থাকার কথা বলা হলো কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই লঞ্চটির কোন ফিটনেস ছিল না এটা ঠিক কিন্তু ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল ঠিকই। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট আছে কিনা সেটা দেখা আমাদের কাজ। কিন্তু সার্টিফিকেটটি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে দেয়া হয়েছে কিনা সেটা দেখার এখতিয়ার আমাদের নয়। সেটা দেখার দায়িত্ব সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের। কারণ কোন জাহাজের সার্টিফিকেট আমরা দিই না। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে যানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচল করতে ১১ ধরনের নৌযানের নিবন্ধন নিতে হয় সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে। এগুলো হলো যাত্রীবাহী নৌযান, কার্গো জাহাজ, ফেরি, তেলবাহী জাহাজ, টাগ বোট, ডাম্প বার্গ, স্পিডবোট, ইন্সপেকশন বোট, বালুবাহী নৌযান, ড্রেজার এবং অন্যান্য যানবাহন। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর ২০১৩ সাল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে মোট ৯৩৬৭টি নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ১০৬১টি যাত্রীবাহী জাহাজ, ২২১৩টি কার্গো জাহাজ, ২৭টি ফেরি, ২৬০টি তেলবাহী জাহাজ, ৮৯টি টাগ বোট, ২১৬টি ডাম্প বার্গ, ২২৬টি স্পিডবোট, ৪৪টি ইন্সপেকশন বোট, ৩৮১১টি বালুবাহী জাহাজ, ৮৫৭টি ড্রেজার ও ৫৬৩টি অন্যান্য যানবাহন। এ ব্যাপারে ‘কোস্ট্রে’র প্রধান রেজাইল করীম বলেন, অবৈধ এসব নৌযান চিহ্নিত করে খুব দ্রুত সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের বৈধ নৌযানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। তা না হলে সরকারের নৌ-দুর্ঘটনা কমানোর যে উদ্যোগ তা সফল হবে না। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৯৩৬৭টি বৈধ নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষার দায়িত্ব মাত্র চারজন সার্ভেয়ারের। রাজধানীর সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে এ চারটি বিভাগীয় টার্মিনাল রয়েছে। আর এ সব টার্মিনালে একজন করে মোট চারজন সার্ভেয়ার ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে সদরঘাট টার্মিনালের যাবতীয় নৌযানের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেন সার্ভেয়ার মাইনুদ্দিন জুলফিকার। নারায়ণগঞ্জ টার্মিনালের সার্ভেয়ার পদটি শূন্য আছে। বর্তমানে এ অঞ্চলের নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষা করেন সমুদ্র পরিবহনের পরীক্ষক বিভাগের নাজমুল হক। তিনি এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। খুলনা টার্মিনাল অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছেন শাহরিয়ার হোসেন। আর বরিশাল এলাকায় দায়িত্ব পালন করতেন মির্জা সাইফুল ইসলাম। কিন্তু বর্তমানে তিনি ওসডি থাকার কারণে খুলনায় সার্ভেয়ার শাহরিয়ার হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল অঞ্চলের জাহাজ মালিকদের ফিটনেস সার্টিফিকেট পেতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সার্ভেয়ার সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, মাত্র চারজন সার্ভেয়ার দিয়ে কখনওই ঠিকমতো সার্র্ভে করা সম্ভব না। আর এ কারণেই দেশে ক্রমেই বাড়ছে নৌ-দুর্ঘটনা। তাই নৌ-দুর্ঘটনা কমাতে লঞ্চের ফিটনেস পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সার্ভেয়ার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
‘কোস্ট্রে’র গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৪ সালের ১৫ই মে পর্যন্ত ৪১৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। অন্য আরেকটি হিসাব বলছে, গত ২০ বছরে দেশে ৬৫৮টি লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন প্রায় ৫৫০০ জন। কোস্ট্র ট্রাস্ট্রের সহকারী পরিচালক মজিবুল হক মনির সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৯ কোটি মানুষ দেশের নৌপথে যাতায়াত করে। এ ছাড়া দেশের মোট যাত্রীসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগ, মালামালের ৭০ শতাংশ এবং তেলজাত দ্রব্যের ৯০ শতাংশ নৌপথে পরিবহন করা হয়।
No comments